বন‍্যার জন‍্য কেন দায়ী ড‍্যাম? আসল সমস‍্যা কোথায়? এই ৪ জলাধারের কারণেই ভাসছে বাংলা?

Dam: বন‍্যার জন‍্য কেন দায়ী ড‍্যাম? আসল সমস‍্যা কোথায়? এই ৪ জলাধারের কারণেই কী ভাসছে বাংলা?

পাঞ্চেত বা মাইথন জলাধার শুধু নয়৷ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী আরও দুটি ড্যাম৷ যথাযথ পরিকাঠামো উন্নয়ন করে এই দুটি বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে ভুগতে হচ্ছে দামোদরের নিম্ন অববাহিকাকে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ঝাড়খণ্ড সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তেনুঘাট ড্যাম।

যে চার ড্যাম দামোদরের নিম্ন অববাহিকার সঙ্গে সংযুক্ত তা হল, তেনুঘাট জলাধার-দামোদর নদীর ওপরে এই জলাধার। কিন্তু এখানে ফ্লাড কন্ট্রোল বা বন‍্যা নিয়ন্ত্রণের জায়গা নেই৷ জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি৷ বিহার সরকার এটা তৈরি করে। ডিভিসিও এই জলাধার নিয়ে মাথা ঘামায়নি৷

আরও পড়ুন: রুটি খেয়েই কমবে ডায়াবেটিস! গমের সঙ্গে মাত্র ২ টি জিনিস মেশালেই ম‍্যাজিক, রুটি হবে পুষ্টির ভাণ্ডার

এখানে আবার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করা আছে।পাঞ্চেত জলাধার -১৫০ কিমি দূরে তেনুঘাট থেকে। জল আসতে প্রায় ৮-১০ ঘন্টা সময় লাগে। পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়লেই চার কিলোমিটার দূরে বরাকর নদী সেখানে দামোদর মেশে৷ ৪৩৫ ফিট জল রাখা হয়৷ ৪৪৫ ফিট জলাধার তৈরি হয়। বন‍্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু আরও জায়গা প্রয়োজন ছিল নির্মাণের সময়।

মাইথন জলাধার – এটা বরাকর নদীর উপরে। এখানে জল রাখা যায় ৪৯৫ ফিট৷ কিন্তু জলাধার ৫০০ ফিটের। ফলে ৪৯৫ ফিটের  উপরে গেলেই জল ছাড়া হয়েছে। ফ্লাড কন্ট্রোল করা যায়। কিন্তু এখানেও সমস্যা জমি। তিলাইয়া জলাধার – এটা ছোট জলাধার। ফ্লাড কন্ট্রোল সেভাবে নেই৷ ফলে জল প্রাকৃতিক নিয়মেই নিম্ন অববাহিকায় চলে আসে। রাজ্যের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে কেন যথাযথ সময়ে ড্রেজিং করা হয় না।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের আগে একবার সাংসদে এই বিষয়ে জোরালো দাবি উঠেছিল। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানায় ড্রেজিং সম্ভব নয়। সেটা প্রথম সংসদে জানানো হয়, পলি রাখার জায়গা নেই। দুটো জলাধারে এই কাজ করতে গেলে ৫০ হাজার কোটি খরচ হবে। পাঞ্চেত ও মাইথনের আয়ু ৭৫ বছর। এর মধ্যে ৬৫ বছর কেটে গেছে।

আরও পড়ুন: মোবাইলের নেশায় আসক্ত বাড়ির খুদে? এই ৫ টিপস্ কাজে লাগান, নিজে থেকেই ফোন দেখা ছেড়ে দেবে সন্তান

তবে ডিভিসির এক প্রাক্তন আধিকারিক জানিয়েছেন মাইথন ও পাঞ্চেতের জন্য সয়েল কনভারজেশন অফিস করা আছে। এছাড়া ১৭ হাজার চেক ড্যাম ও কয়েক হাজার গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবেই ভূমিক্ষয় রোধ করা যাচ্ছে না। যার পরিণতি এই বিপুল সংখ্যক পলি জমে থাকা।