লাইফস্টাইল Weight Loss: ডায়েটিং বা এক্সারসাইজ ছাড়াই আচমকা ওজন কমছে? খুশির নয়, মারাত্মক চিন্তার বিষয়! কেন এমনটা হচ্ছে? জানাচ্ছে গবেষণা Gallery April 29, 2024 Bangla Digital Desk ওজন কমিয়ে কে না রোগা হতে চায়? কিন্তু ডায়েটিং বা এক্সারসাইজ ছাড়াই আচমকা যদি হুড়মুড়িয়ে আপনার ওজন কমতে থাকে, তবে কিন্তু তা মোটেই স্বাভাবিক নয়, এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই! উলটে অত্যন্ত চিন্তার বিষয়! বিশেষজ্ঞদের মতে, নিশ্চয়ই আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে কোন-ও জটিল-কঠিন রোগ, যার ফলে ওজন কমছে লাফিয়ে-লাফিয়ে! কোন কোন কারণে আচমকা ওজন কমতে থাকে? বেশ কিছু গুরুতর শারীরিক সমস্যার কারণে ওজন কমতে থাকে আচমকাই। যেমন– থাইরয়েড (হাইপোথাইরয়েডিজম) গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা ( হার্টের অসুখ, ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ বা প্যানক্রিয়াটাইটিস),ক্যানসার, এইচ আই ভি/ এইডস, টিউবারকিউলোসিস-এর মত ছোঁয়াচে অসুখ বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি। বেশ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও আচমকা হুড়মুড়িয়ে ওজন কমে। যেমন- অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট, স্টিমিউল্যান্ট, কেমোথেরাপির ওষুধ ও অটোইম্যিউন ডিজিজ-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধে ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অবসাদ, অ্যাংজাইটি, ইটিং ডিজঅর্ডার-এর ফলে হঠাৎ করেই ওজন কমতে থাকে। দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকা ট্রমা স্ট্রেসের কারণে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না, খিদে ও মেটাবলিজম কমে যায়, ফলে ওজন কমে। মেটাবলিক ডিজঅর্ডারের কারণেও আচমকা ওজন কমতে থাকে। মেটাবলিক ডিজঅর্ডার বিশেষ করে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস, বা অ্যাডরিনাল গ্ল্যান্ডের সমস্যাতেও আচমকা ওজন কমতে থাকে। কখন চিন্তার বিষয়– যদি ডায়েটিং বা এক্সারসিজ ছাড়াই কয়েক সপ্তাহে আপনার ওজনের ৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি, যদি সর্বক্ষণ ক্লান্ত লাগে, রাতে খুব ঘাম হয়, ঘনঘন জ্বরে ভোগেন, শরীরের নানা স্থানেই অকারণে ব্যথা হয় তবে অবশ্যই সতর্ক হন। কখন চিন্তার বিষয়– ওজন কমে যাওয়ার সঙ্গে যদি খিদে কমে যাওয়া, গিলতে অসুবিধা হওয়া, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা,গ্যাস কিংবা বমি পাওয়ার মত উপসর্গ দেখা দেয়, তবে সাবধান হন। ওজন কমে যাওয়ার সঙ্গে যদি নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়, যেমন সবকিছু ভুলে যাওয়া, মনোনিবেশ করতে না পারা, মেজাজ খিঁচড়ে থাকা তবে তা চিন্তার বিষয়। পাশাপাশি, ওজন কমে যাওয়ার সঙ্গে যদি লাগাতার সর্দি-কাসিতে ভোগেন, নিশ্বাসে কষ্ট হয় তবে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।