নজরদারি বনদফতরের

মধু লুট রুখতে কড়া নজরদারি! সুন্দরবনে এবার শুরু ‘অপারেশান গোল্ডেন হানি’

সুন্দরবন: সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত সজনেখালি ও বসিরহাট দুটি রেঞ্জেই আনুমানিক ছ’শো মৌলে মধু সংগ্রহ অভিযানে নামবেন। তবে মধু সংগ্রহের সময় এলে সুন্দরবনে বাংলাদেশী জলদস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায় প্রতি বছরই। জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করে নিয়ে আসার সময় মৌলেদের নৌকায় হানা দেয় তাঁরা।

মধু-সহ যাবতীয় সামগ্রী লুটের ঘটনাও ঘটেছে ফি বছর। আর বাংলাদেশী জলদস্যুদের হাত থেকে মৌলেদের বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প।

আরও পড়ুন- রঙে রঙে রঙিল আকাশ…., পলাশের টানে পুরুলিয়ায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

টানা ৪১ দিন সুন্দরবনের নদী খাঁড়িতে বিশেষ নজরদারি চালাবে বন দফতর। গত বছর থেকেই ‘অপারেশান গোল্ডেন হানি’ নামে বিশেষ নজরদারি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নজরদারি এড়িয়ে গত বছর একাধিকবার বাংলাদেশী জলদস্যুরা মৌলেদের উপর হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন- দোলেও ফের ঝাপিয়ে বৃষ্টি? দক্ষিণবঙ্গ কাঁপাবে ঝড়জল? ‘বড়’ আপডেট আবহাওয়া দফতরের

মারধরের পাশাপাশি লুটপাট চালিয়েছে মৌলেদের নৌকায়। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের গহন জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে আনা মধু চোখের নিমেষে লুট করে নিয়েছে এই বাংলাদেশী জলদস্যুরা।

যদিও বন দফতরের তৎপরতায় বেশ কয়েকজন জলদস্যু ধরাও পড়েছিল। বন দফতর সূত্রের খবর, গত এক বছরে ১৮ জন বাংলাদেশী ডাকাত ধরা পড়েছে সুন্দরবন এলাকায়।

প্রতি বছর মধু লুটের আশায় মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন জঙ্গলে ওত পেতে বসে থাকে বাংলাদেশী দুষ্কৃতিরা। আর সেই কারণে এবার আরও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা কড়া হয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফ থেকে।

মধু সংগ্রহ শুরু হতে এখনও দিন পনেরো বাঁকি থাকলেও তার আগে থেকেই কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে সুন্দরবনে।মূলত বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সুন্দরবনে ঢোকার সমস্ত পথেই নজরদারি চালানো হচ্ছে। এদিন থেকেই বনকর্মীদের ৭টি বিশেষ দল ভুটভুটিতে করে নজরদারি শুরু করেছেন।

সুমন সাহা