কোচবিহার: অফিসের কাজ করা থেকে শুরু করে মুদিখানার জিনিস কেনা, মোবাইল ছাড়া এখন এক পাও চলা দুষ্কর। যন্ত্রপাতি ক্রমশ জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠছে। মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভির মতো আধুনিক নানা যন্ত্রের সঙ্গে দিনের বেশির ভাগ সময়টা কাটাতে হয় এখন। ছোট শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব বয়সের ক্ষেত্রেই যন্ত্রের ব্যবহার যেন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুদেদের দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটে ল্যাপটপের সামনে কিংবা মোবাইলের সামনে। তেমনই কাজের চাপে, সারা দিন অফিসে ল্যাপটপের সামনে থেকে অনেকে ওঠারই সুযোগ পান না। দীর্ঘক্ষণ যন্ত্রের সংস্পর্শে থাকার ফলে মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, মনঃসংযোগ কমে যাওয়ার মত একাধিক সমস্যা দেখা যায়।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক অর্ণব নিয়োগী জানান, ” মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে সন্তান এবং অভিভাবকদের মধ্যে প্রায় প্রতি বাড়িতেই দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে ক্ষতি না হয়, তার জন্য অভিভাবকেরা সারাক্ষণই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকার ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে চোখে। এর কারণে, মাথায় যন্ত্রণা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কাও থাকে। বর্তমানে কাজ থেকে পড়াশোনা সমস্ত ক্ষেত্রেই স্মার্টফোন ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও জানান, “সারাদিন কম্পিউটার, টিভি কিংবা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের সামনে কাটছে বহু মানুষের জীবন। এতে স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি চোখের-ও ক্ষতি হচ্ছে। স্মৃতিশক্তি প্রখর না হওয়ার মতো ঘটনা সামনে আসছে দৈনন্দিন। তাই মোবাইল আসক্তির ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ টিভির সামনে বসে থাকা উচিত নয়। কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও মানা উচিত বেশ কিছু নিয়মাবলী।”
Sarthak Pandit