বিনোদন Bollywood News: জিনাতের সঙ্গে সঞ্জয়ের পরকীয়া! বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কী বললেন জায়েদ Gallery August 6, 2024 Bangla Digital Desk সত্তর-আশির দশকে বলিউডে চর্চার বিষয় ছিল বিস্তর। তারকাদের বিলাসবহুল জীবনযাপন থেকে শুরু করে স্ক্যান্ডাল – এই সব কিছুই ছিল। আর সেই সময়কার সবথেকে চর্চিত ছিল অভিনেতা তথা পরিচালক সঞ্জয় খান এবং কিংবদন্তি অভিনেত্রী জিনাত আমনের প্রেমকাহিনি। তাঁদের সেই প্রেম নিয়ে খবরের কাগজে লেখালিখিও হয়েছে প্রচুর। যার প্রভাব পড়েছিল দুই তারকার পরিবারের উপরেই। সম্প্রতি সেই পর্ব নিয়েই জ্যুমের এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন সঞ্জয় খানের পুত্র জায়েদ খান। সেই সময়কার স্মৃতিচারণ করে জায়েদ বলেন যে, “শুধুমাত্র আমার বাবার বাড়িতেই নয়, প্রত্যেকটা অভিনেতার ঘরেই এমনটা দেখা যেত। একজন কিংবা দুজন ছাড়া প্রত্যেকেই প্রচণ্ড অদ্ভুত ধরনের ছিলেন। ওই ব্যতিক্রমী একজন কিংবা দুজন আন্তরিক এবং মাটির মানুষ ছিলেন। আর বাকিদের কথা না বলাই ভাল…! ছোটবেলায় নিজের আশপাশে থাকা তারকাদের বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে দেখেছেন। তাঁদের পরনে থাকত নামীদামি বিদেশি ব্র্যান্ডের পোশাক। আর জমকালো পার্টি যেন শেষই হত না।” সম্প্রতি একটি ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলেছেন জিনাত আমন। যেখানে তিনি তাঁর ডান চোখে স্থায়ী চোট পেয়েছিলেন। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন যে, চল্লিশ বছর আগে হিংসাত্মক ঝামেলার সময় জিনাতের চোখের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যার জেরে তাঁর দৃষ্টিশক্তি বাধাপ্রাপ্ত হয়। যদিও জিনাত আমন সঞ্জয় খানের নাম করেননি। কিন্তু সেদিকেই যে তাঁর ইঙ্গিত, সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনার যন্ত্রণা সত্ত্বেও জিনাত নিজের জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন। আর সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে নিজের জীবনেই মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সঞ্জয় অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হৃষিকেশ কন্ননের পডকাস্টে সঞ্জয় খান দাবি করেন যে, বিষয়টি হল ‘পিআর অ্যাটাক’। মূলত তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এমন বলা হচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে জানান যে, জিনাতের চোখে বংশগত কোনও সমস্যা ছিল। তাঁর জন্য কিছুই হয়নি। সঞ্জয় খানের বক্তব্য, “আমি কখনওই তাঁকে চড় মারিনি। এটা একেবারেই ভুল তথ্য।” সিমি গরেওয়ালের শো-এ উপস্থিত হয়ে জায়েদের মা জারিন খানও স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রসঙ্গে কথা বলেন। যদিও জিনাতের নাম নেননি তিনি। তবে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ এবং বিতর্ক সত্ত্বেও টিকেছিল সঞ্জয় খান আর জারিন খানের বিবাহ। প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা। এই দম্পতির চার সন্তান – ফারাহ খান, সিমোন অরোরা, সুজান খান এবং জায়েদ খান।