কলকাতা: সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ড বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম-মৃত্যুদিন উপলক্ষে নির্দিষ্ট কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও ধর্নায় দুই দলের বিধায়করা। আর তাতেই সরগরম বিধানসভা চত্বর। এদিনের নির্দিষ্ট কর্মসূচির আগেই বরানগরের জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকাররা বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির নীচে এসে ধর্নায় বসে যান। অন্যদিকে ধর্নায় বসেছেন বিজেপির বিধায়কদের একাংশ। কোচবিহারে নারী নিগ্রহের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় ধর্নায় বিজেপি বিধায়করাও।
এরপরেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার কাণ্ডে বিজেপি বিধায়কদের ধর্না প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, “অনুমতি ছাড়া বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক আগে আবেদন করেছিলেন তাই ওদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমি ওদের অনুমতি দিইনি। কেন বসেছে জানি না। ব্যবস্থা নেওয়া যায় কী ভাবে, দেখছি। মার্শালকে বলব বিষয়টি দেখতে। আজ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। আজকের দিনে মাল্যদান অনুষ্ঠানে না এসে ওনারা ধর্না করছেন। আসা উচিত ছিল।”
স্পিকারের কথায়, “গণপিটুনি নিয়ে আইন বিধানসভায় পাশ হয়েছে কিন্তু রাজ্যপাল সেই বিল সই করেননি।” অন্যদিকে দুই বিধায়কের শপথ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, “রাজ্যপাল আজ আসুন দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ করান রাজ্যপাল অযথা জেদাজেদি করছেন শপথ নিয়ে।”
সবমিলিয়ে সোমবার বিধানসভায় কার্যত নজিরবিহীন দিন। একদিকে কোচবিহার কাণ্ডে বিজেপি বিধায়কদের ধর্না। অন্যদিকে শপথ না হওয়ায় দুই বিধায়কের ধর্না। দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের ধর্নায় উত্তাল বিধানসভা চত্বর।