শনি ও রবিবার রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। উত্তরবঙ্গে অতি ভারী আর দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। সঙ্গে ৩০-৫০ কিমি ঝোড়ো হাওয়া। আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবারেও পাঁচ জেলায় চলবে ভারী বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে উপরের দিকের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি চলবে। রবিবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি কোচবিহার আলিপুর দুয়ারে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা ও দুই দিনাজপুরেও।দেশের বেশিরভাগ অংশেই পৌঁছে গেছে মৌসুমী বায়ু। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু জম্মু-কাশ্মীর থেকে রাজস্থান কভার করেছে। এই বছর তিন দিন আগে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এসেছিল বর্ষা। আবহাওয়াবিদদের অনুমান নির্ধারিত সময় ৮ই জুলাইয়ের আগেই বর্ষা সারা দেশে আসবে।বর্ষা জম্মু-কাশ্মীরেও পৌঁছে গেল। জম্মু-কাশ্মীর দিল্লি মধ্যপ্রদেশ ছত্রিশগড় ঝাড়খণ্ড বিহার ও উত্তরাখণ্ডের প্রায় সব এলাকাতেই পৌঁছে গেছে মৌসুমী বায়ু। মৌসুমীবায়ু অক্ষরেখা জয়সালমীর ভিওয়ানী দিল্লি আলিগড় কানপুর গাজীপুর গোন্ডা খেরি মোরাদাবাদ ঊনা পাঠানকোট জম্মুর ওপর দিয়ে বিস্তৃত।আগামী দুই তিন দিনে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাবে রাজস্থান হরিয়ানা চন্ডিগড় উত্তর প্রদেশের বাকি এলাকা এবং পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের অবশিষ্ট এলাকায়।উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা এলাকার কাছাকাছি নিম্নচাপের অবস্থান। এই নিম্নচাপ ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে আগামী দু-তিন দিন। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে এই নিম্নচাপ এলাকা পর্যন্ত।যেটি মধ্যপ্রদেশ ছত্রিশগড় ঝাড়খণ্ড ওড়িশার ওপর দিয়ে বিস্তৃত। এছাড়াও ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থান হরিয়ানা আসাম এবং গুজরাটে। দক্ষিণবঙ্গ দিনভর মেঘলা আকাশ। দফায় দফায় বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই আজ বজ্রবিদুত্-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বেশিরভাগ জেলায় ভারী বৃষ্টি। আগামীকাল রবিবার ভারী বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায়। সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রা কমবে। দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। সোমবার থেকে একই রকম তাপমাত্রা থাকবে পরবর্তী কয়েকদিন।আজ শনিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেইড রেইন। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো হওয়ার সর্তকতা। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। রবিবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা বীরভূম মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলার কিছু অংশে। বজ্রবিদ্যু-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে বিক্ষিপ্তভাবে এক জেলায় ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকবে আগামী ৪/৫ দিন।উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা-সহ উপরের দিকের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং জেলাতে ভারী বৃষ্টি চলবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই তিন জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আগামী কাল থেকে দুই তিন দিনের মধ্যে।মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা। রবিবার থেকে মঙ্গলবার মালদা ও দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা। আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে তারপর তাপমাত্রা একই রকম থাকবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। কলকাতা দিনভর মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে আগামী ২৪ ঘন্টায়। বিক্ষিপ্তভাবে দু’এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি। বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিও থাকবে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৪ থেকে ৯৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৬ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।আগামী কয়েক দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা অরুনাচল প্রদেশে। অরুণাচল প্রদেশ-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি আসাম মেঘালয় মণিপুর নাগাল্যান্ড মিজোরাম ও ত্রিপুরাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।ভারী বৃষ্টি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে কঙ্কন গোয়া মধ্যপ্রদেশ গুজরাট হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখন্ড পাঞ্জাব হরিয়ানা চন্ডিগড় দিল্লি উত্তর প্রদেশ রাজস্থান এবং উড়িষ্যাতে।
