আজকাল বেশিরভাগ মানুষ অফিসে বা বাড়িতে কাজ করার সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ারে বসে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে পিঠে ব্যথা, ঘাড় শক্ত হওয়া বা পেশীতে খিঁচুনি হওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ভুলভাবে বসে থাকার কারণে এমনটি হয়। অর্থোপেডিক চিকিৎসক জ্ঞানেশ্বর টক জানাচ্ছেন কোন কোন নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা এড়ানো যায়।স্প্যাসম হল এক ধরনের পেশীর খিঁচুনি বা শক্ত হয়ে যাওয়া, যেটা অনেকক্ষণ এক অবস্থানে বসে থাকার কারণে হতে পারে। ভুলভাবে বসা বা পেশীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণেও হয়। যাঁরা সারাদিন কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে এই সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ, একটানা চেয়ারে বসে থাকবেন না, এই সময়ের মধ্যে এক বা দু’ঘণ্টা বিশ্রাম নিন।বিশেষজ্ঞদের মতে, বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা হওয়া উচিত। চেয়ারটি এমন হওয়া উচিত যাতে এটি পিঠকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে এবং যখন বসবেন তখন আপনার কোমর চেয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এটি মেরুদণ্ডে অপ্রয়োজনীয় চাপ দেয় না এবং আপনি খিঁচুনি এড়াতে পারেন।ঘাড় এবং মাথা সোজা রাখা খুবই জরুরি। মাথা যদি ক্রমাগত সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে তবে এটি ঘাড়ের পেশীগুলির উপর চাপ বাড়াবে, যার ফলে খিঁচুনি সমস্যা হতে পারে। কম্পিউটার স্ক্রন চোখের স্তরে রাখুন যাতে আপনাকে মাথা নিচু করতে না হয়।বসার সময় হাঁটু ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো উচিত এবং পা মাটিতে আরামে রাখা উচিত। পা সঠিক সাপোর্ট না পেলে কোমর-পায়ে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে। প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পর দাঁড়ানো এবং একটু হাঁটা বা পেশী প্রসারিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে কিছুটা স্বস্তি দেয়।জলের অভাবে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং খিঁচুনি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সারাদিন পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন যেমন স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম বা হাঁটা, যাতে শরীরের পেশী শক্তিশালী এবং নমনীয় থাকে।ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজগুলির অভাবও পেশীতে খিঁচুনি সৃষ্টি করতে পারে। তাই সুষম খাদ্য খান।
