KKR Andre Russell: জন্মদিনে বৃথা গেল রাসেলের লড়াই, প্লে অফ থেকে আরও দূরে কেকেআর

কলকাতা: শনিবার জন্মদিনটা সুখের কাটল না আন্দ্রে রাসেলের। কিন্তু সুখের হতেই পারত। আজ ইডেনে ব্যাট হাতে ৩৪ রান করার পর বল হাতে ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সম্পূর্ণ ফিট না থাকলেও আজ ঘরের মাঠে জয় পেতে তার মধ্যে যতটা খিদে ছিল সেটা বাকিদের মধ্যে ছিল না। গুরবাজ এবং রাসেল ছাড়া আজ কেকেআরের সবাই ফ্লপ। মিডল অর্ডারে রানা, রিঙ্কু, ভেঙ্কটেশ কেউ খেলতে পারেনি।

ঘরের মাঠে যে অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার কথা ছিল সেটা নিতে পারল না শাহরুখ খানের দল। উল্টে দু ওভার বাকি থাকতে হেরে গেল ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই মন ভাল নেই রাসেলের। ক্যারিবিয়ান তারকা বলছিলেন আমরা ২০-২৫ রান কম করেছি। জঘন্য ফিল্ডিং করেছি। রাসেলের কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল অধিনায়ক নীতিশ রানার গলাতে। রানা আজ নিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ।

ম্যাচ শেষে বললেন ফিল্ডিং এবং বোলিং এত খারাপ হলে এবং গুজরাতের মতো চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে খেলতে হলে এই ফলাফল অবাক হওয়ার মতো নয়। সমগ্র দল হিসেবে আমরা আজ ব্যর্থ। রাসেল আর গুরবাজ লড়াই করেছে শুধুমাত্র। জানিনা এখান থেকে উন্নতির রাস্তা কোথায়। সমর্থকদের জন্য দুঃখ লাগছে। তবে অধিনায়ক হিসেবে আমি হাল ছেড়ে দিতে পারি না।

প্লে অফ খেলা কঠিন হয়ে গেল মানছি। কিন্তু আমাদের সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়নি। সুযোগ আছে এখনও। আয়নায় মুখ দেখতে হবে আমাদের। আমি শুধু বলব নিজেদের ওপর শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস হারিও না। খেলা ভেঙেছে কিছুক্ষণ আগে। ইডেনের বাইরে দাঁড়ানো টিম বাসে একে একে এগুচ্ছেন ক্রিকেটাররা। রাসেলকে একবার দেখার জন্য তখন বাচ্চাদের ভিড়।

আসলে ক্যারিবিয়ান তারকা তাদের বড্ড প্রিয়। রাসেল রাসেল চিৎকার শুনে একবার হাত তুলে নাড়ালেন। তারপর মাথা নিচু করে বাসের মধ্যে মিলিয়ে গেল বিশাল শরীরটা। জন্মদিনে তাকে জয় উপহার দিতে পারেনি তার দল। চন্দ্রকান্ত পন্ডিত যাই বলুন তিনি দলটার কম্বিনেশন তৈরি করতে পারেননি। হয়তো এত তাড়াতাড়ি সেটা সম্ভব নয়। আশা করাও ঠিক নয়।

কিন্তু জঘন্য ফিল্ডিং ক্লাব স্তরের বোলিং নিয়ে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। খাতায়-কলমে সামান্য হলেও কেকেআরের সুযোগ আছে প্লে অফে টিকে থাকার। কিন্তু সেটা না থাকার সমান। আজকের পর আত্মবিশ্বাস আরও তলানিতে যাবে বেগুনি জার্সিধারীদের। রিঙ্কু সিং ম্যাজিক রোজ রোজ হয় না।