কাঠি ভাজা বিক্রেতা মঙ্গল হাজরা

Hooghly News: মানুষকে কাঠি দিতে ওস্তাদ ষাটোর্ধ মঙ্গল! কাঠি খেতেই পকেট থেকে টাকা দেন রেলযাত্রীদের 

হুগলি: কথায় আছে মারাঠিদের অস্ত্র তলোয়ার, শিখদের কুকরি আর বাঙালির হাতিয়ার কাঠি। বাঙালিরা নাকি কাঠি দিতে ওস্তাদ। তবে কেউ কি যেচে নিজে কাঠি খেতে চায় ? অবশ্যই নয়, অফিস হোক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাঠি বাজি থেকে বাঁচার চেষ্টা চলে সর্বত্র। তবে একমাত্র লোকাল ট্রেনে উঠলে দেখা মেলে লোকজন যেচে কাঠি নিতে চাইছেন। তবে এই কাঠি হল ভাজা কাঠি। পাঁচ টাকা দশ টাকার মুখোরোচক মঙ্গলদার কাঠি ভাজা সকল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের প্রিয়। তাইতো ট্রেনে উঠে “কাকে দেব কাঠি” বলতে না বলতেই লোকজন পয়সা নিয়ে হাজির হয়ে যান কাঠি খাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুনঃ জেদি নোংরা নিমেষে ভ্যানিশ! জামা-কাপড়ে চা, কফির দাগ তুলতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই টোটকা, রইল টিপস

বর্ধমানের রসুলপুরের বাসিন্দা বছর পয়ষট্টির মঙ্গল হাজরা। দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে ট্রেনে হকারি করে আসছেন। সন্ধ্যা হতেই হাওড়া বর্ধমান মেনলাইনে ৬.১২ বর্ধমান লোকালে খন‍্যান স্টেশন থেকে ওঠেন প্রথম কম্পার্টমেন্টে। তবে অন্যান্য হকারদের থেকে তার কাটিভাজা, বাদাম ভাজা, ঝুরিভাজা ও মিষ্টি বাদাম বিক্রি করাটা কিছুটা আলাদা। অনেকের কাছেই খুব ছোট থেকে পরিচিত তিনি। ট্রেনে উঠেই মজার ছলে বলেন, কেউ খেতে বাকি আছে, কাঠি দেব, সব অম্বল হয়েছে নাকি। এভাবেই সুর করে কাটিভাজা বিক্রি করেন তিনি। যাত্রীরা ও তার এই অভিনব কৌশল হাসিমুখে মেনে নেন।

ট্রেন যাত্রী জয় মুর্মু বলেন, ‘প্রতিদিনই ট্রেনে যাতায়াত করি প্রতিদিনই মঙ্গল দার সঙ্গে দেখা হয়। তিনি খন্নান স্টেশন থেকে ওঠেন। ট্রেনের অনেক যাত্রী তার কাছ থেকে কাঠি ভাজা কিনে খান তবে তিনি যেভাবে বিক্রি করেন সেটা আমাদের কাছে খুব ভাললাগে।’ হকার মঙ্গল হাজরা বলেন, ‘৩৯ বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছি, আর তা থেকেই চলে আমার সংসার। সঠিক ভাজা কাঠি কিনে এনে বাড়িতেই প্যাকিং করে সেটাকে বিক্রি করি। রাজনীতিতে একে অপরকে কাটিয়ে দিলেও আমি সবাই কে কাঠি দিই।’

রাহী হালদার