Tag Archives: Oath taking

Oath taking: রাজ্যপালের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই শপথ গ্রহণ ৪ বিধায়কের! স্পিকার বললেন, ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’

কলকাতা: কয়েকদিন আগেই রাজ্যপালের পরামর্শ উপেক্ষা করেই দুই তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। এর পর মঙ্গলবারই বিধানসভায় শপথ নিলেন চার নতুন বিধায়ক। রাজভবনের আপত্তি সত্ত্বেও চারজন নতুন বিধায়ককেই শপথ বাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিলেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর।

এ দিন, স্পিকার বলেন, “শপথ যে হবে, তা আগেই জানানো হয়েছিল।
রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে চিঠি এসেছিল যে তাঁরা নাকি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু আইন অনুযায়ী তাঁরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। চার বিধায়কের শপথ বিধানসভার রুল অনুযায়ী করা হবে। এই বিষয়ে যথাযথ রুলিং আছে। এই চার বিধায়কের শপথ হল ন্যাচরাল জাস্টিস, তাঁদের এলাকার মানুষের জন্য।”

বাংলায় শপথ নিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। ইংরেজিতে শপথ বাক্য পাঠ করলেন মুকুটমণি অধিকারী। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিয়ে শপথ নিলেন। মধুপর্ণা ঠাকুর ইংরেজিতে শপথ নিলেন। সবচেয়ে কম বয়সে বিধানসভায় শপথ মধুপর্ণার। বাগদা বললেন, ‘জয় বাংলা জয়’। সুপ্তি পান্ডেও ইংরেজিতে শপথ নিলেন। শপথ বাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ।

কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় শপথ নেওয়া দুই তৃণমুল বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেন তাঁর কথা অনুযায়ী শপথ গ্রহণ হয়নি সে-বিষয়ে কার্যত কৈফিয়ত চেয়ে জরিমানা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁদের।

সূত্রের খবর অনুযায়ী চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকারের কাছে শপথ না নিয়ে বিধানসভায় অংশগ্রহণ করলে বা ভোটাভুটিতে থাকলে তা অসাংবিধানিক হবে। এরপরই দুই বিধায়ক রেয়াত ও সায়ন্তিকা রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে দুজনেই বলেন, “আজ অধিবেশনে থাকবেন তাঁরা। আর জরিমানা কাকে কীভাবে দিতে হবে সেসবও বলা নেই। ফলে যা হবে দেখা যাবে।”

আরও পড়ুন- বাজেটে কাবু মারণরোগ! ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ এবার অনেকটাই কমবে

১৩ জুলাই উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাতে রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়। কিন্তু বিধানসভার চিঠির জবাবে রাজভবন যে চিঠিটি বিধানসভার সচিবালয়কে পাঠিয়েছে, তাতে শপথগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও দায়দায়িত্বের কথা বলা হয়নি।

Oath Taking Ceremony: আজ শপথ গ্রহণ ৪ নবনির্বাচিত বিধায়কের! শপথবাক্য পাঠ করাবেন কে? সায়ন্তিকা-রেয়াতের শপথের পরেও কীসের জট?

কলকাতা: আজ মঙ্গলবার নবনির্বাচিত চার বিধায়কের শপথগ্রহণ হবে বিধানসভায় । গতকাল সোমবার বিএ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ দুপুর একটায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তিনি বলেন, রাজ্যপালের কাছ থেকে এখনও কোনও বার্তা আসেনি। আজ অধিবেশনেই তিনি এই বিষয়ে যা বলার বলবেন।

বিধানসভায় যখন এই ঘটনা ঘটছে তখনই জানা যায়, কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় শপথ নেওয়া দুই তৃণমুল বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেন তাঁর কথা অনুযায়ী শপথ গ্রহণ হয়নি সে-বিষয়ে কার্যত কৈফিয়ত চেয়ে জরিমানা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁদের।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন সালে অক্টোবর মাস ৩১ নয়, ২১ দিনে হয়েছিল? কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল ১০ দিন? সত‍্যিটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে

সূত্রের খবর অনুযায়ী চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকারের কাছে শপথ না নিয়ে বিধানসভায়  অংশগ্রহণ করলে বা ভোটাভুটিতে থাকলে তা অসাংবিধানিক হবে। এরপরই  দুই বিধায়ক রেয়াত ও সায়ন্তিকা রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে দুজনেই বলেন, আজ অধিবেশনে থাকবেন তাঁরা। আর জরিমানা কাকে কীভাবে দিতে হবে সেসবও বলা নেই। ফলে যা হবে দেখা যাবে।

গতকাল সোমবার বিধানসভায় আসেন কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণি অধিকারী, মধুপর্ণা ঠাকুর এবং সুপ্তি পাণ্ডে। আজকে শপথের খবর পেয়ে চারজনই খুশি। আজ এখনও অবধি রাজভবন থেকে শপথগ্রহণ নিয়ে কোনও ইতিবাচক জবাব মেলেনি। সে-কারণে বিধানসভার রীতি মেনে শপথ নেবেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর।

১৩ জুলাই উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাতে রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়। কিন্তু বিধানসভার চিঠির জবাবে রাজভবন যে চিঠিটি বিধানসভার সচিবালয়কে পাঠিয়েছে, তাতে শপথগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও দায়দায়িত্বের কথা বলা হয়নি।

আরও পড়ুন: হাই ব্লাড প্রেসার? স্ট্রোক, কিডনি, হার্ট…একাধিক রোগের ‘আঁতুড়ঘর’! ৫ উপায়ে রাখুন রক্তচাপ রাখুন নিয়ন্ত্রণে

আজ থেকে ফের শুরু হওয়া বিধানসভা অধিবেশনে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট— নিট পরীক্ষা ও নতুন তিন ফৌজদারি আইন নিয়ে প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। রাজ্য তফসিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ পর্ষদ আইনের একটি সংশোধনীও অধিবেশনে আসছে। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১টায় শপথ নেবেন ৪ জয়ী প্রার্থী

মঙ্গলবার বিধানসভায় শপথ নিতে চলেছেন চার নতুন বিধায়ক৷  কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে শপথ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যেই ফের শপথ। রাজ ভবনের আপত্তি সত্ত্বেও চারজন নতুন বিধায়ককেই শপথ বাক্য পাঠ করাবেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে আগামিকালই শপথ নেবেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর৷ কয়েকদিন আগেই রাজ্পালের পরামর্শ উপেক্ষা করেই দুই তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ৷

 

Oath Taking Ceremony: চার বিধায়কের শপথ! বিধানসভার সচিবালয় থেকে এবার চিঠি গেল রাজভবনে, তারপর…

কলকাতা: চার বিধায়কের শপথের প্রক্রিয়া শুরুর আর্জি নিয়ে সরাসরি বিধানসভার সচিবালয় থেকে চিঠি গেল রাজভবনে। আবার পরিষদীয় দফতরের তরফেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনে। প্রথা অনুযায়ী রাজ্যপালের অনুমতি প্রয়োজন শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে।

আগামী ২২ জুলাই শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। নতুন চার বিধায়কের শপথ নিয়ে বিন্দুমাত্র গড়িমসি আর যাতে না হয়, তার জন‌্য প্রথমেই বিধানসভার সচিবালয় থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি নিয়ে বিধানসভা যে নজর রাখছে তা বুঝিয়ে দেওয়া হল।

শপথ জটিলতা নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা যাতে কোনওভাবে না হয় তার জন‌্য অধিবেশনের শুরুতেই এই পর্ব মিটিয়ে ফেলতে চাইছে বিধানসভার সচিবালয়। সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় বা রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে জটিলতার পুনরাবৃত্তি চাইছে না রাজ্য।

আরও পড়ুন: মহরমে সামান্য বৃষ্টি, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির প্রবল সম্ভাবনা! সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস

সেক্ষেত্রে, অধিবেশন শুরুর দু-তিনদিনের মধ্যেই উপনির্বাচনে জয়ী সুপ্তি পাণ্ডে, কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণি অধিকারী, মধুপর্ণা ঠাকুরের শপথ হয়ে যেতে পারে। মধুপর্ণা এই মুহূর্তে গোটা দেশে সর্বকণিষ্ঠ বিধায়ক। যার জেরে ইতিমধ্যে বিধানসভায় তিনি চর্চায়। এর মধ্যে তিনি-সহ চার নতুন বিধায়কের কে কোন আসনে বসবেন তারও প্রস্তুতি রয়েছে।

অর্থাৎ, শপথ নিয়ে বিধানসভা যে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই ফেলেছে তা স্পষ্ট। রীতি অনুযায়ী উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথের জন‌্য রাজ‌্যপাল এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিয়ে সেই দায়িত্ব অধ‌্যক্ষের উপরই ন‌্যস্ত করেন। বিধানসভার সচিবালয়ও এবার তেমনই প্রত‌্যাশা রাখছে। তবে রাজভবনের তরফে যদি আবারও গড়িমসির ইঙ্গিত মেলে তার জন‌্য বিকল্প পথের প্রস্তুতির রয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৫,৭৫৩ জনের ভাগ্যপরীক্ষা! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি আজ সুপ্রিম কোর্টে

সেক্ষেত্রে, অধিবেশন শুরু হয়ে গেলে পরিষদীয় রীতি মেনে অধ‌্যক্ষই নিজের ক্ষমতাবলে নতুন বিধায়কদের শপথ পড়িয়ে নিতে পারেন। যেমন সায়ন্তিকা ও রেয়াতের ক্ষেত্রে উপাধ্যক্ষকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর অনুমতি দিয়েছিল রাজভবন। যদিও সেই সময় চলছিল অধিবেশন। উপাধ্যক্ষ সেই দায়িত্ব নিতে অপারগ বলে জানান। সেই প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ শপথ বাক্য পাঠ করান।

MLA oath taking: বিধানসভার স্পিকার বিমানই শপথবাক্য পাঠ করালেন নতুন দুই বিধায়ককে, কোন নিয়মে সম্ভব হল?

কলকাতা: সায়ন্তিকা এবং রেয়াতের শপথ-জট অবশেষে কাটল। রাজ্যপাল বা ডেপুটি স্পিকার নয়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়ই শপথবাক্য পাঠ করালেন নব নির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হুসেন সরকারকে।

লোকসভা নির্বাচনের সময়ই বরানগর এবং ভগবানগোলা বিধানসভায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই উপনির্বাচনের দুই আসনে জিতে বিধায়ক হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হুসেন সরকার। কিন্তু উপনির্বাচন জিতলেও শপথ নিয়ে টালবাহানা চলছিলই। অবশেষে শুক্রবার শপথ হল নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের, শপথবাক্য পাঠ করালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন নিয়মে এটা সম্ভব হল?

আরও পড়ুন: জুনে স্থগিত হয়ে যাওয়া নিট-পিজির নয়া দিনক্ষণ ঘোষণা, কবে হবে পরীক্ষা?

সূত্রের খবর, বিধানসভা রুলস এন্ড বিজনেসের দুই নম্বর চ্যাপ্টারের পাঁচ নম্বর ধারা অনুসারে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ বাক্য পাঠ করালেন দুই বিধায়ককে।

জল্পনা চলছিল যে সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন ডেপুটি স্পিকার। তবে স্পিকার যেখানে উপস্থিত সেখানে ডেপুটি স্পিকারকে কোনও দায়িত্ব পালন করতে অতীতে কখনও দেখা যায়নি। সাধারণত যখন স্পিকার বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন তখন কোনও দায়িত্ব পালন করেন না ডেপুটি স্পিকার। যদি ডেপুটি স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাতেন সেটাও স্পিকারের জন্য অসম্মানের হত, একই সঙ্গে সেটা নজিরবিহীনও হত। সেই দিক থেকে ৫ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে যাবতীয় বিতর্ক এড়ালেন স্পিকার। বিধানসভার রুল বুকের পাঁচ নম্বর ধারার গুরুত্ব সর্বোচ্চ। এক্ষেত্রে বিধানসভা চলাকালীন অধ্যক্ষ পাঠ করাতে পারেন। এই ক্ষমতা রুল বুকে তাকে দেয়া হয়েছে। আর সেই জায়গা থেকে এই শপথ গ্রহণ নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন একে সংবিধান বিরোধী বলা যাবে না বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

Assembly Oath Taking: দুপুর দুটোয় শপথ! যাবতীয় জটিলতা শেষে বিধায়ক পদে সায়ন্তিকা-রায়াত, সিদ্ধান্ত বিএ কমিটির

কলকাতা: যাবতীয় জটিলতা শেষে অবশেষে কেটেছে শপথ জট৷ শুক্রবার দুপুর দুটোয় শপথ নেবেন রাজ্যের নবনির্বাচিত বিধায়করা৷ তবে স্পিকার নন, তাঁকে এড়িয়ে ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছে রাজভবন। শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

অধ্যক্ষকে এড়িয়ে উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব কেন? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে৷ তবে রাজভবনের এই সিদ্ধান্তে অন্তত শপথ জট কেটেছে বলেই ইঙ্গিত৷ বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে খবর শুক্রবারই শপথ হবে। ডেপুটি স্পিকারকে হাউজে জানাবেন স্পিকার।

বিএ কমিটির বৈঠকেই নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, দেবাশীষ কুমার, মলয় ঘটক, সুজিত বসুরা।

প্রসঙ্গত, আজ, শুক্রবারের কার্যবিবরণী বৈঠকে যে শপথ জটিলতা নিয়ে আলোচনা হবে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করাতে বলে বিবৃতি দেয় রাজভবন। আর এরই প্রেক্ষিতে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ তাতেই দেখা দেয় ফের জটিলতা। রাজভবনের এই বিবৃতির বিষয়ে জানতে পেরে উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম্য নয়।” কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার ওই দায়িত্ব পালন করেন। পরে বিএ কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শপথ নিয়ে।

প্রসঙ্গত, বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া নতুন নয়। এর আগে বিধানসভা উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পড়ানোর জন্য তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ডেপুটি স্পিকারের উপর ভার ন্যস্ত করেছিলেন। যদি সেসময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় উপস্থিত থাকায় উপাধ্যক্ষ তাঁকেই শপথ পড়ানোর অনুরোধ করেন এবং অধ্যক্ষই সেই কাজ করেছিলেন।

Oath taking of TMC MLAs: শপথ-জট না কাটায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সায়ন্তিকার, সামনে আসবে ‘আনটোল্ড স্টোরি’?

কলকাতা: মঙ্গলবারও কাটল না বরানগর এবং ভগবানগোলার নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ জটিলতা। কবে কাটবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ অবশ্য আশাবাদী, শপথ জটিলতা কলকাতায় ফিরেই দ্রুত মেটাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

আরও পড়ুন: কী করছে গোয়েন্দা, পুলিশ? পর পর গণপিটুনির ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা, কড়া নির্দেশ

অন্যদিকে দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শপথগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা ঘিরে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এ দিন বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বলেন, “সাংবিধানিক প্রধান শব্দটি শুধুমাত্রই একটি পদ নয়, এর সাথে জুড়ে রয়েছে সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার দায়বদ্ধতা। আজ সাংবিধানিক প্রধানের হাতেই গণতন্ত্র বিপন্ন”৷

সেই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, “স্বাধীন ভারতবর্ষের বুকে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মানুষের স্বার্থে কাজ করার শপথগ্রহণের জন্য ধর্ণা ও অবস্থান বিক্ষোভ করতে হচ্ছে৷ এই চিত্র লজ্জার। আশাকরি দ্রুত সাংবিধানিক প্রধানের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং জনগণের রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংবিধান মেনে শপথগ্রহণ করবেন৷”

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, ২৬ জুন তাঁরা রাজভবনে গিয়ে শপথগ্রহণ করতে পারবেন৷ কিন্তু, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, তাঁরা চান প্রথা মেনে বিধানসভা ভবনেই শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক৷ এ নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই ২৮ জুন দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এ বিষয়ে টেলিফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন রাজ্যের স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পরে শপথগ্রহণ না করালে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণালও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শপথগ্রহণ হয়নি দুই বিধায়কের।

TMC MLA oath taking ceremony: দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে কী করণীয়? বোসের উপর চাপ বাড়িয়ে ধনখড়কে ফোন বিমানের

কলকাতা: উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতা কাটেনি। ২৬ জুন, অর্থাৎ বুধবার রাজভবনে গিয়ে দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ নিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি দুই বিধায়কের চেয়েছিলেন বিধানসভাতেই শপথ নিতে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের শপথ আর হয়নি। সেই নিয়েই শুক্রবার উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন স্পিকার।

আরও পড়ুন: ‘কাজ না করলে ভোটে জেতা যায় না!’ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাবধানবাণী মমতার

সূত্রের খবর, উপরষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে শুক্রবার বেশ কিছু ক্ষণ ফেনে কথা বলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বরানগর এবং ভগবানগোলার দুই নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেই পুরো বিষয়টি উপরাষ্ট্রপতিকে জানান। শুধু তাই নয় এই বিষয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর যাতে হস্তক্ষেপ করেন তারও আবেদন করেন। বিষয়টি শুনে পুরোটা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন উপরাষ্ট্রপতি। অন্য দিকে, শুক্রবারও বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে প্রতীকী অবস্থানে বসেন দুই উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়ক।

বুধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রাজ্যপালের উচিত ছিল পরিষদীয় রীতি নীতি মেনে চলা। প্রধানমন্ত্রী প্রটেম স্পিকারের কাছে শপথ নিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের কী অসুবিধা হল, সেটা বুঝতে পারছি না”। সেই সঙ্গে শপথগ্রহণ বিতর্ক নিয়ে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন বিমান। এ দিন উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

TMC MLA oath taking: শপথ নিয়ে রেয়াত-সায়ন্তিকার পাশেই স্পিকার বিমান, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

কলকাতা: নব নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। এ বার সেই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেলেন দুই বিধায়ক।

দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বলেন, “রাজভবন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আমাকে জানিয়েছেন তাঁরা আজ বিধানসভায় থাকবে। তাঁরা এসেছেন”। সেই সঙ্গে রাজভবনে শপথ নেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন। শপথ গ্রহণের উপযুক্ত জায়গা বিধানসভা”।

আরও পড়ুন: বুধবারও হচ্ছে না সায়ন্তিকা এবং রেয়াত হোসেনের শপথগ্রহণ, কবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা

সেই সঙ্গে নব নির্বাচিত বিধায়কদের পাশে দাঁড়িয়ে বিধানসভার স্পিকার বলেন, “দেখি কতদূর যেতে পারেন। এর আগে বিধানসভায় বাম বিধায়করা অনেকদিন শপথ নেননি। আমি আজ সচিবকে এখানে বসিয়ে রেখেছি। অপেক্ষা করব যদি এখানে এসে শপথ করিয়ে দিয়ে যান। আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা করছি। আমরা সংবিধান মেনেই কাজ করছি”।

দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার শপথগ্রহণ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের উচিত ছিল পরিষদীয় রীতিনীতি মেনে চলা। প্রধানমন্ত্রী প্রটেম স্পিকারের কাছে শপথ নিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের কী অসুবিধা হল, সেটা বুঝতে পারছি না”। সেই সঙ্গে শপথগ্রহণ বিতর্ক নিয়ে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হতে পারেন বলে জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার রাজভবনে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শপথ নিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল, কিন্তু রাজভবনে শপথ নিতে রাজি নয় কোনও বিধায়কই। তাঁরা বিধানসভাতেই শপথ নিতে চান। পাশাপাশি বুধবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তাই নব নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে হবে তাই বনিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।