সিপি-কে খোঁচা দিয়ে বড় পরামর্শ সুকান্ত মজুমদারের

Sukanta Majumdar: সিবিআই দফতরে পুলিশের দৌড়, সিপি-কে খোঁচা দিয়ে বড় পরামর্শ সুকান্ত মজুমদারের

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: সিবিআই দফতরে দৌড়ে হাজির হওয়ার ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ‘খোঁচা’র সুরে বড় পরামর্শ দিলেন সুকান্ত মজুমদার। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার লিখলেন, ‘‘সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে যাঁকে এতো দুরন্ত গতিতে দৌড়াতে দেখা যাচ্ছে তিনি কলকাতা পুলিশের একজন সহকারী ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মী। সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণ এড়াতে রীতিমত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তিনি এতো ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়াচ্ছেন কারণ, তিনি মুখ খুললে তাঁর উপরের আধিকারিকরা ফেঁসে যেতে পারেন।’’

আরও পড়ুন- বিনা নিমন্ত্রণে বিয়ের ভোজ খেতে হাজির, এরপর খামে ভরে কনেকে টাকা দিলেন সেই অতিথি; উপহারের খাম খুললেই নির্ঘাত ভিরমি খাবেন কনে…

সুকান্ত আরও লিখলেন, ‘‘তাঁরা ফেঁসে গেলে প্রশাসনের সর্বময় কর্তারাও ফাঁসবেন। তাই এতো দুরন্ত গতি…নিজে বাঁচলে বাপের নাম। আমি গতকালই এদের সম্পর্কে যথোপযুক্ত তথ্য দিয়েছিলাম। সতর্কও করেছিলাম। মাননীয় কমিশনার বিনীত বাবুকে আমার পরামর্শ, আপনার ডিপার্টমেন্টে এমন ‘জুয়েল দৌড়বাজ’ থাকলে এদের তো অলিম্পিক্সে পাঠাতে পারতেন। এতে পুলিশের মুখ উজ্জ্বল হতে পারতো, প্রতি পদে পদে মুখ পুড়ত না।’’

আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকে‌ও‌ বারবার তীব্র ভাষায় নিশানা করতে দেখা গিয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে।‌ বিনীত গোয়েলের অপসারণও দাবি করেছেন সুকান্ত। আর এবার কলকাতা পুলিশের এক এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী মঙ্গলবার যেভাবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে দৌড়ে সিবিআই দপ্তরের প্রবেশ করলেন সেই ছবি এখন রীতিমত ভাইরাল।

আরও পড়ুন– রাখিতে ভাইয়ের হাত ফাঁকা! বরের সঙ্গে আমেরিকায় ঘুরছেন সোনাক্ষী, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথা লিখলেন ভাই লব

সামান্য সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে কীভাবে এত দাপুটে হয়ে উঠেছিল সঞ্জয় রাই? সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও কীভাবে পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের ব্যারাকে থাকতেন তিনি? কীভাবে পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়ে অবাধে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের যত্রতত্র ঘুরে বেড়াত সঞ্জয়?‌ এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতেই সঞ্জয় রাই ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই ৷ মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের ওই কর্মীকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব পেয়ে এ দিন দুপুরেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন অনুপ দত্ত ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনেই এদিন ‌রীতিমত দৌড়তে দৌড়তে সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন অনুপ দত্ত। পুলিশ কর্মীর সেই দৌড়ের ভিডিও-সহ সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত ব্যঙ্গ করে এবার নিশানা করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।