হাড় মজবুত রাখে, রোধ করে দাঁতের ক্ষয়, ফুল-বীজ-বাকল সবই উপকারী

এই গাছ যেন ওষুধের দোকান! হাড় মজবুত রাখে, রোধ করে দাঁতের ক্ষয়, ফুল-বীজ-বাকল সবই উপকারী

Report: Ashish Kumar

পশ্চিম চম্পারণ: মহুভা বা মহুয়া পুষ্টি এবং ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। শুধু ফল নয়, এই গাছের ফুল, পাতা এবং বাকলও ঔষুধি গুণে ভরপুর। তবে এই বিষয়ে অবগত নন অনেকেই। শুধু ফলই খান অধিকাংশ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাছের পাতা, ফুল ও বাকল মহুয়ার ফলের মতোই উপকারী। মাঝোলিয়া ব্লকের বাসিন্দা এবং ঔষধি উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ রবিকান্ত পাণ্ডে মহুয়া গাছের ব্যবহার এবং ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন– জাহিরের সঙ্গে বিয়ের মাস দু’য়েকের মধ্যেই বাড়ি বিক্রির কারণ ব্যাখ্যা করলেন সোনাক্ষী; ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন অভিনেত্রীর দাদা

নড়তে থাকা দাঁতও নতুনের মতো হয়ে যায়: রবিকান্তের কথায়, মহুয়াতে ফসফরাস, সুগার, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন এবং ভিটামিন সি-সহ অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে স্যাপোনিন এবং ট্যানিন-সহ অনেক কার্যকরী উপাদানও রয়েছে, যা শরীরকে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে। দাঁতে ব্যথা হলে বা দাঁত নড়লে মহুয়া গাছের বাকলের নির্যাস দিয়ে গার্গল করতে হবে। অনেকেই বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে নড়তে থাকা দাঁতের শিকড় থেকে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হবে।

আরও পড়ুন– নোট গুণতে সময় লেগেছিল ১০ দিন, দেশের সবচেয়ে বড় আয়কর অভিযান সম্পর্কে জানেন?

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, হাড়ের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ: এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। যাঁদের হাড় দুর্বল বা হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে মহুয়া প্রাকৃতিক সমাধান নিয়ে আসতে পারে। আবার যাঁরা নিয়মিত জিমে যান, পেশি তৈরির জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্যও মহুয়া ভাল বিকল্প। যেহেতু মহুয়া ক্যালসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস, তাই এটা সরাসরি গরুর দুধের সঙ্গেও খাওয়া যায়।

গরুর দুধের সঙ্গে মহুয়া ফুল খাওয়া হয়: মহুয়াতে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট রয়েছে যা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে। এটা পেটের কৃমি নিধনে সহায়ক। পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখে। এপ্রিল মাসে হলুদ এবং সাদা রঙের ফুল ফোটে মহুয়া গাছে। গ্রামাঞ্চলে গরুর দুধের সঙ্গে এই ফুলই খাওয়া হয়। তাছাড়া এর পুডিং, ক্কাথ বা রুটি বানিয়েও খান অনেকে।