গোটা বিশ্বকে তিনি তাঁর গানের ছন্দে-সুরে নাচিয়ে ছেড়েছেন। কিন্তু সেই সুপারস্টার গায়কই এখন একেবারে বদলে গিয়েছেন। কারণ এক মারাত্মক অসুস্থতা। কথা বলছি হিরদেশ সিং-কে নিয়ে।

Yo Yo Honey Singh: ভয়ঙ্কর নেশা-অবসাদ-বাইপোলার ডিজঅর্ডারের গ্রাসে গান থেমেছে বিখ্যাত এই গায়কের, তিনি কে জানলে চোখে জল আসবে!

গোটা বিশ্বকে তিনি তাঁর গানের ছন্দে-সুরে নাচিয়ে ছেড়েছেন। কিন্তু সেই সুপারস্টার গায়কই এখন একেবারে বদলে গিয়েছেন। কারণ এক মারাত্মক অসুস্থতা। কথা বলছি হিরদেশ সিং-কে নিয়ে।
গোটা বিশ্বকে তিনি তাঁর গানের ছন্দে-সুরে নাচিয়ে ছেড়েছেন। কিন্তু সেই সুপারস্টার গায়কই এখন একেবারে বদলে গিয়েছেন। কারণ এক মারাত্মক অসুস্থতা। কথা বলছি হিরদেশ সিং-কে নিয়ে।
না, হিরদেশ সিং বললে তাঁকে চেনা কঠিন। কারণ তাঁকে ভক্তরা চেনেন ইয়ো ইয়ো হানি সিং নামে। যে গায়কের সুরে-ছন্দে মাটিতে পা টিকিয়ে রাখা দায়, সে-ই নাকি ৭ বছর একেবারে একা-ঘরবন্দি হয়ে থেকেছেন। কিন্তু কেন?
না, হিরদেশ সিং বললে তাঁকে চেনা কঠিন। কারণ তাঁকে ভক্তরা চেনেন ইয়ো ইয়ো হানি সিং নামে। যে গায়কের সুরে-ছন্দে মাটিতে পা টিকিয়ে রাখা দায়, সে-ই নাকি ৭ বছর একেবারে একা-ঘরবন্দি হয়ে থেকেছেন। কিন্তু কেন?
পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরের হির্দেশ সিংহ নামটি বেশি লোকে না জানলেও র‍্যাপ-তারকা 'ইয়ো ইয়ো' হানি সিংহের নাম ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে। গানের জন্য যেমন তাঁর খ্যাতি, তেমনই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও বলিপাড়ায় বেশ চর্চিত। বেশ কিছু বছর কাজ থেকে বিরতি নিয়ে আবার তিনি ফিরে এসেছেন নতুন গানের সম্ভার নিয়ে।
পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরের হির্দেশ সিংহ নামটি বেশি লোকে না জানলেও র‍্যাপ-তারকা ‘ইয়ো ইয়ো’ হানি সিংহের নাম ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে। গানের জন্য যেমন তাঁর খ্যাতি, তেমনই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও বলিপাড়ায় বেশ চর্চিত। বেশ কিছু বছর কাজ থেকে বিরতি নিয়ে আবার তিনি ফিরে এসেছেন নতুন গানের সম্ভার নিয়ে।
কর্মজীবনের শীর্ষে থাকার সময় কেন তিনি বিরতি নিয়েছিলেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হানি জানিয়েছেন, একটা সময় গিয়েছে যখন তিনি বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভুগছিলেন।
কর্মজীবনের শীর্ষে থাকার সময় কেন তিনি বিরতি নিয়েছিলেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হানি জানিয়েছেন, একটা সময় গিয়েছে যখন তিনি বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভুগছিলেন।
হানি বলেন, ‘‘আমার হাতে তখন একাধিক কাজ। সব ভালই চলছিল। হঠাৎই আর কাজে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। আমি বুঝতে পারছিলাম, আমার মাথায় কিছু সমস্যা হচ্ছে আর দ্রুত তার চিকিৎসা করানো দরকার। তার পরেই ধরা পড়ে, আমি বাইপোলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত।’’
হানি বলেন, ‘‘আমার হাতে তখন একাধিক কাজ। সব ভালই চলছিল। হঠাৎই আর কাজে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। আমি বুঝতে পারছিলাম, আমার মাথায় কিছু সমস্যা হচ্ছে আর দ্রুত তার চিকিৎসা করানো দরকার। তার পরেই ধরা পড়ে, আমি বাইপোলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত।’’
বাইপোলার ডিজঅর্ডার এমন একটি মানসিক রোগ, যাতে রোগীর মেজাজ চরমভাবাপন্ন হয়ে যায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, রোগী কখনও হাসিখুশি থাকেন, আবার পরক্ষণেই তীব্র অবসাদে ডুবে যেতে পারেন।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার এমন একটি মানসিক রোগ, যাতে রোগীর মেজাজ চরমভাবাপন্ন হয়ে যায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, রোগী কখনও হাসিখুশি থাকেন, আবার পরক্ষণেই তীব্র অবসাদে ডুবে যেতে পারেন।
বাইপোলার ডিজ়অর্ডারে ভুগলে এই পরিস্থিতির পাশাপাশি হঠাৎই রোগী ম্যানিয়ার পর্যায় চলে যান। এ সময়ে যে কোনও কাজে উৎসাহের মাত্রা প্রচণ্ড বেড়ে যায়। রোগীর মধ্যে সব সময় খুশি খুশি ভাব থাকে, তিনি অতিরিক্ত কথা বলতে শুরু করেন, আত্মবিশ্বাস হঠাৎই প্রচণ্ড বেড়ে যায়। কেউ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন, কেউ অতিরিক্ত শরীরচর্চা করতে শুরু করেন, যৌন আসক্তিও বেড়ে যেতে পারে এ সময়ে।
বাইপোলার ডিজ়অর্ডারে ভুগলে এই পরিস্থিতির পাশাপাশি হঠাৎই রোগী ম্যানিয়ার পর্যায় চলে যান। এ সময়ে যে কোনও কাজে উৎসাহের মাত্রা প্রচণ্ড বেড়ে যায়। রোগীর মধ্যে সব সময় খুশি খুশি ভাব থাকে, তিনি অতিরিক্ত কথা বলতে শুরু করেন, আত্মবিশ্বাস হঠাৎই প্রচণ্ড বেড়ে যায়। কেউ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন, কেউ অতিরিক্ত শরীরচর্চা করতে শুরু করেন, যৌন আসক্তিও বেড়ে যেতে পারে এ সময়ে।
একে মনোবিদরা ‘ম্যানিয়াক এপিসোড’ বলেন। আর এতটা চরম পর্যায়ে না গিয়ে আচরণগুলি কিছুটা মাঝামাঝি জায়গায় থাকলে, তাকে ‘হাইপোম্যানিয়াক এপিসোড’ বলে।
একে মনোবিদরা ‘ম্যানিয়াক এপিসোড’ বলেন। আর এতটা চরম পর্যায়ে না গিয়ে আচরণগুলি কিছুটা মাঝামাঝি জায়গায় থাকলে, তাকে ‘হাইপোম্যানিয়াক এপিসোড’ বলে।
হানি নিজেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একটা সময় তিনি এই মানসিক রোগের শিকার হয়ে প্রাক্তন স্ত্রী শালিনী তলওয়ার ও পরিবারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তবে এত অসুস্থ হয়েও তিনি রিহ্যাব যাননি বলে দাবি গায়কের। বাড়িতেই টানা চিকিৎসা চলেছে তাঁর।
হানি নিজেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একটা সময় তিনি এই মানসিক রোগের শিকার হয়ে প্রাক্তন স্ত্রী শালিনী তলওয়ার ও পরিবারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তবে এত অসুস্থ হয়েও তিনি রিহ্যাব যাননি বলে দাবি গায়কের। বাড়িতেই টানা চিকিৎসা চলেছে তাঁর।
গায়ক আরও জানিয়েছেন, মদ থেকে বিভিন্ন ধরনের শুকনো মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, দীপিকা পাড়ুকোনরা।
গায়ক আরও জানিয়েছেন, মদ থেকে বিভিন্ন ধরনের শুকনো মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, দীপিকা পাড়ুকোনরা।
দীর্ঘ বছর তিনি গান থেকে দূরে, মিডিয়া, লাইমলাইট থেকে বহু দূরে সময় কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে ধীরে ধীরে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন হানি।
দীর্ঘ বছর তিনি গান থেকে দূরে, মিডিয়া, লাইমলাইট থেকে বহু দূরে সময় কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে ধীরে ধীরে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন হানি।
সমস্ত মাদকাসক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে এই মুহূর্তে নতুন করে বাঁচতে চাইছেন। খুব শীঘ্রই একটি ডকুমেন্টারিতে দেখা যাবে এই বিখ্যাত গায়ককে। নিজের জীবন নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
সমস্ত মাদকাসক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে এই মুহূর্তে নতুন করে বাঁচতে চাইছেন। খুব শীঘ্রই একটি ডকুমেন্টারিতে দেখা যাবে এই বিখ্যাত গায়ককে। নিজের জীবন নিয়ে কথা বলবেন তিনি।