আজ শপথ গ্রহণ ৪ নবনির্বাচিত বিধায়কের!

Oath taking: রাজ্যপালের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই শপথ গ্রহণ ৪ বিধায়কের! স্পিকার বললেন, ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’

কলকাতা: কয়েকদিন আগেই রাজ্যপালের পরামর্শ উপেক্ষা করেই দুই তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। এর পর মঙ্গলবারই বিধানসভায় শপথ নিলেন চার নতুন বিধায়ক। রাজভবনের আপত্তি সত্ত্বেও চারজন নতুন বিধায়ককেই শপথ বাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিলেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর।

এ দিন, স্পিকার বলেন, “শপথ যে হবে, তা আগেই জানানো হয়েছিল।
রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে চিঠি এসেছিল যে তাঁরা নাকি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু আইন অনুযায়ী তাঁরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। চার বিধায়কের শপথ বিধানসভার রুল অনুযায়ী করা হবে। এই বিষয়ে যথাযথ রুলিং আছে। এই চার বিধায়কের শপথ হল ন্যাচরাল জাস্টিস, তাঁদের এলাকার মানুষের জন্য।”

বাংলায় শপথ নিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। ইংরেজিতে শপথ বাক্য পাঠ করলেন মুকুটমণি অধিকারী। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিয়ে শপথ নিলেন। মধুপর্ণা ঠাকুর ইংরেজিতে শপথ নিলেন। সবচেয়ে কম বয়সে বিধানসভায় শপথ মধুপর্ণার। বাগদা বললেন, ‘জয় বাংলা জয়’। সুপ্তি পান্ডেও ইংরেজিতে শপথ নিলেন। শপথ বাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ।

কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় শপথ নেওয়া দুই তৃণমুল বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেন তাঁর কথা অনুযায়ী শপথ গ্রহণ হয়নি সে-বিষয়ে কার্যত কৈফিয়ত চেয়ে জরিমানা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁদের।

সূত্রের খবর অনুযায়ী চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকারের কাছে শপথ না নিয়ে বিধানসভায় অংশগ্রহণ করলে বা ভোটাভুটিতে থাকলে তা অসাংবিধানিক হবে। এরপরই দুই বিধায়ক রেয়াত ও সায়ন্তিকা রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে দুজনেই বলেন, “আজ অধিবেশনে থাকবেন তাঁরা। আর জরিমানা কাকে কীভাবে দিতে হবে সেসবও বলা নেই। ফলে যা হবে দেখা যাবে।”

আরও পড়ুন- বাজেটে কাবু মারণরোগ! ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ এবার অনেকটাই কমবে

১৩ জুলাই উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাতে রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়। কিন্তু বিধানসভার চিঠির জবাবে রাজভবন যে চিঠিটি বিধানসভার সচিবালয়কে পাঠিয়েছে, তাতে শপথগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও দায়দায়িত্বের কথা বলা হয়নি।