Lok Sabha Elections 2024: লাল-সবুজ-গেরুয়া, তিন প্রার্থীই ছুটছেন সবজির বাজারে! কেন? বর্ধমান-দুর্গাপুরে আজব কাণ্ড

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: সাত দফার মেগা নির্বাচন বাংলার বুকে। দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাপ বাড়ছে ভোটের বাজারে। বাম, বিজেপি, তৃণমূল – সকলেই নেমে পড়েছে ময়দানে। চলছে দমদার প্রচার। কখনও কারোর মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে বিতর্কিত মন্তব্য। কেউ আবার জনসংযোগের দিকেই মনোযোগ করছেন বেশি তবে এসবের মধ্যে এক জায়গা মিলিয়ে দিচ্ছে সবাইকে। ভোট প্রচারে যেদিকে গুরুত্ব রয়েছে সবার। অন্তত সম্প্রতি উঠে আসা কিছু ছবি সেই কথাই বলছে।

লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের শুরু থেকেই এই বিষয়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সব শিবিরের প্রার্থীদের কাছেই। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে যেন মহাতীর্থ হয়ে উঠেছে সবজির দোকান। প্রচারে বেরিয়ে, জনসংযোগ করতে বেরিয়ে যেখানে হাজির হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী, বিজেপি প্রার্থী, বাম প্রার্থী – সকলকেই। যে কারণে অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবজির দোকানগুলি লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সফট টার্গেট। সেখানে গিয়ে জনসংযোগ হচ্ছে তৃণমূলস্তরে। যেখানে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে জনসংযোগের ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে বাড়তি সুবিধা।

আরও পড়ুন – তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে সামনের সপ্তাহে কত হবে জানেন? এপ্রিলের শুরুতেই এমন দুর্ভোগ ভাবতেও পারবেন না

আরও পড়ুন – গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের, লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াদের জন্য বিরাট খবর! কবে থেকে কতদিন ছুটি? জানুন

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বাজার করতে দেখা গিয়েছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে সবজি বাজার করতে দেখা গিয়েছে কীর্তি আজাদকে। সেখানে গিয়ে হয়েছে জনসংযোগ। চন্ডীদাস বাজারে এই ছবি রীতিমতো সবার নজর কেড়ছিল সবার। আবার গুড ফ্রাইডের দিন, অর্থাৎ গত শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রচার করেছেন বাম প্রার্থী ড. সুকৃতি ঘোষাল। সিটি সেন্টার এলাকায় পদযাত্রা করার সময় সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরমধ্যে দিয়ে হয়েছে জনসংযোগ। অন্যদিকে এদিন সোমবার দুর্গাপুরের পলাশডিহা এলাকায় প্রচার করেছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাঁকেও একইভাবে সবজির দোকানে যেতে দেখা গিয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও।

স্বাভাবিকভাবেই এই ছবি দেখে অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের মহাতীর্থ হয়ে উঠছে সবজির দোকানগুলি রাজনৈতিক মতাদর্শ, দলীয় প্রতীক আলাদা হওয়া সত্ত্বেও, এই এক জায়গায় গিয়ে মিলে যাচ্ছে লাল-সবুজ-গেরুয়া। তবে এর পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও তারা মনে করছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সবজি বাজার এমন এক জায়গা, যেখানে একই সময়ে সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষের দেখা পাওয়া যায়। ফলে এমন জায়গাগুলিকে জনসংযোগের জন্য বেছে নিলে, প্রার্থীদের কাছে প্রচার করা অনেক সুবিধাজনক হয়ে ওঠে। একই জায়গায় বিভিন্ন স্তরের মানুষকে পাওয়া যায়। পৌঁছানো যায় বিভিন্ন মানুষের কাছে। জানা যায় তাদের মতামত। ফলে প্রার্থীরা প্রচারের ক্ষেত্রে সবজি বাজার এলাকাগুলিকে অনেক ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছেন বলেই তাদের মত।

নয়ন ঘোষ