৮ কোটির জন্য স্বামীকে খুন করল স্ত্রী, দেহ পুঁতল ৮০০ কিমি দূরে কফি বাগানে!

Wife kills Husband: ৮ কোটির জন্য স্বামীকে খুন করল স্ত্রী, দেহ পুঁতল ৮০০ কিমি দূরে কফি বাগানে!

নয়াদিল্লি: দুনিয়ায় মানবতা শেষ হয়ে গিয়েছে। মানুষ অর্থের জন্য নিজের কাছের মানুষকেও হত্যা করতে দ্বিধা করেনা। যার সঙ্গে জীবনের শেষ পর্যন্ত থাকার অঙ্গীকার করে, তাকেই মৃত্যুর কোলে পাঠাতে এখন আর কোনও সংকোচ করে না কেউ।

তেলেঙ্গানায় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে৷ যা বিশ্বাস করা রীতিমতো কঠিন। এক মহিলা অর্থের জন্য তার স্বামীকে হত্যা করেছে। তবে, এতে স্বামী স্ত্রী-এর পাশাপাশি আরও একজন রয়েছে৷ তিনি এই স্ত্রী-এর প্রেমিকা৷

আরও পড়ুন:  বিয়ের ৬ মাস পর চাকরিতে যোগ, ১৮ দিনের মধ্যে স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পেল স্ত্রী

পুলিশ জানিয়েছে, তেলেঙ্গানায় এক মহিলা তার স্বামীকে ৮ কোটি টাকার সম্পত্তির জন্য হত্যা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, মহিলা স্বামীর মৃতদেহ লুকানোর জন্য ৮০০ কিমি সফর করেছে। এই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃতের স্ত্রী নিহারিকা, তার প্রেমিক নিখিল এবং আর এক অভিযুক্ত অঙ্কুর রয়েছে।

অভিযোগ আছে যে, নিহারিকা তার প্রেমিক এবং অঙ্কুরের সাহায্যে তার স্বামীকে হত্যা করেছে এবং মৃতদেহ কর্নাটকের কোডাগু জেলায় নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহারিকা ১ অক্টোবর তার ৫৫ বছর বয়সী ব্যবসায়ী স্বামী রমেশকে হত্যার পরিকল্পনা করে। রমেশ তার ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি স্ত্রীর নামে লিখে দিতে অস্বীকার করেছিলেন৷ এর পরেই নিহারিকা এই ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পর নিহারিকা তার দুই সহযোগীর সঙ্গে রমেশের মৃতদেহ কর্নাটকের কোডাগু জেলার এক কফি বাগানে নিয়ে গিয়েছিল। এই মামলা তিন সপ্তাহ আগে সামনে আসে, যখন কর্নাটকের কোডাগু জেলায় একটি অজ্ঞাত এবং পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের কাছে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহের পরিচয় বের করা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল।

আরও পড়ুন: কুকুরের ডাকে অতিষ্ঠ, মেজাজ হারিয়ে গুলি করে হত্যা করলেন ব্যক্তি! বিস্তারিত জানুন

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। এই সময় একটি লাল রঙের গাড়ি পুলিশের নজরে আসে। তদন্তে পরবর্তী সময়ে জানা যায় যে, গাড়িটি রমেশের নামে রেজিস্টার্ড৷ পুলিশ তেলেঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার তদন্ত শুরু করে। ব্যবসায়ীর হত্যার ষড়যন্ত্রের তদন্ত যত এগোতে থাকে, পুলিশের নিহারিকার প্রতি সন্দেহ বাড়তে থাকে।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিহারিকা তার অপরাধ স্বীকার করে এবং তার সহযোগীদের নামও জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহারিকা পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কম বয়সে বিয়ে করেন এবং মা হওয়ার পর তার ডিভোর্স হয়ে যায়। নিহারিকা হরিয়ানায় একটি আর্থিক জালিয়াতির মামলায় বন্দী ছিল, যেখানে তার সাক্ষাৎ হয় আর এক অভিযুক্ত অঙ্কুরের সঙ্গে।

জেল থেকে মুক্তির পর তিনি রমেশের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই সময় তার নিখিলের সঙ্গেও একটি সম্পর্ক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, নিহারিকা তার প্রেমিক নিখিল এবং অভিযুক্ত অঙ্কুরের সঙ্গে মিলিত হয়ে রমেশের সম্পত্তি হাতানোর জন্য তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে।