BP Reading Tips: বর্তমান সময়ে রক্তচাপের সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কোটি কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপের সম্মুখীন। তরুণদের ক্ষেত্রেও বিপি সমস্যার ঝুঁকি বেড়েছে। আজকাল, বাজারে ডিজিটাল রক্তচাপ চেকিং মেশিন পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে মানুষ সহজেই ঘরে বসেও তাদের বিপি পরীক্ষা করতে পারে।

High Blood Pressure: হাই-প্রেশারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি! হতে পারে মৃত্যু! আপনার ঘরেই আছে মুক্তির উপায়

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এখন ভারতের ঘরে ঘরে। এটা খুব সাধারণ একটা সমস্যা হলেও কখনও কখনও তা প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।  সাধারণত সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৭০ থেকে ১৪০/৯০-এর মধ্যেই৷  কিন্তু এর হেরফের হলেই মুশকিল৷ রক্তচাপ স্বাভাবিকের নীচে নেমে গেলে নানা রকম শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তবে উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে তা যেন কয়েকগুণ বেশি৷ হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া, কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে উচ্চ রক্তচাপের কারণে৷ photo source collected 

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এখন ভারতের ঘরে ঘরে। এটা খুব সাধারণ একটা সমস্যা হলেও কখনও কখনও তা প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।  সাধারণত সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৭০ থেকে ১৪০/৯০-এর মধ্যেই৷  কিন্তু এর হেরফের হলেই মুশকিল৷ রক্তচাপ স্বাভাবিকের নীচে নেমে গেলে নানা রকম শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তবে উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে তা যেন কয়েকগুণ বেশি৷ হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া, কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে উচ্চ রক্তচাপের কারণে৷ photo source collected
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, প্রতি বছর ভারতে প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের কারণে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের এক-তৃতীয়াংশই উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন।  চিকিৎসকদের মতে, জীবনযাত্রায় এবং খাদ্যতালিকায় সামান্য কয়েকটি পরিবর্তন আনতে পারলে ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।photo source collected 
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, প্রতি বছর ভারতে প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের কারণে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের এক-তৃতীয়াংশই উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন।  চিকিৎসকদের মতে, জীবনযাত্রায় এবং খাদ্যতালিকায় সামান্য কয়েকটি পরিবর্তন আনতে পারলে ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।photo source collected
নুন খাওয়া কমাতে হবে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রত্যেক দিন ৫ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, তাঁদের আরওই নুন চলবে না। কারণ, অতিরিক্ত নুন রক্তে মিশে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। শুধু তা-ই নয়, শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যাও। তাই রান্নায় ছাড়া, খাবার পাতে কাঁচা নুন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে, রান্নাতেও কম নুন দিলে ভাল হয়।photo source collected 
নুন খাওয়া কমাতে হবে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রত্যেক দিন ৫ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, তাঁদের আরওই নুন চলবে না। কারণ, অতিরিক্ত নুন রক্তে মিশে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। শুধু তা-ই নয়, শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যাও। তাই রান্নায় ছাড়া, খাবার পাতে কাঁচা নুন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে, রান্নাতেও কম নুন দিলে ভাল হয়।photo source collected
তেল, মশলাদার খাবার এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে বাদ: অতিরিক্ত তেল আর মশলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। মশলাদার খাবারের বদলে পাতে বেশি করে সবুজ শাক-সবজি রাখতে পারেন। সেদ্ধ বা সামান্য তেলে রান্না করা সবজি শরীরে ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলতে হবে। ময়দা, চিনি, সাদা ভাত, কেক, প্যাটিস, বার্গার, সাদা পাঁউরুটির মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করাই মঙ্গলের। এমনি আটার রুটির বদলে জোয়ার, বাজরা, রাগির রুটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে সবচেয়ে ভাল হয়।photo source collected 
তেল, মশলাদার খাবার এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে বাদ: অতিরিক্ত তেল আর মশলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। মশলাদার খাবারের বদলে পাতে বেশি করে সবুজ শাক-সবজি রাখতে পারেন। সেদ্ধ বা সামান্য তেলে রান্না করা সবজি শরীরে ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলতে হবে। ময়দা, চিনি, সাদা ভাত, কেক, প্যাটিস, বার্গার, সাদা পাঁউরুটির মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করাই মঙ্গলের। এমনি আটার রুটির বদলে জোয়ার, বাজরা, রাগির রুটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে সবচেয়ে ভাল হয়।photo source collected
প্রতিদিন শরীরচর্চা: ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চাও জরুরি। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেক দিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা করা আবশ্যিক। যত কার্ডিয়ো করা হবে, তত রক্ত চলাচল বেশি হবে, তত হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে। কোনও রকম দীর্ঘ অসুখ বা হৃদরোগের আশঙ্কা কমবে। ৩০ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াক বা জগিংয়ে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।photo source collected 
প্রতিদিন শরীরচর্চা: ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চাও জরুরি। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেক দিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা করা আবশ্যিক। যত কার্ডিয়ো করা হবে, তত রক্ত চলাচল বেশি হবে, তত হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে। কোনও রকম দীর্ঘ অসুখ বা হৃদরোগের আশঙ্কা কমবে। ৩০ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াক বা জগিংয়ে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।photo source collected
পটাশিয়াম চাই প্রতিদিন: পটাশিয়াম বেশি যেতে হবে শরীরে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি পুষ্টি। তাই কলা, অ্যাভোকাডো, টমেটো, রাঙা আলু, স্যামন মাছ, টুনা, বাদাম, দইয়ের মতো খাবার নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে। বিশেষ করে কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনের যে কোনও সময়, সারাদিনে অন্তত একটা কলা খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।photo source collected 
পটাশিয়াম চাই প্রতিদিন: পটাশিয়াম বেশি যেতে হবে শরীরে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি পুষ্টি। তাই কলা, অ্যাভোকাডো, টমেটো, রাঙা আলু, স্যামন মাছ, টুনা, বাদাম, দইয়ের মতো খাবার নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে। বিশেষ করে কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনের যে কোনও সময়, সারাদিনে অন্তত একটা কলা খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।photo source collected
রসুন: উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী একটি জিনিস হল রসুন৷ সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে জল খেলে রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে৷photo source collected 
রসুন: উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী একটি জিনিস হল রসুন৷ সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে জল খেলে রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে৷photo source collected
পেঁয়াজ: জীবাণুনাশক হিসেবে পিঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম৷ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব কম নয়৷ পিঁয়াজ বাটা ও মধু সমানুপাতে মিশিয়ে প্রতিদিন দু’চামচ করে খেলে সহজেই উচ্চ রক্তচাপ কমানো যায়৷ photo source collected 
পেঁয়াজ: জীবাণুনাশক হিসেবে পিঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম৷ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব কম নয়৷ পিঁয়াজ বাটা ও মধু সমানুপাতে মিশিয়ে প্রতিদিন দু’চামচ করে খেলে সহজেই উচ্চ রক্তচাপ কমানো যায়৷ photo source collected 
ডাবের জল ও কমলালেবু: শখ করেই অনেকে ডাবের জল খেয়ে থাকেন৷ তবে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, রক্তচাপ কমানোতেও নিয়মিত ডাবের জল খাওয়া খুব উপকারী৷ একই সঙ্গে পুষ্টিবিদদের মতে, কমলালেবুর রসের সঙ্গে ডাবের জল মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেতে পারলে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।photo source collected 
ডাবের জল ও কমলালেবু: শখ করেই অনেকে ডাবের জল খেয়ে থাকেন৷ তবে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, রক্তচাপ কমানোতেও নিয়মিত ডাবের জল খাওয়া খুব উপকারী৷ একই সঙ্গে পুষ্টিবিদদের মতে, কমলালেবুর রসের সঙ্গে ডাবের জল মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেতে পারলে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।photo source collected
নিম ও তুলসি: নিম ও তুলসির দুটো করে পাতা নিয়ে বেটে, তার সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে রক্তচাপ কমে৷ খালি পেটে সপ্তাহখানেক খেলেই এর উপকারিতা বোঝা যাবে৷photo source collected 
নিম ও তুলসি: নিম ও তুলসির দুটো করে পাতা নিয়ে বেটে, তার সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে রক্তচাপ কমে৷ খালি পেটে সপ্তাহখানেক খেলেই এর উপকারিতা বোঝা যাবে৷photo source collected
মধু: প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ মতে, হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধু অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ১ কাপ উষ্ণ জলে ১ চামচ মধুর সঙ্গে ৮-১০ ফোঁটা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খেতে পারলে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।photo source collected 
মধু: প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ মতে, হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধু অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ১ কাপ উষ্ণ জলে ১ চামচ মধুর সঙ্গে ৮-১০ ফোঁটা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খেতে পারলে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।photo source collected
ধূমপান, মদ্যপান ছাড়তে হবে: ধূমপান ত্যাগ করতেই হবে। মদ্যপান করলেও তা খুবই সীমিত ভাবে করতে হবে। হালের গবেষণা বলছে, অ্যালকোহল প্রায় ১৬ শতাংশ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। নিকোটিনও রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। photo source collected 
ধূমপান, মদ্যপান ছাড়তে হবে: ধূমপান ত্যাগ করতেই হবে। মদ্যপান করলেও তা খুবই সীমিত ভাবে করতে হবে। হালের গবেষণা বলছে, অ্যালকোহল প্রায় ১৬ শতাংশ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। নিকোটিনও রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। photo source collected