কলকাতা: রাজ্যের ছয়টি আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই দুই প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে।এমন কি, প্রচারেও নেমে পড়েছেন তৃণমূল এবং বিজেপি-র প্রার্থীরা।
ছয়টি আসনের সবকটিতেই জেতার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। অন্যদিকে তৃণমূলের অশ্বমেধের ঘোড়া থামাতে ছক কষছে বিজেপিও। কিন্তু বামেরা এখনও পর্যন্ত প্রার্থী নিয়ে আলোচনাই শেষ করতে পারেনি। দফায় দফায় কখনও বামফ্রন্টে, কখনও বা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে জট ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। দলীয় সূত্রে খবর, কংগ্রেসের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সঙ্কেত আসেনি। আইএসএফকে নিয়ে আবার শরিকদের একাংশের মধ্যে আপত্তি রয়েছে। সিপিআইএমএল লিবারেশনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চালানো হচ্ছে জোটের জন্য। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, তৃণমূলের ঘর ভাঙল বিজেপি! পদ্ম শিবিরে কোথায় কে প্রার্থী?
সূত্রের খবর, বঙ্গে গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরে বামেরা লড়াই করলেও উপনির্বাচনে তেমনটি হচ্ছে না। হাত ছাড়াই উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা সোমবার কিংবা মঙ্গলবার ঘোষণা করতে পারে বামেরা। মূলত, কংগ্রেসের দিক থেকে কোনও সাড়া না পাওয়ায় নিজেদের মতো করে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। কিন্তু, তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে গিয়ে ফের লোকসভা নির্বাচনের মতো উপনির্বাচনেও আইএসএফ-এর সঙ্গে আসন রফায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। সেই কারণে রবিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বাম শরিক দলগুলির বৈঠক থাকলেও তা স্থগিত রাখা হয়েছে। সোমবার সেই বৈঠক পুনরায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত যা খবর, বামেদের জন্য পাঁচটি আসন রেখে আইএসএফের জন্য একটি আসন ছাড়া হতে পারে। তবে লিবারেশনের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হলে আবার নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হবে৷
এ দিকে, নিজেদের সংগঠনের শক্তি পরীক্ষা করতে এবারের উপনির্বাচনে ছ’টি কেন্দ্রেই একলা লড়াইয়ের দিকে কংগ্রেস এগোতে চাইছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জেলা নেতৃত্বের উপরই এই বিষয়ে ভরসা রেখেছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর৷
লোকসভা নির্বাচনের কয়েকমাস পরে ছয় বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা করার পর নতুন উদ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে চাইছে কংগ্রেস। আর বামেরা কংগ্রেস না হলে লিবারেশন বা আইএসএফের মতো দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিকল্প জোটসঙ্গী বানানোর জন্য। আরজি কর আন্দোলন নিয়ে সিপিএম তথা বামেরা যতই মাঠে ময়দানে সক্রিয় হোক না কেন, নির্বাচনী রাজনীতিতে এখনও যেন গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না বাম নেতৃত্ব৷