ভক্তদের মনে বিশ্বাস এই তারাপীঠের দ্বারকা নদীতে স্নান করে কেউ মা তারার কাছে কোন মনস্কামনা করলে তা পূরণ হয়।

Tarapith Kaushiki AmaVashya 2024: তারাপীঠ কেন মহাশ্মশান? কৌশিকী অমাবস্যার রাতে কী হয় এখানে? জেনে নিন বিশদে

বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরের কাছে ক্ষুদ্র মন্দির নগরী তারাপীঠ । এই শহর তান্ত্রিক দেবী তারার মন্দির ও মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানক্ষেত্রের জন্য বিখ্যাত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী এই মন্দির ও শ্মশান একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। এই মন্দির ৫১ সতীপীঠের অন্যতম বলে কথিত। এই স্থানটির নামও এখানকার ঐতিহ্যবাহী তারা আরাধনার সঙ্গে যুক্ত।
বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরের কাছে ক্ষুদ্র মন্দির নগরী তারাপীঠ । এই শহর তান্ত্রিক দেবী তারার মন্দির ও মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানক্ষেত্রের জন্য বিখ্যাত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী এই মন্দির ও শ্মশান একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। এই মন্দির ৫১ সতীপীঠের অন্যতম বলে কথিত। এই স্থানটির নামও এখানকার ঐতিহ্যবাহী তারা আরাধনার সঙ্গে যুক্ত।
তারাপীঠের মহাশ্মশানের মাহাত্ম্য বুঝতে গেলে তাকাতে হবে তারার তন্ত্রোক্ত রূপবর্ণনায়। তন্ত্রে তারাকে বলা হয়েছে দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। এই দ্বিতীয় মহাবিদ্যা দেবী তারা শায়িত শিবের বক্ষে দণ্ডায়মানা।
তারাপীঠের মহাশ্মশানের মাহাত্ম্য বুঝতে গেলে তাকাতে হবে তারার তন্ত্রোক্ত রূপবর্ণনায়। তন্ত্রে তারাকে বলা হয়েছে দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। এই দ্বিতীয় মহাবিদ্যা দেবী তারা শায়িত শিবের বক্ষে দণ্ডায়মানা।
দেবীর বামপদ অগ্রগামী, তাই দেবী ‘বামাকালী’ নামেও পরিচিতা। দেবীর গাত্রবর্ণ ঘননীল। অগ্নিময় শ্মশানে জ্বলন্ত চিতার মধ্য থেকে বিনির্গতা এই দেবী লোলজিহ্বা, লম্বোদরী, নবযৌবনা এবং মুণ্ডমালিনী।
দেবীর বামপদ অগ্রগামী, তাই দেবী ‘বামাকালী’ নামেও পরিচিতা। দেবীর গাত্রবর্ণ ঘননীল। অগ্নিময় শ্মশানে জ্বলন্ত চিতার মধ্য থেকে বিনির্গতা এই দেবী লোলজিহ্বা, লম্বোদরী, নবযৌবনা এবং মুণ্ডমালিনী।
ভাদ্র মাসের কৌশিকী আমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে এই তারাপীঠ মহাশ্মশানে। তন্ত্র এবং সাধনার জায়গা এই তারাপীঠ। কৌশিকী অমাবস্যায় বহু তন্ত্রসাধক এসে তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ করে থাকেন।
ভাদ্র মাসের কৌশিকী আমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে এই তারাপীঠ মহাশ্মশানে। তন্ত্র এবং সাধনার জায়গা এই তারাপীঠ। কৌশিকী অমাবস্যায় বহু তন্ত্রসাধক এসে তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ করে থাকেন।
মনে করা হয় মহাশ্মশানে দেবী তারার আবাস! তারাপীঠের মহাশ্মশানে জ্যোতি রূপে বাস করেন দেবী।
মনে করা হয় মহাশ্মশানে দেবী তারার আবাস! তারাপীঠের মহাশ্মশানে জ্যোতি রূপে বাস করেন দেবী।
*দেবী কৌশিকীর নাম অনুসারে এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা। বৈদিক শাস্ত্রমতে এই তিথিতে, এই দেবীর উৎপত্তি হয় এবং তিনি শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। তাই এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা। এই দিনে দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয়া স্তরের অন্যতম দেবী মা তারা মর্ত ধামে আবির্ভূত হন। বীরভুম জেলায় অবস্থিত তারাপীঠে এই উপলক্ষে বিশাল উত্‍সব হয়৷ সকল তন্ত্রসাধকদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যার এই রাত অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগৃহীত ছবি।
*দেবী কৌশিকীর নাম অনুসারে এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা। বৈদিক শাস্ত্রমতে এই তিথিতে, এই দেবীর উৎপত্তি হয় এবং তিনি শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। তাই এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা। এই দিনে দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয়া স্তরের অন্যতম দেবী মা তারা মর্ত ধামে আবির্ভূত হন। বীরভুম জেলায় অবস্থিত তারাপীঠে এই উপলক্ষে বিশাল উত্‍সব হয়৷ সকল তন্ত্রসাধকদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যার এই রাত অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগৃহীত ছবি।
*ভাদ্র মাসের এই কৌশিকী অমাবস্যার তিথিতে বিশেষ তন্ত্রমন্ত্রের ক্রিয়া চলে। তারাপীঠ মহাশ্মশানে গোটা রাত ধরে এই বিশেষ আরাধনায় বসেন। কথিত রয়েছে, এই তারাপীঠে, কৌশিকী অমাবস্যার দিনে সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তন্ত্র মতে, এই রাতকে 'তারা রাত্রি'ও বলা হয়। সংগৃহীত ছবি।
*ভাদ্র মাসের এই কৌশিকী অমাবস্যার তিথিতে বিশেষ তন্ত্রমন্ত্রের ক্রিয়া চলে। তারাপীঠ মহাশ্মশানে গোটা রাত ধরে এই বিশেষ আরাধনায় বসেন। কথিত রয়েছে, এই তারাপীঠে, কৌশিকী অমাবস্যার দিনে সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়। সংগৃহীত ছবি।
*মা তারারই আরেক নাম কৌশিকী। এই দিনেই দশমহাবিদ্যার অন্যতমা দেবী তারা মর্ত্যধামে আবির্ভূতা হন বলেই বিশ্বাস। এদিনটিতে বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার বিশাল পুজো ও উৎসব হয়। ভক্তেরা ছোটেন তারাপীঠে পুণ্যলাভের উদ্দেশ্যে। সংগৃহীত ছবি।
*মা তারারই আরেক নাম কৌশিকী। এই দিনেই দশমহাবিদ্যার অন্যতমা দেবী তারা মর্ত্যধামে আবির্ভূতা হন বলেই বিশ্বাস। এদিনটিতে বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার বিশাল পুজো ও উৎসব হয়। ভক্তেরা ছোটেন তারাপীঠে পুণ্যলাভের উদ্দেশ্যে। সংগৃহীত ছবি।
*ভাদ্র মাসের এই কৌশিকী অমাবস্যার তিথিতে বিশেষ তন্ত্রমন্ত্রের ক্রিয়া চলে। তারাপীঠ মহাশ্মশানে গোটা রাত ধরে এই বিশেষ আরাধনায় বসেন। কথিত রয়েছে, এই তারাপীঠে, কৌশিকী অমাবস্যার দিনে সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়। সংগৃহীত ছবি।
অশুভ শক্তিকে তন্ত্র সাধনার দ্বারা দমন করা যায় আমাবস্যার এই পবিত্র লগ্নে । তবে কেন এই অমাবস্যা তিথিতে তারাপীঠে মহাযজ্ঞ করা হয়ে থাকে? কেন তারাপীঠকে মহাশ্মশান বলা হয়?
অশুভ শক্তিকে তন্ত্র সাধনার দ্বারা দমন করা যায় আমাবস্যার এই পবিত্র লগ্নে । তবে কেন এই অমাবস্যা তিথিতে তারাপীঠে মহাযজ্ঞ করা হয়ে থাকে? কেন তারাপীঠকে মহাশ্মশান বলা হয়?
এই বিষয়ে এক তন্ত্র সাধক সমীর নাথ অঘোরী জানান, মহাশ্মশানস্থিত বামাক্ষ্যাপার পঞ্চমুণ্ডের আসন। এই পঞ্চমুণ্ডের আসন আলাদা। এখানে পাঁচটি মুণ্ড সাপের, ব্যাঙের, খরগোশের, শিয়ালের এবং মানুষের। এই আসনে বসেই বহু যুগ পূর্বে দেবীকে তুষ্ট করে তারাপীঠকে সিদ্ধপীঠে পরিণত করেছিলেন ঋষি বশিষ্ঠ।
এই বিষয়ে এক তন্ত্র সাধক সমীর নাথ অঘোরী জানান, মহাশ্মশানস্থিত বামাক্ষ্যাপার পঞ্চমুণ্ডের আসন। এই পঞ্চমুণ্ডের আসন আলাদা। এখানে পাঁচটি মুণ্ড সাপের, ব্যাঙের, খরগোশের, শিয়ালের এবং মানুষের। এই আসনে বসেই বহু যুগ পূর্বে দেবীকে তুষ্ট করে তারাপীঠকে সিদ্ধপীঠে পরিণত করেছিলেন ঋষি বশিষ্ঠ।
সেই আসন আজও বিদ্যমান। সাধক বামাক্ষ্যাপাও এই আসনে বসে তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন মহাশ্মশানের শ্বেতশিমুল বৃক্ষের তলায়। অর্থাৎ, এই আসন আজও জাগ্রত। সেই কারণেই এই শ্মশানকে মহাশ্মশান বলা হয়ে থাকে।
সেই আসন আজও বিদ্যমান। সাধক বামাক্ষ্যাপাও এই আসনে বসে তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন মহাশ্মশানের শ্বেতশিমুল বৃক্ষের তলায়। অর্থাৎ, এই আসন আজও জাগ্রত। সেই কারণেই এই শ্মশানকে মহাশ্মশান বলা হয়ে থাকে।
*জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কৌশিকী অমাবস্যার দিন সংযম পালন করতে হয়৷ তাই এদিন উপোস রাখতে পারলে খুবই ভাল। তা না পারলেও নিরামিষ খান। এদিন মা তারার পায়ে সিঁদুর ও লাল রক্তজবা নিবেদন করুন ও ভক্তিভরে প্রার্থণা করুন। এতে আপনার জীবন থেকে অমাবস্যার কালো ছায়া বা অশুভ প্রভাব সরে যেতে পারে।
*জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কৌশিকী অমাবস্যার দিন সংযম পালন করতে হয়৷ তাই এদিন উপোস রাখতে পারলে খুবই ভাল। তা না পারলেও নিরামিষ খান। এদিন মা তারার পায়ে সিঁদুর ও লাল রক্তজবা নিবেদন করুন ও ভক্তিভরে প্রার্থণা করুন। এতে আপনার জীবন থেকে অমাবস্যার কালো ছায়া বা অশুভ প্রভাব সরে যেতে পারে।
১৫ ভাদ্র অর্থাৎ রবিবার ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৫’টা ৭ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে তিথি। অমাবস্যা স্থায়ী হবে ১৭ ভাদ্র মঙ্গলবার সকাল ৬ টা বেজে ৩১ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ ইংরেজির ৩ সেপ্টেম্বর। কৌশিকী আমাবস্যার নিশি বা ব্রত পালন করা হবে আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার অর্থাৎ ১৬ ভাদ্র।
১৫ ভাদ্র অর্থাৎ রবিবার ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৫’টা ৭ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে তিথি। অমাবস্যা স্থায়ী হবে ১৭ ভাদ্র মঙ্গলবার সকাল ৬ টা বেজে ৩১ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ ইংরেজির ৩ সেপ্টেম্বর। কৌশিকী আমাবস্যার নিশি বা ব্রত পালন করা হবে আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার অর্থাৎ ১৬ ভাদ্র।
*দেবী পার্বতী অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন। ত্রিলোকে ফিরিয়ে এনেছিলেন শান্তি। এই অমাবস্যা তিথিতেই অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন দেবী কৌশিকী। আর সেই অমাবস্যা তিথিকে কৌশিকী অমাবস্যা বলা হয়।
*দেবী পার্বতী অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন। ত্রিলোকে ফিরিয়ে এনেছিলেন শান্তি। এই অমাবস্যা তিথিতেই অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন দেবী কৌশিকী। আর সেই অমাবস্যা তিথিকে কৌশিকী অমাবস্যা বলা হয়।
*কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অন্য অমাবস্যার থেকে আলাদা। বলা হয়, তন্ত্রসাধকদের জন্য এই রাত মহানিশি, মহাতিথি। সাধারণ মানুষ এই তিথি পালন করেন তাঁদের জীবনের বাধা-বিপত্তি দূর করতে, জীবন থেকে অশুভ শক্তিকে সরিয়ে দিতে। সংগৃহীত ছবি।
*কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অন্য অমাবস্যার থেকে আলাদা। বলা হয়, তন্ত্রসাধকদের জন্য এই রাত মহানিশি, মহাতিথি। সাধারণ মানুষ এই তিথি পালন করেন তাঁদের জীবনের বাধা-বিপত্তি দূর করতে, জীবন থেকে অশুভ শক্তিকে সরিয়ে দিতে। সংগৃহীত ছবি।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)