সুরুলিয়া মিনি-জু

Purulia News : নব রূপে সেজে উঠবে রাজ্যের ১২ চিড়িয়াখানা! তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

পুরুলিয়া : ভোলবদল হচ্ছে রাজ্যের ১২ চিড়িয়াখানার। নতুন‌ ভাবে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হচ্ছে। নব রূপে সেজে উঠবে মিনি-জু থেকে পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা গুলি। সেই তালিকাতে থাকছে পুরুলিয়া শহরে উপকণ্ঠে অবস্থিত সুরুলিয়া মিনি-জু।‌ ইতিমধ্যেই এই চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে গিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটি সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই একেবারেই নব রূপে সেজে উঠবে এই চিড়িয়াখানা। হরিণালয় , বাঘ , সিংহ সবকিছুই থাকবে সুরুলিয়া মিনি-জুতে। ‌

পুরুলিয়ার পাশাপাশি জেলা বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে কোনও চিড়িয়াখানা না থাকার কারণে সুরুলিয়া মিনি জু-কে পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে এই চিড়িয়াখানাকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : জলপাইগুড়ি লোকসভার প্রার্থীদের ভাগ্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে বন্দি!

এ বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল জু- আথারিটি সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন , “রাজ্যে বারোটি চিড়িয়াখানাকে মাস্টার প্ল্যান অনুসারে একেবারে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ‌ইতিমধ্যেই হরিণালয় ও বেঙ্গল সাফারির মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন আমরা পেয়ে গিয়েছি। তাই হরিণালয়ে একজোড়া বাঘ ও সিংহ আসছে। যা পুজোর সময় থেকেই দর্শকরা দেখতে পাবেন। বাঘ-বাঘিনী নিয়ে আসা হচ্ছে বেঙ্গল সাফারি থেকে। ভিন রাজ্য থেকে আসছে সিংহ। সিংহী দেওয়া হবে অবশ্য আলিপুর থেকেই। পুরুলিয়ার সুরুলিয়া যেহেতু পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানার প্রস্তাব রয়েছে তাই এখানে চিতা বাঘ, ম্যাকাও ছাড়াও নতুন করে একাধিক ভল্লুক, নেকড়ে আরও একটি হায়না নিয়ে আসা হবে। এমনকি আগামী দিনে বাঘ ও সিংহ আনারও পরিকল্পনা রয়েছে।”

আরও পড়ুন : জোরাওয়ারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে কি কমেডি তারকা অনুভব সিং বসসির সঙ্গে প্রেম করছেন কুশা? জানুন সত্যিটা

সদস্য সচিব বলেন, “জঙ্গলমহল পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে আমাদের ‘থিম’ হল সেখানকার ল্যান্ডস্কেপে যে সকল বন্যপ্রাণ আছে তাদেরকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসে ডিস-প্লে করা। পুরুলিয়ায় যেমন বাঘ রিপোর্ট হয়েছে। তেমনই লেপার্ড, নেকড়ে, হায়না তো আছেই। জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ শ্রেণীর এক নম্বরে থাকা মেড্রাস ট্রি শেরো দেখা গিয়েছে। যা একেবারে বিরল। ফলে সুরুলিয়ার চিড়িয়াখানাকে এইবনমহলের থিমেই তুলে ধরা হবে। আগে এই চিড়িয়াখানাগুলোর ক্ষেত্রে ১০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হত। কিন্তু এবার তা বদলে ২০ বছরের নিরিখে সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।”

জানা গিয়েছে , জুন মাসের মধ্যেই অনুমোদন করিয়ে নিতে পারবে বলে রাজ্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। ডিসপ্লের বিষয়টি ছাড়াও বন্যপ্রাণের এনক্লোজার, খাঁচা গুলোকে একেবারে প্রাকৃতিক রূপ দেওয়া হবে। সেখানে যেমন গাছ থাকবে। তেমনই থাকবে বন্যপ্রাণ অনুযায়ী খেলাধূলার সামগ্রী। এছাড়াও রয়েছে নানান পরিকল্পনা, ফলে আশা করা যেতেই পারে নব রূপে সেজে উঠবে সুরুলিয়া মিনি জু।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি