সিঙ্গুরের দই এর ছবি

Singurer Doi: রচনার প্রিয় সিঙ্গুরের দই! কিন্তু কী এমন স্পেশালিটি আছে তার মধ্যে জানেন?

হুগলি: লোকসভা ভোটের ময়দানে হুগলি লোকসভার সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূয়সী প্রসংশা করছেন সিঙ্গুরের দইয়ের। সিঙ্গুরের দই নাকি এত সুস্বাদু যে মুখে লেগে থাকে তার স্বাদ। এমনকি ভোট জয় লাভের পর বিরোধী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিঙ্গুরের এক হাঁড়ি দই পাঠানোর কথা তিনি বলেছেন।  কী এমন আছে সিঙ্গুরে দইতে?

সিঙ্গুরের দইয়ের চাহিদা ব্যাপক। আর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই দইয়ের প্রচার ও প্রসারে আরও বেশি করে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। রঞ্জিত ঠাকুর নামে এক দই ব্যবসায়ী বলেন, ‘গরমে দইয়ের চাহিদা বেশি থাকে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ কেজি দই তৈরি হয়। আর রবিবার বা কোনও অনুষ্ঠানে ১০০ কেজির বেশিও দই হয়ে থাকে। এখানকার দইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়লে তা আরও ভালহবে।’

কীভাবে তৈরি হয় সিঙ্গুরের সুস্বাদু দই? এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন  খাঁটি গরুর দুধ। ভাল দই তৈরির জন্য দুধটা খাঁটি হওয়া চাই। সঙ্গে চাই সঠিক পরিমান চিনি। অর্থাৎ দুধ ও চিনির অনুপাতটা ঠিক থাকতে হবে। দুধ খাঁটি না হলে দই ভালহবে না। এই দই এর স্পেশালিটি দুধটাকে দীর্ঘ সময় ধরে ফোটানো। যদি ৫০ কেজি দুধ থাকে, তাহলে সেখান থেকে দই হবে ২৮ কেজি। তবেই বিষয়টা ক্ষীরের মতো হবে এবং আসবে জিভে জল আনা স্বাদ।

শুধু স্থানীয়েরা নয়, বহু দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ দই কিনতে আসেন সিঙ্গুরে। সুজিত কোলে নাম এক ক্রেতা বলেন, ‘সিঙ্গুরের দই বারবরই খুব ভাল, কারণ এখানকার দুধও খুব ভাল। এখানে দই খুব ভাল ভাবে তৈরি হয়। আমার বাড়ি নালিকুল। কিন্তু আমি সিঙ্গুরে দই নিতে এসেছি। নালিকুল থেকে সিঙ্গুরের মধ্যে অনেক মিষ্টির দোকান রয়েছে। কিন্তু বরাবরই আমি এখান থেকেই দই নিই।’ প্রবীরকুমার হাজরা নামে আরও এক ক্রেতা বলেন, ‘সিঙ্গুরের দইয়ের স্বাদ অত্যন্ত ভাল। তাই এখানকার দই আমাদের ভাললাগে। আমার বাড়ি বারুইপাড়া। কিন্তু এখানে দই নিতে আসি। স্বাদ ভালবলেই আসি।’

সিঙ্গুরের দুধ যে খুবই ভালো তা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার মধ্যে দিয়েও উঠে এসেছিল। আর অন্যান্য ক্রেতাদের মুখেও সেই দইয়েরই প্রশংসা যা বছরের পর বছর ধরে রসনাতৃপ্তি করছে ভোজনরসিকদের।