লাউ একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। এছাড়া লাউ পকোড়া, কোফতা, জুস ইত্যাদিও তৈরি হয়।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এর ব্যবহার কিছু লোকের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। বিশেষ করে যারা পেট, রক্তচাপ, অ্যালার্জি, কিডনিতে পাথর, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা গর্ভাবস্থায় ভুগছেন। তাদের লাউ খাওয়া উচিত নয়। এমনকি খেলেও সতর্ক হওয়া উচিত এবং সুষম পরিমাণে খেতে হবে।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক পঙ্কজ কুমার জানান যে, লাউ খাদ্য সামগ্রীতে খুব ভাল ওষুধ হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটি সর্বত্র সহজেই পাওয়া যায়। ওষুধ হিসাবেও লাউ ব্যবহার করা যেতে পারে।খালি পেটে লাউয়ের জুস পান করে তবে তারা বিভিন্ন ধরনের রোগে উপকার পেতে পারে। এটি পেট পরিষ্কার রাখে।পরিপক্ক লাউয়ের রস পান করা পিত্তজনিত রোগ বা বিভিন্ন ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য একটি ওষুধ। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা এর জুস পান করতে পারেন।যাঁদের রক্তচাপ কম, গর্ভবতী বা অ্যালার্জি আছে, তাঁদের লাউ খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি এটি করেন তবে এটি সীমিত পরিমাণে করা উচিত। যারা গ্যাস, বদহজম বা পেটের আলসারে ভুগছেন তাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে লাউ খাওয়া উচিত।গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী লাউ খাওয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই সবজি বা এর রস বিপজ্জনক হতে পারে। তাই এই সময়ে কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তবে যাদের রক্তচাপ এমনিতেই কম তাদের জন্য। তাদের সীমিত পরিমাণে লাউ খাওয়া উচিত। অত্যধিক সেবন রক্তচাপকে আরও কমাতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।লাউ খাওয়ার পর যদি কারও চুলকানি, ত্বকে ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট এবং গলা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়, তাহলে লাউ থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এই অবস্থায় কারও লাউ খাওয়া উচিত নয়।লাউ অক্সালেট সমৃদ্ধ, যা কিডনি পাথরের রোগীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। এই ধরনের মানুষদের লাউ খাওয়া উচিত নয় বা সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, এইচআইভি/এইডস রোগী বা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন, এমন ব্যক্তিদের লাউ সাবধানে খাওয়া উচিত। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকজনিত সংক্রমণের প্রবণ, যা দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লোকদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
