প্রিন্সিপালের গায়ে হাত না দিলেও ঘিরেই দাঁড়িয়েছিলেন শিক্ষকরা। Woman Principal Pulled From Chair

Principal Pulled From Chair: প্রিন্সিপালকে ধাক্কা মেরে চেয়ার থেকে সরিয়ে দিলেন শিক্ষিকারা! অবাক ভিডিও ভাইরাল

প্রয়াগরাজ: নিজেদের পছন্দের প্রিন্সিপালকে চেয়ারে বসানোর উপায় নাকি গায়ের জোর! কোনও যোগ্যতা মাপক পরীক্ষা নয়, কাগজপত্রের আদানপ্রদান বা সইসাবুদ নয়। স্রেফ গায়ের জোরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল চেয়ার। আগের প্রিন্সিপালকে চেয়ার থেকে বলপূর্বক উঠিয়ে পরের জনকে বসিয়ে দেওয়া হল সেই চেয়ারে। এভাবেই চোখের সামনে অভিষিক্ত হলেন নতুন প্রিন্সিপাল। উপস্থিত বাকি সহকর্মীরা মিলে হাততালি দিয়ে উঠলেন। নতুন প্রধান শিক্ষিকাকে সাধুবাদ জানালেন। সেই আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের এক স্কুল, বিশপ জনসন গার্লস।

সম্প্রতি এক ব্যক্তি ভিডিওতে গোটা ঘটনা রেকর্ড করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন। ২মিনিট ২০ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটি নেট দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলেছে। সমালোচনায় মুখর হয়েছে শিক্ষাজগত। এই কি স্কুলের পরিবেশ? প্রধানা শিক্ষিকার গায়ে হাত দিয়ে কার্যত ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছেন অন্যান্য শিক্ষিকারা। এ কেমন উদাহরণ রাখছেন তাঁরা শিক্ষার্থীদের সামনে? মন্তব্যে বিক্ষোভ একাংশের। ভিডিওটি পোস্ট করা মাত্রই বিপুল সংখ্যক ভিউ এবং শেয়ার হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, হল্লা করে প্রধান শিক্ষিকার অফিসে ঢুকে তাঁর চেয়ার ধরে টানতে শুরু করলেন শিক্ষিকারা। চেয়ার থেকে ওঠানোর চেষ্টা চলতে লাগল। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা উঠলেন না। ঘটনাটিতে যে শিক্ষকদেরও সমর্থন রয়েছে তা বোঝা গেল। প্রিন্সিপালের গায়ে হাত না দিলেও ঘিরেই দাঁড়িয়েছিলেন শিক্ষকরা।

অবশেষে চেয়ার থেকে সরানো গেল আগের প্রিন্সিপালকে। অফিস থেকে বার করে দিয়ে তাঁর ফোনও কেড়ে নেওয়া হল। তাঁরই চেয়ারে পছন্দের প্রিন্সিপালকে বসিয়ে তবেই ক্ষান্ত দিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই ভিডিয়ো দেখে প্রশ্ন উঠছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েই। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, শিক্ষার ব্যাবসায়িক চেহারার দিকে আঙুল তুলে। যদিও কেন এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এল সে নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।