Tag Archives: Zoo

Bardhaman Zoo: কেউ খাচ্ছে তরমুজ, কেউ ORS ! গরমে বন্যপ্রাণীদের জন্য নানা ব্যবস্থা বন দফতরের

শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: কেউ খাচ্ছে তরমুজ। কেউ ওআরএস। কেউ কেউ আবার স্নান করছে পরম আনন্দে। এই জ্বালাপোড়া গরমে অতিষ্ঠ বর্ধমানের রমণাবাগান অভয়ারণ্যের পশুপাখিরা। তাদের সুস্থ রাখতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর।

তীব্র দাবদাহে নাজেহাল বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যের জীবজন্তুরা। তাদের সুস্থ রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জল। সেই সঙ্গে থাকছে ফ্রুট জুস এবং ওআরএস। চিতাবাঘ, ভাল্লুককে ভাল করে স্নান করানো হচ্ছে। রয়েছে বড় ফ্যানের ব্যবস্থাও। এনক্লোজারের মাথায় রাখা হয়েছে খড়ের ছাউনি। খসখসি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ এনক্লোজার। কিছু সময় অন্তর জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে।

আরও পড়ুন– এটা ছাড়া উড়তেই পারবে না বিমান, এয়ারক্রাফ্টের পিছনের অংশকে কী বলে জানেন ?

কুমিরদের সুস্থ রাখতে পাম্প চালিয়ে জল ভরা হচ্ছে জলাশয়ে। সেইসঙ্গে চিকিৎসকরা নিয়মিত তাদের দেখভাল করছেন।চলতি গ্রীষ্মের তাপমাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। বেলা বাড়তেই গরম হওয়া বইছে। আগামী কয়েকদিন একই রকম দাবদাহ বজায় থাকবে বলে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্য প্রাণীদের উপর বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ।

বর্ধমান জেলা বন দফতরের অধীনে রয়েছে রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্ক। এখানে চিতাবাঘ থেকে ভাল্লুক, হরিণ, কুমির, ময়ূর ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পাখি রয়েছে।

এই সমস্ত প্রাণীদের গরম থেকে স্বস্তি দিতে ইতিমধ্যেই বনকর্মীরা সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকছেন।

আরও পড়ুন– পরিচালকের কথায় গভীর রাতে হোটেলের ঘরে যাননি বলে একটি ছবির নায়িকা হওয়া ভাগ্যে জোটেনি ! ‘বিস্ফোরক’ তথ্য অভিনেত্রীর

জেলা বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধরী বলেন, এখন পানীয় জলের সঙ্গে গ্লুকন-ডি এবং ওআরএস দেওয়া হচ্ছে সমস্ত পশু পাখিদের। শরীরকে ঠান্ডা করতে সকাল সকাল চিতা বাঘের এনক্লোজারের বাইরে থেকে পাইপে করে জল দিয়ে স্নান করানো হচ্ছে ওদের। পশু পাখিদের ছাউনির খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে রোদের প্রখর তাপে তারা কষ্ট না পায়। এনক্লোজারের ভিতরে স্প্রিঙ্কলার মেশিনের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে। অভয়ারণ্যের ভেতরে পুকুরগুলোয় এই গরমে জল শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই মোটর চালিয়ে পর্যাপ্ত জল ভরে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। যাতে কুমিরদের কোনও সমস্যা না হয়।

ভাল্লুকের খাঁচায় বড় ফ্যান চালিয়ে ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে ভাল্লুকের প্রধান খাদ্য মধুর পরিমাণ কমিয়ে তরমুজ বেশি খাওয়ানো হচ্ছে। অন্যান্য পশুদের জন্যও খাদ্যতালিকায় ফলমূল ও শাক সবজির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বক্ষণ সমস্ত পশু পাখিদের ওপর নজর রেখে চলেছেন বনকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত রমনাবাগান জু – এ সমস্ত বন্যপ্রাণী সুস্থ রয়েছে। গরমের উত্তাপ না কমা পর্যন্ত আগামী কিছুদিন তীক্ষ্ণ নজরদারি রাখা হবে পশুদের উপর।

Surulia Mini Zoo: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান! বেঙ্গল সাফারি থেকে পুরুলিয়া আসছে ‘জ্যাকি’, সুরুলিয়া মিনি জু-তে এবার চিতাবাঘ

পুরুলিয়া: রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে। এই জেলায় রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। জেলা পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সঙ্গে এই জেলার অন্যতম আকর্ষণ মিনি-জু।

পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে সুরুলিয়া ডিয়ার পার্কে গড়ে উঠেছে এই মিনি-জু। সারা বছরই এখানে বহু মানুষ ভিড় জমান। শুধু জেলা পুরুলিয়া নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান থেকেও অনেকেই এই জু-তে বেড়াতে আসেন। আর এবার এই সুরুলিয়া মিনি জু-তেই মিলবে চিতা বাঘের দর্শন। তার জন্য আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন: দেশের সবথেকে দরিদ্র রাজ্য কোনটি জানেন? পশ্চিমবঙ্গের নাম কত নম্বরে রয়েছে বলুন তো! এক নজরে তালিকা

এই সুরুলিয়া মিনি জু-তে আরও বেশি করে পর্যটক টানতেই বেঙ্গল সাফারি থেকে চিতাবাঘ জ্যাকিকে নিয়ে আসছে কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ। চিতাবাঘ নিয়ে আসার বিষয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি জু-তে জ্যাকিকে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এই মুহূর্তে দিতে চাইছে না কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ। কারণ পুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতাবাঘের অপেক্ষা দীর্ঘদিনের। তাই তো একেবারেই নির্ঝঞ্ঝাটে শিলিগুড়ির সালুগাড়ার বেঙ্গল সাফারি থেকে জ্যাকিকে নিয়ে আসাই অন্যতম লক্ষ্য পুরুলিয়া মিনি জু কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী ঘুরে গিয়েছেন সুরুলিয়া মিনি-জু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ”সুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতাবাঘ খুব শীঘ্রই আসবে। সমস্ত কিছু চূড়ান্ত করতে একটু সময় লাগছে। কিন্তু খুব বেশি দিন আর অপেক্ষা করতে হবে না। এই চিড়িয়াখানার শোভা বাড়াতে চিতাবাঘ দ্রুত নিয়ে আসা হবে।”

সুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতা বাঘের জন্য এনক্লোজার বহুদিন আগেই তৈরি ছিল। কিন্তু চিতা বাঘ না থাকার কারণে সেই এনক্লোজারে ঝোপঝাড় তৈরি হয়ে যায়। সেই এনক্লোজার কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে চিতাবাঘের থাকার উপযোগী করার জন্য। এনক্লোজারের মধ্যেই রয়েছে চিতাবাঘের জলকেলির জন্য ওয়ালো পুল। সেই সঙ্গে জল খাওয়ার ব্যবস্থা। দু’টি আচ্ছাদন। চিতাবাঘ মগডালে বসে তাই কৃত্রিমভাবে গাছের ডালও তৈরি করা হয়েছে। এই চিতা বাঘ বা লেপার্ড দর্শনে দর্শকদের যাতে কোনও রকম ঝুঁকি না হয়, তাই দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এনক্লোজারের জাল। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদ্যুতিক তারের ফেন্সিং। এনক্লোজারের ভেতরেই রয়েছে ক্রল, চিকিৎসার জন্য স্কুইজ কেজ। এছাড়া চারটি নাইট সেল্টার। পুরুষ চিতা বাঘ ‘জ্যাকি’-র যাতে নতুন পরিবেশে মন খারাপ না হয় তাই আগামী দিনে তার সঙ্গীকেও নিয়ে আসা হবে। জ্যাকির আগমনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এবার পুরুলিয়ার মানুষেরাও চিতা বাঘ দেখতে পারবে সামনে থেকে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purba Bardhaman News: নামমাত্র খরচে কলকাতার কাছেই উপভোগ করুন চিড়িয়াখানা, সবাই একসঙ্গে কাটান একটা দিন

কলকাতা চিড়িয়াখানার (Alipur Zoo) বাইরে নতুন চিড়িয়াখানার স্বাদ নিতে চাইছেন। তাহলে একটা দিন ঘুরে আসুন বর্ধমানের চিড়িয়াখানায়। এই চিড়িয়াখানায় গেলে মুগ্ধ হবে মন।
কলকাতা চিড়িয়াখানার (Alipur Zoo) বাইরে নতুন চিড়িয়াখানার স্বাদ নিতে চাইছেন। তাহলে একটা দিন ঘুরে আসুন বর্ধমানের চিড়িয়াখানায়।
বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র গোলাপবাগেই রয়েছে একটি জুওলজিক্যাল গার্ডেন। আলিপুরের মত ততটা বড় না হলেও নতুন ধরনের স্বাদ দিতে পারবে আপনাকে। অল্প পরিসরের মধ্যে তৈরি হয়েছে এই জুওলজিক্যাল পার্ক।
বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র গোলাপবাগেই রয়েছে একটি জুওলজিক্যাল গার্ডেন। আলিপুরের মত ততটা বড় না হলেও নতুন ধরনের স্বাদ দিতে পারবে আপনাকে। অল্প পরিসরের মধ্যে তৈরি হয়েছে এই জুওলজিক্যাল পার্ক।
হাতে গোনা কয়েকটা প্রাণী রয়েছে এখানে। এখানে আসলেই আপনি দেখতে পাবেন হরিণ, বাঘ, কুমির, কয়েকটি জাতের পাখি রয়েছে এখানে। পশুপাখি কম দেখতে পেল মন খারাপ করবেন না। নির্জন পরিবেশ আশেপাশে থেকে ভেসে আসা পাখিদের ডাক আপনাকে এক অন্যরকম আনন্দ দেবে তা নিশ্চিত।
হাতে গোনা কয়েকটা প্রাণী রয়েছে এখানে। এখানে আসলেই আপনি দেখতে পাবেন হরিণ, বাঘ, কুমির, কয়েকটি জাতের পাখি রয়েছে এখানে। পশুপাখি কম দেখতে পেল মন খারাপ করবেন না। নির্জন পরিবেশ আশেপাশে থেকে ভেসে আসা পাখিদের ডাক আপনাকে এক অন্যরকম আনন্দ দেবে তা নিশ্চিত।
কীভাবে যাবেন? হাওড়া থেকে বর্ধমান লোকাল ধরে নেমে পড়ুুতে হবে বর্ধমান (Bardhaman) স্টেশনে। ষ্টেশন থেকে বেরিয়েই সামনে দেখবেন সারি সারি টোটো। যেকোনও একটি টোটো ধরে চলে আসুন গোলাপবাগে। নামলে দেখতে পাবেন প্রবেশদ্বার।সেখান থেকে একটু এগিয়ে গেলেই আপনার বাঁদিকে দেখতে পাবেন বর্ধমান বনবিভাগের অফিস।
কিভাবে যাবেন? হাওড়া থেকে বর্ধমান লোকাল ধরে নামতে হবে বর্ধমান (Bardhaman) স্টেশনে। ষ্টেশন থেকে বেরিয়েই সামনে দেখবেন সারি সারি টোটো। যেকোনও একটি টোটো ধরে চলে আসুন গোলাপবাগে। নামলে দেখতে পাবেন প্রবেশদ্বার।সেখান থেকে একটু এগিয়ে গেলেই আপনার বাঁদিকে দেখতে পাবেন বর্ধমান বনবিভাগের অফিস ।
একটু এগিয়েই আপনি দেখতে পাবেন বোর্ডে বড় করে লেখা বর্ধমান জুওলজিক্যাল পার্ক। তারাপর সোজা এগিয়ে ডান দিকে চলে যান এবং আপনি টিকিট কেটে প্রবেশ করুন পার্কের ভিতরে। আর উপভোগ করুন প্রাকৃতিক দৃশ্য।
একটু এগিয়েই আপনি দেখতে পাবেন বোর্ডে বড় করে লেখা বর্ধমান জুওলজিক্যাল পার্ক। ডান দিকে চলে যান আপনি টিকিট কেটে চলে যান পার্কের ভিতরে। আর উপভোগ করুন প্রাকৃতিক দৃশ্য।

Zoo: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা পশুপাখিদেরও! চিড়িয়াখানায় বিশেষ ব্যবস্থা

পূর্ব বর্ধমান: মানুষ তো বটেই, এই যা গরম পড়েছে তাতে বাঘ, ভাল্লুকও হয়ে উঠেছে নাজেহাল। তাই এবার তাদের জন্যও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে সমগ্র রাজ্য তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা।

গত কয়েকদিনে উষ্ণতার পারদ ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। চরম উষ্ণতার সঙ্গে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশী থাকায় আরও বেশী কষ্ট অনুভব করেছে মানুষ। তবে শুধুমাত্র মানুষই না, আবহাওয়ার এই তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়ছে পশুপাখিরাও ।

বর্ধমানের একমাত্র চিড়িয়াখানা অর্থাৎ রমনাবাগান অভয়ারণ্যের ভিতরে থাকা প্রাণীদের অবস্থাও করুণ হয়ে উঠেছে। তাই পশুপাখিরা যাতে এই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বনবিভাগের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: গাড়ি চলতে চলতে হঠাত্‍ ব্রেক ফেল? ঘাবড়াবেন না, এই ৬ টি উপায় মনে রাখুন, কয়েক সেকেন্ডে থামবে

এই প্রসঙ্গে বর্ধমান জ্যুলজিকাল পার্কের জু সুপারভাইজার তরুণ কান্তি ব্যানার্জী বলেন, “আমরা এই গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক হয়ে পড়েছি যাতে পশু পাখিরা সুস্থ থাকে। পশু পাখিদের কথা ভেবে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ঠান্ডা জলে স্নান করানো হচ্ছে, ফ্যান লাগানো হয়েছে, ফ্রুটি, ওয়ারেস, গ্লুকন-ডি দেওয়া হচ্ছে। তাদের থাকার ঘরগুলো যাতে ঠান্ডা থাকে সে কারণে ঘরের মাথায় খড়ের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। পশুদের পানীয় জল যাতে গরম না হয়ে যায় সে কারণে বেশ কিছুক্ষণ পরপরই পাল্টানো হচ্ছে সেই জল। পশুদের খাবারে ফল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যারা মাংসাশী নয় তাদের জন্য শাকসবজি দেওয়া হচ্ছে। এই তীব্র গরমে প্রাণীসহ আমাদেরকেও সুস্থ থাকতে হবে। তাই আমি বলব প্রত্যেকের গাছ লাগানো প্রয়োজন আরও সচেতন হওয়ার দরকার।”

এছাড়াও রমনা বাগানের অন্যতম আকর্ষণ একটি মাত্র ভাল্লুক, তার উপরেও রীতিমত বিশেষ নজর দিয়েছেন বনবিভাগের কর্মীরা। গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে খাঁচায় লাগানো হয়েছে বিশাল স্ট্যান্ড ফ্যান। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে মাঝেমধ্যেই দেওয়া হচ্ছে ফ্রুটি ,ওআরএস, গ্লুকন্ডি। মাঝে মধ্যে রসালো ফলও দেওয়া হচ্ছে। প্রচুর গাছপালা রমনাবাগান এলাকাকে কিছুটা হলেও ঠান্ডা রাখে। তবুও প্রাণীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বনদফতরের তরফে।

এছাড়াও রমনাবাগানের তিনটি চিতা বাঘের জন্যও বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত পাইপে করে ঠান্ডা জল দিয়ে পশুপাখিদের স্নান করানো হচ্ছে এবং হরিণের জন্য রিজার্ভে রাখা জলও পাল্টে দেওয়া হচ্ছে যাতে গরম না হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বলতে গেলে এই প্রবল গরমে পশুপাখিদের উপরেও বিশেষ নজর রেখেছেন বর্ধমান জ্যুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Purulia News : নব রূপে সেজে উঠবে রাজ্যের ১২ চিড়িয়াখানা! তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

পুরুলিয়া : ভোলবদল হচ্ছে রাজ্যের ১২ চিড়িয়াখানার। নতুন‌ ভাবে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হচ্ছে। নব রূপে সেজে উঠবে মিনি-জু থেকে পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা গুলি। সেই তালিকাতে থাকছে পুরুলিয়া শহরে উপকণ্ঠে অবস্থিত সুরুলিয়া মিনি-জু।‌ ইতিমধ্যেই এই চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে গিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটি সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই একেবারেই নব রূপে সেজে উঠবে এই চিড়িয়াখানা। হরিণালয় , বাঘ , সিংহ সবকিছুই থাকবে সুরুলিয়া মিনি-জুতে। ‌

পুরুলিয়ার পাশাপাশি জেলা বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে কোনও চিড়িয়াখানা না থাকার কারণে সুরুলিয়া মিনি জু-কে পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে এই চিড়িয়াখানাকে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : জলপাইগুড়ি লোকসভার প্রার্থীদের ভাগ্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে বন্দি!

এ বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল জু- আথারিটি সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন , “রাজ্যে বারোটি চিড়িয়াখানাকে মাস্টার প্ল্যান অনুসারে একেবারে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ‌ইতিমধ্যেই হরিণালয় ও বেঙ্গল সাফারির মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন আমরা পেয়ে গিয়েছি। তাই হরিণালয়ে একজোড়া বাঘ ও সিংহ আসছে। যা পুজোর সময় থেকেই দর্শকরা দেখতে পাবেন। বাঘ-বাঘিনী নিয়ে আসা হচ্ছে বেঙ্গল সাফারি থেকে। ভিন রাজ্য থেকে আসছে সিংহ। সিংহী দেওয়া হবে অবশ্য আলিপুর থেকেই। পুরুলিয়ার সুরুলিয়া যেহেতু পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানার প্রস্তাব রয়েছে তাই এখানে চিতা বাঘ, ম্যাকাও ছাড়াও নতুন করে একাধিক ভল্লুক, নেকড়ে আরও একটি হায়না নিয়ে আসা হবে। এমনকি আগামী দিনে বাঘ ও সিংহ আনারও পরিকল্পনা রয়েছে।”

আরও পড়ুন : জোরাওয়ারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে কি কমেডি তারকা অনুভব সিং বসসির সঙ্গে প্রেম করছেন কুশা? জানুন সত্যিটা

সদস্য সচিব বলেন, “জঙ্গলমহল পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে আমাদের ‘থিম’ হল সেখানকার ল্যান্ডস্কেপে যে সকল বন্যপ্রাণ আছে তাদেরকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসে ডিস-প্লে করা। পুরুলিয়ায় যেমন বাঘ রিপোর্ট হয়েছে। তেমনই লেপার্ড, নেকড়ে, হায়না তো আছেই। জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ শ্রেণীর এক নম্বরে থাকা মেড্রাস ট্রি শেরো দেখা গিয়েছে। যা একেবারে বিরল। ফলে সুরুলিয়ার চিড়িয়াখানাকে এইবনমহলের থিমেই তুলে ধরা হবে। আগে এই চিড়িয়াখানাগুলোর ক্ষেত্রে ১০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হত। কিন্তু এবার তা বদলে ২০ বছরের নিরিখে সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।”

জানা গিয়েছে , জুন মাসের মধ্যেই অনুমোদন করিয়ে নিতে পারবে বলে রাজ্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। ডিসপ্লের বিষয়টি ছাড়াও বন্যপ্রাণের এনক্লোজার, খাঁচা গুলোকে একেবারে প্রাকৃতিক রূপ দেওয়া হবে। সেখানে যেমন গাছ থাকবে। তেমনই থাকবে বন্যপ্রাণ অনুযায়ী খেলাধূলার সামগ্রী। এছাড়াও রয়েছে নানান পরিকল্পনা, ফলে আশা করা যেতেই পারে নব রূপে সেজে উঠবে সুরুলিয়া মিনি জু।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia Mini Zoo: বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে আনন্দ করতে চান? চলে আসুন পুরুলিয়ার মিনি জু-তে

শীতের মধ্যে কচি কাঁচাদের নিয়ে কাছে পিঠে ঘুরে আসার সেরা ঠিকানা পুরুলিয়ার শহরে উপকণ্ঠে অবস্থিত সুরুলিয়া মিনি জু। শীতে একেবারেই সেজে উঠেছে মিনি জু।
শীতের মধ্যে কচি কাঁচাদের নিয়ে কাছে পিঠে ঘুরে আসার সেরা ঠিকানা পুরুলিয়ার শহরে উপকণ্ঠে অবস্থিত সুরুলিয়া মিনি জু। শীতে একেবারেই সেজে উঠেছে মিনি জু।
সারা বছর কমবেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও শীতের মরশুমে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বড়দিন থেকে আরও যেন উপচে পড়ছে ভিড়।
সারা বছর কমবেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও শীতের মরশুমে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বড়দিন থেকে আরও যেন উপচে পড়ছে ভিড়।
পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠ সুরুলিয়াতে ১৯৯৮ সালে গড়ে ওঠে একটি ডিয়ার পার্ক। পরবর্তীতে জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ২০০৫ সালে ‘মিনি জু’ স্বীকৃতি দেয় এই ডিয়ার পার্কেটিকে।
পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠ সুরুলিয়াতে ১৯৯৮ সালে গড়ে ওঠে একটি ডিয়ার পার্ক। পরবর্তীতে জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ২০০৫ সালে ‘মিনি জু’ স্বীকৃতি দেয় এই ডিয়ার পার্কেটিকে।
সুরুলিয়ার এই মিনি জু-তে বর্তমানে রয়েছে ভাল্লুক, পাইথন, বাঁদর, সজারু, ময়ূর, হরিণ, পর্কপাইন সহ বহু পশু পাখি। এগুলি দেখে বাচ্চারা ভীষণই আনন্দ পায়।
সুরুলিয়ার এই মিনি জু-তে বর্তমানে রয়েছে ভাল্লুক, পাইথন, বাঁদর, সজারু, ময়ূর, হরিণ, পর্কপাইন সহ বহু পশু পাখি। এগুলি দেখে বাচ্চারা ভীষণই আনন্দ পায়।
তাহলে আর দেরি কেন। বাড়ির কচি কাঁচাদের নিয়ে চট করে ঘুরে আসুন পুরুলিয়া শহরের কাছেই অবস্থিত সুরুলিয়া মিনি জু থেকে ।
তাহলে আর দেরি কেন। বাড়ির কচি কাঁচাদের নিয়ে চট করে ঘুরে আসুন পুরুলিয়া শহরের কাছেই অবস্থিত সুরুলিয়া মিনি জু থেকে ।

Garchumuk Mini Zoo: বড়দিনে বড় খবর! খুলে ‌যাচ্ছে গড়চুমুক মিনি জু

খুলছে গড়চুমুক মিনি জু। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই মিনি জু। বড়দিনের আগেই মিনি জু খুলতে চলেছে।
খুলতে চলেছে গড়চুমুক মিনি জু। পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এই মিনি জু। বড়দিনের আগেই মিনি জু খুলতে চলেছে।
শনিবার গড়চুমুকে একটি বৈঠকের পর মিনি জু খোলার খবর জানা যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের পূর্ত এবং জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী পুলক রায়।
শনিবার গড়চুমুকে একটি বৈঠকের পর মিনি জু খোলার খবর জানা যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের পূর্ত এবং জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী পুলক রায়।
মিনি জু খোলার খবর পেয়ে খুশি স্থানীয় মানুষ। বিশেষ করে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মিনি জু খুললে ব্যবসা আরও চাঙ্গা হবে বলেই মনে করছেন তারা।
মিনি জু খোলার খবর পেয়ে খুশি স্থানীয় মানুষ। বিশেষ করে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মিনি জু খুললে ব্যবসা আরও চাঙ্গা হবে বলে মনে করেছেন তারা।
এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে কুমির, ইন্ডিয়ান রক পাইথন, বদ্রি, সিলভার ফ্রেজেন্ট, জাভা, এমু, রাজহাঁস, সরাল, টিয়া, কাকাতুয়া, ময়ূর সহ বিভিন্ন পাখি। এছাড়াও রয়েছে রাজ্য প্রাণী বাঘরোল, সজারু, হরিণ, কচ্ছপের মত প্রাণী।
এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে কুমির, ইন্ডিয়ান রক পাইথন, বদ্রি, সিলভার ফেজেন্ট, জাভা, এমু, রাজহাঁস, সরাল, পিয়া, কাকাতুয়া, ময়ূর সহ বিভিন্ন পাখি। এছাড়াও রয়েছে রাজ্য প্রাণী বাঘরোল, সজারু, হরিণ, কচ্ছপের মত প্রাণী।
বন দফতর সূত্রে জানা যায়, আগামী ২১ শে ডিসেম্বর খুলতে চলেছে মিনি জু। মিনি জু প্রবেশ মূল্য ২৫ টাকা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২১ ডিসেম্বর খুলতে চলেছে মিনি জু। মিনি জু ‘র প্রবেশ মূল্য ২৫ টাকা।
প্রতিবছর শীতের মরশুমে হাওড়ার পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে দারুণ ভাবে মানুষের ভিড় দেখা যায়। এখানে ৫৮ টি সুইস গেট। দামোদর ও হুগলি নদীর মিলনস্থল। নদী লাগোয়া পার্ক এবং আরো বেশি করে মানুষের আকর্ষণ বাড়াবে এই মিনি জু।
প্রতিবছর শীতে হাওড়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে দারুণভাবে মানুষের ভিড় দেখা যায়। গড়চুমুক এই স্থানে রয়েছে ৫৮ টি সুইস গেট। পাশাপাশি দামোদর ও হুগলি নদীর মিলন স্থল। নদী লাগোয়া পার্ক আকর্ষণ বাড়বে এই মিনি জু’র।