চুরি হওয়া চায়ের দোকান

Birbhum News: এমন চুরির ঘটনা আগে কখনও শোনেননি! হাসবেন না কাঁদবেন বোঝা মুশকিল, জানুন বিস্তারিত

বীরভূম: সংবাদমাধ্যমে বা খবরের কাগজে আপনারা হয়ত পড়েছেন বা জেনেছেন চোর বাড়িতে ঢুকে বা সোনার দোকানে ঢুকে লক্ষ লক্ষ টাকা সঙ্গে সোনা-দানা চুরি করে চম্পট দিয়েছে। তবে যদি আপনি শোনেন চায়ের দোকানের তালা ভেঙে যথারীতি ডিম ফাটিয়ে পাউরুটি দিয়ে টোস্ট বানিয়ে চোর বিক্রি করল ক্রেতাদের। শুনে হাস্যকর মনে হলও সত্যি।

চায়ের দোকানদার বাড়িতে তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন। আর সেই সুযোগে নকল দোকানদার দিব্যি ভোরে দোকান খুলে ক্রেতাদের চা, পাউরুটি, ডিম টোস্ট বানিয়ে দিচ্ছে। আসল দোকান মালিক সকালে দোকান খুলতে এসেই হতবাক। দেখেন চায়ের দোকান খোলা। চা, টিফিনের জন্য আসা ক্রেতারা দিব্যি পা দুলিয়ে খবরে কাগজ পড়ছেন। চোরের কীর্তি যেন গল্পের মত! বিষয়টি জানাজানি হতেই বোলপুরে শোরগোল পড়ে যায়।

চায়ের দোকানে ডিম ভেজে, ক্রেতাদের পাউরুটি টোস্ট, ডিম টোস্ট বানিয়ে বিক্রি করে ২০ প্যাকেট সিগারেট, ১৫ প্যাকেট বিভিন্ন বিস্কুট, ডিম-সহ দোকানের সমস্ত সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিল চোর। এমন অদ্ভূত ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুরের নেতাজি বাজারে একটি চায়ের দোকানে। আর সেই চোরের সমস্ত কাজকর্ম ধরা পড়েছে সামনের কম্পিউটারের দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায়। আজব এই চুরির ঘটনায় হতবাক সকলেই।

শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটির বাসিন্দা চায়ের দোকানের মালিক কৃষ্ণগোপাল দাস জানান,”জীবনে এমন চোর দেখিনি। আমার দোকানেই এসে ২০টা ডিম ভেজেছে। সকালে দোকানে এসে বিষয়টি জানতে পারি। নিজে খেয়েছে। বিক্রিকরে ক্রেতাদের থেকে টাকাও নিয়েছে।তারপর সব জিনিস নিয়ে চম্পট।এই নিয়ে দু’বার চুরি হল আমার দোকানে।সর্বস্ব চলে গিয়েছে।”

চোরের দুঃসাহসিক এবং হাস্যকর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল উঠেছে। ঠিক তেমন অন্যদিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই এই মর্মে বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন চায়ের দোকানের মালিক। চোর বাবাজির খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা যায়, চায়ের দোকান মালিক বোলপুরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নেতাজি বাজারে একটি চায়ের দোকান চালিয়েই তাঁদের সংসার চলে।

আরও পড়ুনঃ GK: বলুন তো, ট্রেনের চাকায় বালি দেওয়া হয় কেন? উত্তর জানলে অবাক হবেন

একদিকে মহকুমা শাসকের দফতর, অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে ভূমি নিবন্ধন অফিস, অঙ্গনওয়াড়ি-সহ বিভিন্ন দফতর এর অফিস রয়েছে।এছাড়াও এই মার্কেটে প্রায় ৫০টি দোকান চালু রয়েছে। চায়ের দোকানে খেতে আসা ডাম্পার চালক জানান “কাজের ক্ষেত্রে বাড়ির বাইরে বহুবার খেয়েছেন তবে কোনও দিন এমন কাণ্ড আমার সঙ্গে হয়নি। চোরের হাতে পাউরুটি ডিমটোস্ট খেলাম!” এই কথা ভেবেই যেনো অবাক লাগছে সকলের।

সৌভক রায়