হাসিমুখে ভিডিও রেকর্ড করে সবরমতীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর! দেখুন

#আহমেদাবাদ: মর্মান্তিক এক ভিডিও যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সপ্তাহের প্রথম দিন। আত্মহত্যার আগে হাসিমুখে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন তিনি। ভিডিও থেকে জানা গিয়েছে, তিনি বিবাহিত এবং বয়স ২৩। ভিডিওতে আবেগতাড়িত হয়ে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর নাম আয়েশা এবং নিজের ইচ্ছেতেই নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

যদিও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির অনবরত চাপেই এভাবে নিজের জীবন শেষ করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের সবরমতী নদীর তীরে। নদীতট থেকে পুলিশ ইতিমধ্যেই আয়েশার দেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় মামলা শুরু করেছে গুজরাট পুলিশ।

মেয়ের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর বাবা লিয়াকত আলি। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজস্থানের জালোরের বাসিন্দা আরিফ খানের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আমি কিছু টাকা দিতে পেরেছিলাম। কিন্তু ওদের লোভ এত ছিল যে, কিছু মাস আগে এ নিয়ে আরিফের সঙ্গে তুমুল অশান্তি হয় আয়েশার। তার পরই আহমেদাবাদে ফিরে আসে আয়েশা। যদিও ফোনে ওদের কথা হত।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আয়েশার রেকর্ড করা প্রায় দু’মিনিটের ভিডিওতেও শোনা গিয়েছে তাঁর মনের কষ্টের কথা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘যে সিদ্ধান্ত আমি নিতে যাচ্ছি, এর জন্য কেউ আমাকে চাপ দেয়নি। বুঝলাম ভগবান আমাকে ছোট্ট জীবনই দিয়েছেন। বাবা, তুমি আর কত লড়বে? মামলা তুলে নাও। যে স্বাধীনতা চাই তাঁকে মুক্ত করে দাও।’ এর পর হাসিমুখে আয়েশার আরও বক্তব্য, ‘আমি আমার জীবন শেষ করতে চলেছি। আল্লার সঙ্গে দেখা হবে ভেবে আমি খুশি। দেখা হলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করব, আমি কী ভুল করেছি? আমার দোষ কী?’ আয়েশার শেষ মূহূর্তের উক্তি, ‘এমন সুন্দর একলা নদীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেন এই নদী নিজের মধ্যে জাপটে নেয়। আমি হাওয়ার মতো উড়ে যেতে চাই। ভেসে যেতে চাই।’