বায়ো বাবলের উল্লেখ করে কি সতীর্থদের একহাত নিলেন রোহিত শর্মা? কী বলছেন খেলোয়াড়?

#চেন্নাই: স্টেডিয়াম যতই দর্শকশূন্য হোক, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, সংক্ষেপে IPL-এর খেলা নিয়ে বিতর্ক একটা চলছেই! অনেকেরই দাবি- যে হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে দেশের নানা প্রান্তে, তাতে চলতি বছরে IPL আয়োজন করাটা কর্মকর্তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এক দিকে যেমন বায়ো বাবলে খেয়োয়াড়দের মুড়ে রাখার জন্য জলের মতো পয়সা খরচ হয়ে চলেছে, অন্য দিকে তেমনই এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিতর্কটিও। অনেক খেলোয়াড়ই এর আগে বলেছেন যে এভাবে বায়ো বাবলের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে। তবে সম্প্রতি যখন এই নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), তাঁর বক্তব্যে ধরা দিল সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর!

শর্মা তাঁর বক্তব্যে একটা দিক খুব স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলছেন যে এই করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই রকম একটা সময়ে খেলোয়াড়রা যে বায়ো বাবলে থাকতে পারছেন, তার জন্য তাঁদের আদতে কৃতজ্ঞই থাকা উচিত। কেন না খেলোয়াড়দের যেটা প্রধান কাজ, সেই খেলার সুযোগ থেকে তাঁদের কিন্তু এই চরম পরিস্থিতিতেও বঞ্চিত হতে হচ্ছে না। রোহিতের কথা থেকে বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না যে তিনি এক্ষেত্রে উপার্জনের দিকটাই নির্দেশ করছেন। এখনও খেলোয়াড়রা যে করে খেতে পারছে তার জন্য তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন BCCI এবং সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি।

এর পাশাপাশি তিনি তাঁ বক্তব্যে এই বায়ো বাবলের মধ্যে থাকার একটা সদর্থক দিকেরও উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন যে যখন IPL ২০২০-র খেলা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিশাহিতে, তখনও তাঁদের বায়ো বাবলের মধ্যে থাকতে হয়েছিল, এক পরিস্থিতির সম্মুখীন তাঁরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড ট্যুরের সময়েও। কিন্তু এই হোটেল-বদ্ধ জীবনে খেলোয়াড়রা পরস্পরের সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটাতে পেরেছেন, সুযোগ পেয়েছেন পরস্পরকে ভালো করে চেনার। তাঁদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে বলেই দাবি করছেন রোহিত। তিনি জানিয়েছেন যে এই সব ক’টা খেলার সময়ে যে ভালো স্মৃতি তৈরি হয়েছে, তা সবার কাছেই আজীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে। নির্দিষ্ট কারও নাম না নিয়ে রোহিতের মন্তব্য- এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন যাঁরা হোটেলের ঘর থেকে খেলার সময় ছাড়া বেরোন না, এই বায়ো বাবল-বন্দী জীবন তাঁদের সঙ্গেও মেলামেশার সুযোগ করে দিয়েছে।