‘ভূতুড়ে শপিং মল’ বাড়ছে গোটা ভারতে! ভয়ঙ্কর ব্যাপার, কলকাতার অবস্থা ভাল নয়

কলকাতা : Ghost Shopping Malls. অর্থাৎ ভূতুড়ে শপিং মল। এর মানে কিন্তু এই নয় যে শপিং মলে ভূতের উপদ্রব রয়েছে! ব্যবসায়িক পরিভাষায়, যে শপিং মলগুলির বেশিরভাগ দোকানই খালি অবস্থায় পড়ে থাকে, এমনকী ক্রেতাদের উপস্থিতিও হয় অত্যন্ত কম হয়, সেগুলিকে ঘোস্ট শপিং মল বলা হয়।

দেশে ভুতুড়ে মলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে একটি প্রতিবেদন বেরিয়েছে সম্প্রতি। ভুতুড়ে শপিং সেন্টারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে লগ্নিকারীদের।

আরও পড়ুন- তেলঙ্গানায় নরেন্দ্র মোদির রোড শোর ছবি বলে প্রচার,ফ্যাক্টচেকে বেরিয়ে এল অন্য তথ্য

নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। Think India, Think Retail 2024 নামে প্রকাশিত এই রিপোর্টে দেশের ৮টি শহরের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের এই শহরগুলিতে ভূতুড়ে শপিং মলের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ভুতুড়ে মলের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ভূতুড়ে শপিং সেন্টারের সংখ্যা ৫৭ থেকে ৬৪টি হয়েছে। এই সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসানের অঙ্কও বেড়েছে। ভুতুড়ে শপিং সেন্টারের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ৬৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

যে মলগুলোর ৪০ শতাংশের বেশি জায়গা খালি থাকে তাকে বলা হয় ঘোস্ট মল। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের আটটি শহরের মোট ৬৪টি খালি মলের মধ্যে ২১টি মল দিল্লি-এনসিআর-এ রয়েছে।

বেঙ্গালুরুতে ১২টি এবং মুম্বইতে ১০টি রয়েছে। একইভাবে, কলকাতায় ৬, হায়দরাবাদে ৫, আহমেদাবাদে ৪ এবং চেন্নাইতে ও পুনেতে তিনটি। নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূতুড়ে মলের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে অর্থাৎ দিল্লি-এনসিআর-এ ৫৩ লক্ষ বর্গফুট এলাকায় ঘোস্ট শপিং সেন্টার রয়েছে।

আরও পড়ুন- নাবালিকার সঙ্গে সঙ্গম! চার বাচ্চার বাবা, ৭০ বছর বয়সে এবার জেলের গরাদের পিছনে

দিল্লি-এনসিআরের পর মুম্বই। সেখানে ২১ লক্ষ বর্গফুটে ভূতুড়ে শপিং সেন্টার রয়েছে। বেঙ্গালুরু তিন নম্বরে রয়েছে, সেখানে ২০ লক্ষ বর্গফুট ভূতুড়ে শপিং সেন্টার রয়েছে।

এছাড়াও আহমেদাবাদ, কলকাতা, হায়দরাবাদের মতো বড় শহরগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নাইট ফ্রাঙ্ক তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এক বছরে মহানগরীগুলিতে শপিং সেন্টারের সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালে মোট শপিং সেন্টারের সংখ্যা কমে ২৬৩ হয়েছিল। গত বছর ১৬টি শপিং মল বন্ধ ছিল দেশজুড়ে।