নিউ জার্সি: কলকাতায় বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়ার ঘটনা উসকে দিল আমেরিকার নিউ জার্সির ঘটনা। গত রবিবার নিউ জার্সির কাম্বারল্যান্ড কাউন্টির কোজানচিক চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় ঢুকে রয়্যাল বেঙ্গলকে খোঁচাতে দেখা যায় এক মহিলাকে। এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় খোদ বাঘমামাও। কালো টি শার্ট পরা ওই মহিলাকে দেখা যায় বাঘের থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে দাঁড়িয়ে তিনি সমানে বাঘটিকে খোঁচানোর চেষ্টা করছেন। এই কাণ্ড দেখে কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় সাত বছরের, ৫০০ পাউন্ডের এই অতিকায় প্রাণীটিও। কিন্তু গর্জন শুরু করতেই মহিলা সেখান থেকে চলে যান।
আরও পড়ুন: ভিসা ফ্রি শ্রীলঙ্কা, সুখবর ভারতীয় পর্যটকদের জন্য, দেখে নিন কার্যকরের দিনক্ষণ
অবশ্য বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। ১৯৯৬ সালেও দুই মত্ত যুবক কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় ঢুকে পড়েন বাঘকে মালা পরানোর জন্য। তাঁরা অবশ্য বেঁচে ফেরেননি। বাঘের আক্রমণে মারা যান দুজনেই। এরপরে কিছু বছর আগে আবারও বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে সেই আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই। এবার অবশ্য ঘটনাস্থল কলকাতা নয় তা আমেরিকা।
LOOK: Bridgeton Police want to identify this woman, who climbed over the tiger enclosure’s wooden fence at the Cohanzick Zoo “and began enticing the tiger, almost getting bit by putting her hand through the wire enclosure.” 1/4 pic.twitter.com/DPRFi5xFg1
— Steve Keeley (@KeeleyFox29) August 21, 2024
আমেরিকার ব্রিজটন পুলিশ দফতরের সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে খুঁজে বের করতে তৎপর হয়েছে তাঁরা। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই ভিডিও তাঁরা মুছে ফেলেছে তবে আরও এক সংবাদসংস্থার তরফ থেকে ষ্টিভ কিলি নিজের এক্স হ্যান্ডলে এই ঘটনার ভিডিও তুলে ধরেছেন। এই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো টপ এবং সাদা শর্টস পরা এক মহিলা বাঘের খাঁচার খুব দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি সমানে বাঘটিকে স্পর্শ করার চেষ্টা করে চলেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঘটি গর্জন করে এগিয়ে আসতেই মহিলা জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক ষ্টিভ লেখেন, “যেখানে লেখা আছে বেড়া টপকাবেন না। আশা করা যায় ওই মহিলাকে স্থানীয় মানুষরা এবং পুলিশ ওই মহিলাকে খুঁজে বের করতে পারবেন,।”
ইতিমধ্যেই এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত ভাইরাল হয়েছে। ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে এই শিউরে ওঠা ঘটনার। নেটাগরিকরা এই ঘটনায় মুখও খুলেছেন। একজন লিখেছেন, “লজ্জা, ওই মহিলাকে বাঘটা কেন খেয়ে ফেলল না! প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী এটাই হওয়া উচিত ছিল।”
আর একজন নেটাগরিক লেখেন “এইসব বোকা মানুষদের জন্যই বন্যপ্রাণীদের হত্যা করা হয়। অথচ এঁদের কোনও দোষই থাকে না।”