Tag Archives: Hawker

Hawker Eviction: রাতের অন্ধকারে ভাঙা পড়ল তৃণমূলের পার্টি অফিস!

হুগলি: জিটি রোডের যানজট এড়াতে রাতেই চলল উচ্ছেদ অভিযান। বাদ গেল না শাসকদলের অফিস। কোন্নগর বাগখাল জিটি রোড সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হয় এই অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান। জিটি রোডের দুই ধারে অবৈধভাবে জবরদখলকারী হকার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, যাবতীয় বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

কোন্নগরের পুরপ্রধান এই উচ্ছেদ অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর উপস্থিতিতেই বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জেসিবি দিয়ে। কিন্তু দিনের বেলার বদলে কেন রাতের অন্ধকারে এই উচ্ছেদ অভিযান হল?

আর‌ও পড়ুন: দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে আগুন, ব্যাপক চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়

এই বিষয়ে কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস জানান, জিটি রোড সংলগ্ন রাস্তার জবরদখলের উচ্ছেদ চলছে। যেহেতু জিটি রোড অন্যতম একটি ব্যস্ততম রাজ্য সড়ক তাই দিনের বেলায় এই কাজ হলে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে দিনের বেলায় না করে রাতের অন্ধকারে এই কাজ করেছে প্রশাসন। তিনি আরও জানান, রাত এগারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলে জিটি রোড সংলগ্ন রাস্তায় অবৈধ জবরদখলকারী হকারদের উচ্ছেদের কাজ। এক মাস আগে থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে যারা উঠে যায়নি তাদের বেআইনিভাবে গড়ে তোলা কাঠামোগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।

রাহী হালদার

East Bardhaman News: ৬৪ বছরের ফেরিওয়ালার ভ্যানে ওটা কী ঝুলছে? কাণ্ড দেখলে চমকে যাবেন!

পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা শক্তিপদ সাহা পেশায় ফেরিওয়ালা। গত ২০ বছর ধরে তিনি ফল এবং সবজি বিক্রি করেই দিন যাপন করেন। তবে ফেরি করার পাশাপাশি তিনি আরও এক বিশেষ কাজ করেন। সেই কাজের জন্য কমবেশি সকলেই চেনেন শক্তিকে।

একটি ছোট্ট ভ্যান রয়েছে শক্তির। সেই ভ্যানে করে ফল নিয়ে তিনি বর্ধমান শহরে ঘুরে বেড়ান। প্রত্যেকদিন ভোরবেলায় উঠে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। ৬৪ বছর বয়সেও তিনি এই কাজ করে চলেছেন। তবে একটি ব্যাপার কারও চোখ এড়ায় না। ফেরিওয়ালার ফেরি করার ভ্যানে ঝোলানো রয়েছে একটি হেলমেট। কিন্তু ফেরিওয়ালার ভ্যানে হেলমেট কেন? শক্তি জানান, মানুষকে সচেতন করার জন্যই তিনি এই হেলমেট ঝুলিয়ে রেখেছেন। সবাই যাতে সাবধানে ট্রাফিক আইন মেনে বাইক চালান, সেই বার্তা দিতেই তাঁর এই ভাবনা।

শুধু হেলমেট নয়, শক্তির ভ্যানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক বার্তা। ফেরি করার পাশাপাশি তিনি জনসাধারণকে সচেতন করে চলেন। সচেতনতা প্রচারের অভিনব পন্থাও বেছে নিয়েছেন তিনি। নিজেই বেশ কিছু কার্ডবোর্ডের মধ্যে লিখেছেন সচেতনতামূলক বার্তা। তার পর সেই কার্ডবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন ভ্যানের মধ্যে। শক্তির ফেরি করার ভ্যান দেখলেই যে কারও চোখে পড়বে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক বার্তা।

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে এই কাজ করে চলেছেন শক্তি। তবে মানুষকে সচেতন করার এক বিশেষ কারণ রয়েছে। বহুবার তাঁর চোখের সামনে ঘটে গিয়েছে দুর্ঘটনা। অনেকের প্রাণ যেতে দেখেছেন শক্তি। তাই যাতে মানুষ সচেতন হয়, হেলমেট পড়ে বাইক চালায় সেই কারণে তিনি সকলকে সচেতন করেন।

শক্তির কথায়, “অনেকেই সচেতনতার বার্তা ভালভাবে গ্রহণ করে। আবার কেউ কেউ মজার ছলে নেয়। কথা গ্রাহ্য না করে হেলমেট ছাড়াই বাইক চালায়।”

আরও পড়ুন-ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা, সাবধান! এবার নতুন রূপে, জেনে নিন উপসর্গ

তবে শক্তি হাল ছাড়েন না। জানিয়েছেন, তিনি আগামী দিনেও এই কাজ চালিয়ে যাবেন। মানুষকে সচেতন করা যেন তাঁর কর্ম।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Hawker eviction: ফুটপাত দখল করে ব্যবসা নয়! মেমারিতে ভাঙা হল দোকান, অবৈধ নির্মাণ

পূর্ব বর্ধমান: মেমারি পৌরসভায় ভেঙে দেওয়া হল রাস্তার পাশের অবৈধ নির্মাণ। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছিল দোকানপাট। হচ্ছিল যানজটের সমস্যাও। ব্যাহত হচ্ছিল নিকাশি পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করছেন কিংবা অবৈধ ভাবে বাড়ি তৈরি করেছেন, তাঁদের অবিলম্বে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফুটপাত যাতে দখলমুক্ত হয় তার ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন-ছাত্র আন্দোলনের আঁচে দুই বাংলার মাঝে ৩ ঘণ্টা আটকে মৈত্রী এক্সপ্রেস!

শুক্রবার মেমারির বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে তৈরি হওয়া অবৈধ দোকান ভেঙে দেওয়া হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। হঠাৎ করে দোকান ভাঙায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অন্যত্র তাঁদের ব্যবসা করার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
মেমারি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন পৌরসভা এলাকায় অবৈধ জবরদখল উচ্ছেদের অভিযান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা, ফুটপাত জবরদখল মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনে গত কয়েকদিন ধরে মেমারি শহরে বেআইনিভাবে রাস্তা দখল করে যারা ব্যবসা করছেন তাঁদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। অনেকেই অস্থায়ী কাঠামো সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তার পরও দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু ব্যক্তি জবরদখল না সরানোর সিদ্ধান্ত অনড় ছিলেন।

এ দিন প্রশাসন ও পৌরসভা পুলিশের সাহায্য নিয়ে সেই সব কাঠামো সরিয়ে দেয়। বামুনপাড়া মোড় থেকে বিডিও অফিস যাবার রাস্তায় অভিযান চালানো হয়। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য এলাকাগুলিতেও এই অভিযান চালানো হবে।
শহরের বাসিন্দারা জানান, জবরদখলের ফলে দিন দিন রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। ফুটপাত না থাকায় রাস্তার মাঝখান দিয়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের হাঁটাচলা করতে হয়। সেই রাস্তা দিয়েই চলে বাস ও অন্যান্য যানবাহন। তার ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। যানজট লেগেই থাকে। অন্যদিকে, নর্দমার ওপরেই দোকানঘর বসে যাওয়ায় নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা হচ্ছিল। সে সমস্যারও সমাধানও এইভাবেই হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।

Hawker Eviction: উচ্ছেদ নয়, হকারদের বুঝিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করার চেষ্টা

বাঁকুড়া: উচ্ছেদ নয়। ভালভাবে হকারদের বুঝিয়ে ফুটপাত থেকে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন‌ই ঘটনা নজরে এল বাঁকুড়া পুর এলাকায়। পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার, উপ-পুরপ্রধান হিরণ চট্টরাজ এবং বাঁকুড়া থানার আইসি সহ আধিকারিকরা বুধবার দুপুরে দলবেঁধে এই পদক্ষেপে সামিল হন। এদিন তাঁরা হাজির হন বাঁকুড়া শহরের মাচান তলায়। এখানে গোটা ফুটপাতই প্রায় হকারদের কবলে চলে গিয়েছে।

বাঁকুড়ার মাচান তলায় পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হন। আর ফুটপাত হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের বেআইনিভাবে জবরদখল করে গড়ে তোলা দোকান ঘর! এর ফলে শহরে বাড়ছে যানজট, অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঠিক সময়ে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে পারছে না। আর তাই বাঁকুড়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাচানতলাকে হকার মুক্ত করে ফুটপাত পথ পথচারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার। যদিও তা গায়ের জোরে নয়, বরং বুঝিয়ে শুনিয়ে কার্যোদ্ধারের চেষ্টা করছেন পুরোকর্তারা।

আরও পড়ুন: দীর্ঘস্থায়ী বর্ষার আশঙ্কায় আগাম প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সুন্দরবনের শিল্পীরা

অভিযানে বেরিয়ে খুব স্পষ্ট করেই বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, উচ্ছেদ নয়। হকারদের স্থানান্তর করা হবে। যেখানে হকাররা ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এদিকে শহরের সাইকেল স্ট্যান্ড হকারদের জবরদখলে চলে যাওয়া নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ শহরের সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেছেন, সাইকেল স্ট্যান্ডে যে ব্যবসায়ীরা স্টল দিয়েছেন তাঁদেরকে মিটিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শহরের কিশান মান্ডিতে গিয়ে বসার জন্য। আমরা হকারদের কথা চিন্তা করেই কাজ করার চেষ্টা করছি, যাতে তাঁরাও ব্যাবসা করে সংসার চালাতে পারেন।

তবে এই প্রক্রিয়া আদৌ কার্যকরী হবে কিনা সেই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। আদৌ হকাররা পুরসভার এই উদ্যোগে সম্মত হবেন কিনা সেই প্রশ্ন তুলছেন শহরের বাসিন্দারা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Hawker Protest: পুনর্বাসনের জায়গা নিয়ে আপত্তি, প্রতিবাদে মেদিনীপুরে পথ অবরোধ হকারদের

পশ্চিম মেদিনীপুর: ফুটপাত দখল মুক্ত করতে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর শহরে প্রতিবাদের সম্মুখীন হতে হল প্রশাসনকে। ফুটপাত দখল মুক্ত করে সেখানকার হকারদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হলেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন তাঁরা। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করলেন মেদিনীপুরের হকাররা।

কারওর চায়ের দোকান, কারওর আবার খাবারের দোকান। মেদিনীপুর শহরের অলিতে গলিতে একাধিক ছোট ছোট দোকানে চলত বেচাকেনা। তবে সেই জায়গা দখলমুক্ত করতে চাইছে প্রশাসন। তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নামল হকাররা। মেদিনীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ কলেজিয়েট ময়দান রোডের হকারদের রাস্তার পাশ থেকে তুলে অন্যত্র ডিআই অফিসের গলিতে পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ মেদিনীপুর পুরসভার তরফে শুরু করা হয়।

আরও পড়ুন: শুধু উচ্ছেদ নয়, মালদহে পুনর্বাসন দেওয়া হবে হকারদের

এরপরই মেদিনীপুর শহরে শুরু হয় হকারদের বিক্ষোভ। মেদিনীপুর কলেজ রোড অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ ও অনিচ্ছুক হকাররা। হকারদের দাবি, যেখানে তাঁদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা, সেখানে কোনওভাবেই ব্যবসা করা সম্ভব নয়। তাঁরা চান মূল রাস্তার পাশেই তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক পুর কর্তৃপক্ষ। এর‌ই প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান হকাররা।

প্রসঙ্গত হকারদের নিয়ে মহকুমাশাসক দফতরে আলোচনা হয় মঙ্গলবার। এরপরই বুধবার হকারদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু করা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলে বিক্ষোভ দেখান হকাররা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত শহর যানজট মুক্ত রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রঞ্জন চন্দ

Hawker Rehabilitation: শুধু উচ্ছেদ নয়, মালদহে পুনর্বাসন দেওয়া হবে হকারদের

মালদহ: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর রাজ্যজুড়ে ফুটপাথ ও সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় আছে মালদহ জেলার নাম‌ও। মালদহ শহরের অধিকাংশ ফুটপাত দখল হয়ে আছে। সেগুলি মুক্ত করার কাজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি উচ্ছেদ করা হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। ফলে এই দখলমুক্ত অভিযান সমর্থন পাচ্ছে এখানকার হকারদের‌ও।

শুধুমাত্র ফুটপাত নয়, মালদহ শহরের বেশ কিছু রাস্তার উপরেও ঠেলাগাড়ি করে দোকান বসছে। তবে এই সমস্ত ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের উচ্ছেদ করলে সমস্যায় পড়বে তাঁদের পরিবার‌ও। তাই শুধুমাত্র উচ্ছেদ নয়, পাশাপাশি তাঁদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মালদহ শহরের সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ী ও অস্থায়ী বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মালদহ শহর জুড়ে হকার্স সার্ভে। শহরে কত হকার রয়েছেন, কত ভ্রাম্যমান দোকান আছে বা অস্থায়ী দোকান রয়েছে এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হেলমেট ছাড়াই বান্ধবীকে বাইকে চাপিয়ে দুরন্ত গতিতে দৌড়! দুর্ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু

পুরপ্রধান শুভময় বসু বলেন, ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে সার্ভে করা হবে। আগামীতে আবারও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে।

ইংরেজবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে এই সার্ভে করা হচ্ছে। সার্ভে শেষে রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পেশ করা হবে। এই সার্ভের পর চলতি সপ্তাহের শেষে আবারও জেলার প্রশাসন ও পুরসভার মধ্যে একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে হকার ও অস্থায়ী দোকানদারদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ইংরেজবাজার পুরসভার ১ নম্বর থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত এই সার্ভে চলবে। পাশাপাশি কেজে সান্যাল রোড থেকে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ পর্যন্ত নো হকার্স জোন করা হবে। এই রাস্তাটি মালদহ শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা। এখানে অস্থায়ী দোকান বসায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারী থেকে গাড়িচালকদের।

এদিকে সূত্রের খবর, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের মধ্যে সরকারি জমি চিহ্নিত করে সেখানে হকার ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমান দোকানগুলি নিয়ে আগামীতে কিছু চিন্তা ভাবনা করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। মূলত খাবার দোকান ভ্রাম্যমানভাবে শহরের কিছু রাস্তায় বসে। কীভাবে তারা দোকান করতে পারবেন সে ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে খুশি হকাররাও।

হরষিত সিংহ

Hooghly News: মানুষকে কাঠি দিতে ওস্তাদ ষাটোর্ধ মঙ্গল! কাঠি খেতেই পকেট থেকে টাকা দেন রেলযাত্রীদের 

হুগলি: কথায় আছে মারাঠিদের অস্ত্র তলোয়ার, শিখদের কুকরি আর বাঙালির হাতিয়ার কাঠি। বাঙালিরা নাকি কাঠি দিতে ওস্তাদ। তবে কেউ কি যেচে নিজে কাঠি খেতে চায় ? অবশ্যই নয়, অফিস হোক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাঠি বাজি থেকে বাঁচার চেষ্টা চলে সর্বত্র। তবে একমাত্র লোকাল ট্রেনে উঠলে দেখা মেলে লোকজন যেচে কাঠি নিতে চাইছেন। তবে এই কাঠি হল ভাজা কাঠি। পাঁচ টাকা দশ টাকার মুখোরোচক মঙ্গলদার কাঠি ভাজা সকল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের প্রিয়। তাইতো ট্রেনে উঠে “কাকে দেব কাঠি” বলতে না বলতেই লোকজন পয়সা নিয়ে হাজির হয়ে যান কাঠি খাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুনঃ জেদি নোংরা নিমেষে ভ্যানিশ! জামা-কাপড়ে চা, কফির দাগ তুলতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই টোটকা, রইল টিপস

বর্ধমানের রসুলপুরের বাসিন্দা বছর পয়ষট্টির মঙ্গল হাজরা। দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে ট্রেনে হকারি করে আসছেন। সন্ধ্যা হতেই হাওড়া বর্ধমান মেনলাইনে ৬.১২ বর্ধমান লোকালে খন‍্যান স্টেশন থেকে ওঠেন প্রথম কম্পার্টমেন্টে। তবে অন্যান্য হকারদের থেকে তার কাটিভাজা, বাদাম ভাজা, ঝুরিভাজা ও মিষ্টি বাদাম বিক্রি করাটা কিছুটা আলাদা। অনেকের কাছেই খুব ছোট থেকে পরিচিত তিনি। ট্রেনে উঠেই মজার ছলে বলেন, কেউ খেতে বাকি আছে, কাঠি দেব, সব অম্বল হয়েছে নাকি। এভাবেই সুর করে কাটিভাজা বিক্রি করেন তিনি। যাত্রীরা ও তার এই অভিনব কৌশল হাসিমুখে মেনে নেন।

ট্রেন যাত্রী জয় মুর্মু বলেন, ‘প্রতিদিনই ট্রেনে যাতায়াত করি প্রতিদিনই মঙ্গল দার সঙ্গে দেখা হয়। তিনি খন্নান স্টেশন থেকে ওঠেন। ট্রেনের অনেক যাত্রী তার কাছ থেকে কাঠি ভাজা কিনে খান তবে তিনি যেভাবে বিক্রি করেন সেটা আমাদের কাছে খুব ভাললাগে।’ হকার মঙ্গল হাজরা বলেন, ‘৩৯ বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছি, আর তা থেকেই চলে আমার সংসার। সঠিক ভাজা কাঠি কিনে এনে বাড়িতেই প্যাকিং করে সেটাকে বিক্রি করি। রাজনীতিতে একে অপরকে কাটিয়ে দিলেও আমি সবাই কে কাঠি দিই।’

রাহী হালদার

Footpath Eviction: পুরসভার পর এবার পঞ্চায়েত এলাকাতেও দখলমুক্ত অভিযান শুরু

উত্তর ২৪ পরগনা: পুর এলাকার পর এবার পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হল জবরদখল মুক্ত অভিযান। হাসনাবাদ-১ ব্লকের চৌমাথা এলাকায় বেআইনিভাবে ফুটপাত দখল করে বসে থাকা হকারদের তুলে দিয়ে পথচারীদের জন্য রাস্তা ফেরানোর অভিযানে নামল জেলা প্রশাসন।

দীর্ঘদিন ধরে মালঞ্চ রোড, মুরারিশা চৌমাথায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা পাধ্যায়ের ঘোষণার পরপরই ফুটপাত দখলমুক্ত করার এই উচ্ছেদ অভিযানে নামল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এই উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি এসকেন্দার গাজি, হাসনাবাদ থানার আইসি সহ পুলিশ প্রশাসন।

আর‌ও পড়ুন: অঙ্ক ও বিজ্ঞানে ভীতি কাটাতে স্কুলের বিরাট আয়োজন, খুশি অভিভাবকরাও

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনিক করতে জানিয়েছেন প্রথমে ফুটপাতে বসে থাকা হকারদের উঠে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। তারপরেও যারা কথা শুনবে না তাদেরকে তুলে দেওয়া হবে।

এদিকে হাসনাবাদের হকাররা জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাঁরা সেটাই করবেন। কারণ তাঁদের জন্য পথচারীদের অসুবিধা হোক সেটা চান না বলে জানান। যদিও বেশ কিছু হকার জানিয়েছেন, কোন‌ওরকমে রাস্তার উপরে বসে ব্যবসা করছিলাম। কিন্তু এর ফলে সেই ব্যবসাটাই হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে। ফোনে কী করে সংসার চলবে তা বুঝতে পারছেন না বলে গভীর চিন্তা প্রকাশ করেন।

জুলফিকার মোল্যা

Bangla News: ‘কোথায় যাব…?’ উচ্ছেদ চলছে জেলায় জেলায়! দোকান ভাঙতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকার

আলিপুরদুয়ার: শহর কলকাতার মতো জেলাতেও শুরু হয়েছে বেআইনি হকার উচ্ছেদ। হকার উচ্ছেদ শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলা আলিপুরদুয়ারে। তবে এখানেও উচ্ছেদের মাঝেই পুনর্বাসনের কথা জানালেন মহকুমা শাসক। আগামী কযেকদিন এই অভিযান চলবে বললেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু কর। তবে দোকান ভাঙায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকার।

Footpath Eviction: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করতে হবে দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত! সতর্কবার্তা পেতেই যা করলেন হকাররা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মালপত্র গুটিয়ে নিয়ে। খালি করে দিতে হবে রাস্তা। বারুইপুরে বাইপাস এলাকার নয়নজুলির পাড়ে অবস্থিত দোকানগুলোর জন্য এমন‌ই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে।

বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে বারুইপুর বাইপাসের ধারে খালের পাশে রাস্তা দখল করে বসে থাকা দোকানগুলি তুলে ফুটপাত পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোকানদারদের উঠে যাওয়া নির্দোষ দিয়েছে থানা। বারুইপুর শাসন থেকে বংশী বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি বেআইনি দোকান আছে। এই সবগুলিকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: রাস্তায় বেরিয়ে প্রকৃতির ডাক এলেই হাজির হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্রাম্যমান বায়ো টয়লেট!

রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক ফুটপাত মুক্ত নীতি মেনে এই পদক্ষেপ করেছে বারুইপুর থানা। তবে ফুটপাত জুড়ে সেখানে যে কেবল হকাররা দোকান দিয়ে বসে আছে তা নয়। বেশ কিছু গাড়ি, টোটো ফুটপাতে রাখা থাকে। সেগুলোও সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ সময় সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর দোকানের জিনিসপত্র গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন হকাররা।

সুমন সাহা