সুনীলের ৮৫ তম গোল, কিরঘিজ রিপাবলিককে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ভারত

ইম্ফল: ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মায়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মাত্র গলে জয় পেয়েছিল ভারত। সেদিন গোল করেছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। আজ মঙ্গলবার ভারত নেমেছিল কিরঘিজ রিপাবলিকের বিরুদ্ধে। এমনিতে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভারতের আজকের ড্র করলেই হয়ে যেত। কিন্তু ভারতের কোচ ইগর স্তিম্যাচ কথা দিয়েছিলেন ড্র নয়, জয়ের লক্ষ্যে নামবে তার দল। মনিপুরের মাঠে কানায় কানায় ভর্তি ছিল দর্শক।

খুমান লুম্পাক স্টেডিয়ামে দর্শকরা প্রতিমুহূর্তে ভারতীয় দলকে মোটিভেশন দিয়ে গেল। প্রথম থেকেই দাপট ছিল ভারতের। ৩৪ মিনিটের মাথায় গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন সন্দেশ ঝিংহান। ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ একটা মাপা ফ্রিকিক তোলেন। বাঁদিক থেকে উঠে এসে ডিফেন্ডার সন্দেশ বা পায়ের ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন। নিখুঁত সেট পিস মুভ যাকে বলে।

ভারতের ডান দিক থেকে চাংতে, বাঁদিক থেকে আকাশ বারবার গতি বাড়িয়ে সমস্যায় ফেলছিলেন কিরঘিজ ডিফেন্ডারদের। সুরেশ এবং জিকসন মাঝখানে প্রচুর পরিশ্রম করলেন। ডিফেন্সে প্রীতম, আনোয়ার ছিলেন দুর্ভেদ্য। সেকেন্ড হাফ শুরু হওয়ার পর চাপ বাড়ায় কিরঘিজ রিপাবলিক। বেশ কিছু আক্রমণ তুলে আনে তারা। বেশ কয়েকবার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে ফ্রিকিক আদায় করে নেয়।

এরপর ভারতের কোচ ব্র্যান্ডনকে তুলে নিয়ে নিয়ে আসেন মহেশ সিং কে। নিয়ে আসা হয় রোহিত কুমারকে। শেষ ১৫ মিনিটে নামে সাহল সামাদ। আবার খেলার কন্ট্রোল নিয়ে নেয় ভারত। পরপর আক্রমণ করতে থাকে তারা। নিঃসন্দেহে বলা যায় জানুয়ারিতে হতে চলা এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিতে এই দুটি ম্যাচ কিছুটা হলেও সাহায্য করবে ভারতকে।

একটা কম্বিনেশন তৈরি করার ব্যাপারে ভারতীয় দল যত একসঙ্গে খেলবে, তত বোঝাপড়া বাড়বে নিজেদের মধ্যে। এটাই প্রয়োজন ফুটবলে। শেষ দিকে রোশন এবং মেহতাব সিং কে দেখে নিলেন ভারতের কোচ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দুরন্ত গতিতে ফুটবল খেলে গেল ভারত। ফিটনেস নিয়ে কথা হবে না।

পাশাপাশি বলতেই হবে এই ভারতীয় দল সহজে হার মান আর মানসিকতার নয়। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পেল ভারত। মহেশের গতির সঙ্গে পেরে না উঠে তাকে ফাউল করে বসেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভারতের জার্সিতে এই নিয়ে তার ৮৫ তম গোল হয়ে গেল।