লাইফস্টাইল Benefits of Betel Nut: গা বমি ভাব, মুখের ঘা উধাও! কোষ্ঠকাঠিন্যের যম! ৫ টাকাতেই ৫ রোগের মুক্তি Gallery March 31, 2024 Bangla Digital Desk বাড়িতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে এমন অনেক জিনিস, যাদের গুণের কথা আমরা জানিই না। সেইসব কম দামি জিনিসের কদর করি না। বিভিন্ন সমস্যাতেই গাদা গাদা ওষুধের ওপর ভরসা করে সকলে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জানি না রান্নাঘরের এক কোনে পড়ে থাকা কোনও একটি জিনিসেই হবে রোগমুক্তি। সুপারি, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই থাকে। পানের সঙ্গে অনেকেই খান। পুজোর কাজেও লাগে সুপারি। কিন্তু এই সুপারি যে কত রোগের মহৌষধ তা জানেন কি? বেশিরভাগ জনই সুপারির লুকনো গুণ সম্বন্ধে প্রায় কিছুই জানেন না। এই একটি বস্তু দূরে রাখতে পারে একাধিক রোগ। শুধু খেতে হবে সঠিক উপায়ে। প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে সুপারি। লখনউয়ের বলরামপুর হাসপাতালের আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ জিতেন্দ্র শর্মা জানালেন সুপারির আশ্চর্য গুণাগুণ সম্পর্কে। ডাঃ জিতেন্দ্র শর্মা জানালেন, যে সুপারি একটি শুকনো ফল। ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যালকালয়েড, গ্লুকোসাইড, আইসোপ্রেনয়েড, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ইউজেনলের মতো বিশেষ উপাদান এই ফলটিতে পাওয়া যায়। এগুলো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি খেলে অনেক রোগ এড়ানো যায়। বমি রোধ করে: আয়ুর্বেদাচার্যের মতে, সুপারি খাওয়া বমি প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। আসলে সুপারিতে উপস্থিত অনেক সক্রিয় উপাদান বমি বমি ভাবের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। যদি বারবার বমির অনুভতি হয়, সেক্ষেত্রে সুপারি খাওয়া কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। দাঁতের ব্যথা নিরাময়: সুপারি দাঁত সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রাখে। আসলে সুপারিতে এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরে ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করতে পারে। যারা দাঁতের ব্যথায় ভোগেন তাদের জন্য সুপারি ব্যবহার উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। মুখের ঘা সারায়: ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ সুপারি মুখের ঘা সারাতে উপকারী। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে সুপারি শীতল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মুখের আলসারের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। সুপারি বাদামের এমন বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা ফোলাভাব এবং লালভাব কমায়, যা দ্রুত আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে। ডায়েরিয়া প্রতিরোধ করে: সুপারিতেও কিছু উপাদান পাওয়া যায়, যা পাকস্থলী ও অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুপারি খেলে ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও সেরে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়: কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে সুপারির জল খাওয়া খুবই উপকারী। সুপারি মলত্যাগ এবং বিপাক ক্রিয়াকে দ্রুত করতে সহায়ক। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। পাইলসের কারণে মলত্যাগের সমস্যা এবং অন্ত্রের ফুলে যাওয়া সমস্যা কমাতে এর সেবন কার্যকর। সুপারি খাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হল হালকা গরম জলের সঙ্গে সুপারির পাউডার খাওয়া। পাশাপাশি, আপনি এটি চা বা দুধে যোগ করেও খেতে পারেন।