Tag Archives: 2024 Lok Sabha Elections

Lok Sabha Election 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে গান গাইলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও 

হুগলি: হুগলি শ্রীরামপুরের বিদায়ী সংসদ ও তৃনমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর রনংদেহি রূপ বার বার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। তবে সেই সবের থেকে একদম অন্যরকম রূপে দেখা গেলো আজ কল্যাণকে। বৈদ্যবাটিতে প্রচারে বেরিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কল্যাণ উই শ্যাল ওভারকাম গাইলেন। বিজেপি প্রার্থী শুনে বললেন, গান না করে একটু কাজ করুন।

আজ বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়ে অন্য মুডে ধরা দিলেন শ্রীরামপুর লোকসভা তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের ফাঁকে দলীয় কাউন্সিল ও কর্মিদের নিয়ে বসে গানের আড্ডায় মাতলেন কল্যাণ।কখনো গাইলেন উই শ্যাল ওভারকাম আবার কখনো রবীন্দ্র সংগীত ‘প্রাণ ভরিয়ে, তৃষা হরিয়ে, মোরে আরো আরো দাও প্রাণ।’ গতকাল পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তীতেও ভোট প্রচারে বেরিয়ে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছিলেন কল্যাণ।

প্রতিদ্বন্দ্বী গান করছেন একথা শুনে বিজেপি প্রার্থী কবীর শংকর বোস বলেন, ওঁকে বলব, একটু কাজ করুন মানুষের জন্য। আগেও গান করেছেন নাচ করেছেন। শ্রমিক মহল্লার কি অবস্থা? উনি কি ওভারকাম করবেন? আর ওটা তো বামপন্থীদের গান। ওরা এক হয়ে লড়ছে। বামকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া।

রাহী হালদার

Irfan Pathan In Poll Campaign: ‘আমি ইমোশনাল হয়ে গিয়েছি’, বহরমপুরে প্রচারে এসে কথা দিয়ে গেলেন ইরফান পাঠান

বহরমপুর: দাদার হয়ে বহরমপুরের প্রচারে ইরফান পাঠান৷ বৃহস্পতিবার বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করতে এলেন ভাই ইরফান পাঠান৷ আর জনসমুদ্রের রোড শো-ও করলেন তিনি৷ আর সেখান থেকে বেরিয়েই বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে বেশ কয়েকটি কথা বললেন তিনি৷ বললেন, ‘আমি নিজে আসবো দাদা কেমন কাজ করছে তা দেখার জন্য। আমি এখানে এসে খুব ইমোশনাল হয়ে গিয়েছি।’ সিএএ এনআরসি নিয়ে প্রসঙ্গ এড়ালেন ইরফান পাঠান। তিনি বললেন, ‘আমি দাদাকে সাপোর্ট দিতে এসেছি। বহরমপুর অনেক ভালবাসা দিচ্ছে দাদাকে।’

এ দিন বহরমপুর লোকসভার বেলডাঙা থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার রোড শো করেন ইরফান ও ইউসুফ। ফ্যানেদের আবদারও রাখতে দেখা গেল তাঁকে। হুডখোলা গাড়িতে করে দাদার হয়ে প্রচার করেন দুই ভাই৷ ফ্যানেদের আবদার রেখে ব্যাটে অটোগ্রাফও দিলেন তিনি। ইরফান পাঠানকে দেখে অনেকেই ব্যাট বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন অটোগ্রাফের জন্য। তাঁদের আবদার রাখার পাশাপাশি শুভেচ্ছা ও বিনিময় করলেন দুই ভাই।

৬ কিলোমিটার রোড শো করতে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে দুই পাঠান ভাইয়ের। রাস্তার দুই ধারে প্রচুর মানুষের ভিড় করেন দুই পাঠান ভাইকে দেখতে। আগামী ১৩ মে বহরমপুর কেন্দ্রের লোকসভা ভোট। পাঠানকে নিয়ে এসে কার্যত বহরমপুর কেন্দ্রে চমক দিতে যায় তৃণমূল।

Rudranil Ghosh Viral Video: ‘হীরক রাজা’ হলেন রুদ্রনীল, আসল লক্ষ্য কিন্তু ‘হীরক রানি’! কে সে? তোলপাড় ফেলে দিলেন অভিনেতা

রুদ্রনীল ঘোষ। উচ্চ প্রশংসিত অভিনয়। বিশেষ করে কমেডি ধারায় তাঁর দখল সর্বজনবিদিত। জনপ্রিয় অভিনেতা বাংলা সিনেমায় নাম করার পর বলিউডেও পা রেখেছেন। অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে।
রুদ্রনীল ঘোষ। উচ্চ প্রশংসিত অভিনয়। বিশেষ করে কমেডি ধারায় তাঁর দখল সর্বজনবিদিত। জনপ্রিয় অভিনেতা বাংলা সিনেমায় নাম করার পর বলিউডেও পা রেখেছেন। অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে।
কিন্তু তিনি কেবল এক অভিনেতা নন। রাজনীতিবিদও। রুদ্রনীল বিজেপি নেতা। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে চারদিকে।
কিন্তু তিনি কেবল এক অভিনেতা নন। রাজনীতিবিদও। রুদ্রনীল বিজেপি নেতা। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে চারদিকে।
ভিডিওটি শেয়ার করে রুদ্রনীল লিখেছেন, ‘যারা বাংলাকে বানিয়েছে হীরক রাজার দেশ, তাদের স্বৈরাচার এ বার হবে শেষ।’ এবং ভিডিওটির শিরোনাম লেখা ‘হীরক রানি বাই বাই’। ভিডিওটি টিজার হিসেবেই প্রকাশ পেয়েছে।
ভিডিওটি শেয়ার করে রুদ্রনীল লিখেছেন, ‘যারা বাংলাকে বানিয়েছে হীরক রাজার দেশ, তাদের স্বৈরাচার এ বার হবে শেষ।’ এবং ভিডিওটির শিরোনাম লেখা ‘হীরক রানি বাই বাই’। ভিডিওটি টিজার হিসেবেই প্রকাশ পেয়েছে।
কী দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে? ‘হীরক রাজার ভূমিকা’য় দেখা যাচ্ছে রুদ্রনীলকে। রয়েছে রাজ্যসভা, পারিষদ বর্গ। রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেই, গেরুয়া শিবিরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এই নয়া চমক আনতে চলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
কী দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে? ‘হীরক রাজার ভূমিকা’য় দেখা যাচ্ছে রুদ্রনীলকে। রয়েছে রাজ্যসভা, পারিষদ বর্গ। রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেই, গেরুয়া শিবিরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এই নয়া চমক আনতে চলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
রুদ্রনীলের মতে, বাংলা বর্তমানে হীরক রাজার দেশের মতোই। তাই এমন ভাবনার সূত্রপাত, এমনই উল্লেখ করেছেন অভিনেতা। সিরিজের নাম রেখেছেন ‘হীরক রানি বাই বাই’। শীঘ্রই সম্পূর্ণ ভিডিওটি প্রকাশ পাবে।
রুদ্রনীলের মতে, বাংলা বর্তমানে হীরক রাজার দেশের মতোই। তাই এমন ভাবনার সূত্রপাত, এমনই উল্লেখ করেছেন অভিনেতা। সিরিজের নাম রেখেছেন ‘হীরক রানি বাই বাই’। শীঘ্রই সম্পূর্ণ ভিডিওটি প্রকাশ পাবে।
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত হীরক রাজার দেশে ছবিতে উৎপল দত্তের ভূমিকায় এবার রুদ্রনীল ঘোষ। দেখে অবাক হতে হবে, একেবারে হুবহু যেন মিল রয়েছে স্বর্ণযুগের সিনেমার সঙ্গে।
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত হীরক রাজার দেশে ছবিতে উৎপল দত্তের ভূমিকায় এবার রুদ্রনীল ঘোষ। দেখে অবাক হতে হবে, একেবারে হুবহু যেন মিল রয়েছে স্বর্ণযুগের সিনেমার সঙ্গে।

West Burdwan News: শেষবেলায় জমে উঠছে আসানসোলে প্রচার! আলুওয়ালিয়ার পাশে সুকান্ত, শত্রুঘ্নর হয়ে কৌশানি

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: চতুর্থ দফা অর্থাৎ আগামী সোমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। প্রচারের জন্য হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। খুব স্বাভাবিকভাবেই শেষবেলায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। বিজেপি, তৃণমূল, বাম প্রার্থীরা সকলেই প্রচারে নিজের সেরা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা নেত্রীরা এসে প্রচার করছেন। প্রচারে আসছেন বিভিন্ন তারকাররা।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে শেষ বেলায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। এদিন আসানসোলের বার্নপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে প্রচার করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হুড খোলা গাড়িতে চেপে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন তিনি। বার্নপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে এই প্রচার শুরু হয়ে এলাকা ঘুরে আবার একই জায়গায় এসে শেষ হয়েছে। এই প্রচারকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দেখা গিয়েছে তুমুল উদ্দীপনা।

অন্য দিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করেছেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাপুরের শংকরপুর মোড় এলাকায় বুধবার রাতে প্রচার চালিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতারা।

সেই শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার সারলেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রচার একেবারে শেষ বেলায় এসে পৌঁছেছে। ফলে নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসবে, যত প্রচারের সময় শেষ হয়ে আসবে, ততই আরও বাড়বে প্রচারের ঝাঁঝ। বাড়বে ভোটের উত্তাপ।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ সম্পর্কে কি বলছে হলফনামা

নদিয়া: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন ছিলেন বিজেপির প্রার্থী। রানাঘাটের কেন্দ্র থেকে তিনি জিতে হন বিজেপির বিধায়ক। পেশায় চিকিৎসক আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি কত রয়েছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কত দূর!

নির্বাচনী হলফনামায় যেই তথ্য রয়েছে তার থেকে জানা যায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২- ২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়ের হিসেব দিয়েছেন রানাঘাট লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারী। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তার আয় ছিল ৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৪০ টাকা। এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৯০ টাকা আয় ছিল তার। ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা আয় করেছিলেন ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষে। তার আগের অর্থ বর্ষ অর্থাৎ ২০১৯ – ২০ সালে আয় ছিল ৮ লক্ষ ৭০ হাজার ৭৪০ টাকা। এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মুকুটমনি অধিকারীর আয় ছিল ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৪০ টাকা। এ ছাড়াও হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন তিনি।

বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। একটি চার চাকা গাড়ি রয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর, যেটি ২০১৯ সালে ১৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকায় কিনেছিলেন তিনি। এক বছর পর আরও একটি গাড়ি কেনেন তিনি যার দাম ১০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। সোনার গয়না রয়েছে তার মোট ১৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৪০ টাকা।

স্থাবর সম্পত্তি বলতে একাধিক চাষের জমি রয়েছে তাঁর নামে। সব মিলিয়ে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৯০০ টাকা। আর তার ঋণের পরিমাণ ২ লক্ষ ১৩ হাজার ২৭৫ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে জানা যায় তিনি পেশায় চিকিৎসক চিকিৎসা পেশা ও বিধায়ক থেকে পাওয়া ভাতা উল্লেখ করেন তিনি। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি হলফনামায় জানিয়েছেন ২০১৪ সালে এসএসকেএম থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন তিনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পরেই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুটমনি অধিকারী। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

Mainak Debnath

Hooghly News: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মুখোমুখি দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ! তারপর যা ঘটল

হুগলি: ভোটের প্রচারে নেমে মুখোমুখি দুই রাজনৈতিক দল। চড়ল একে অপরকে দেখে স্লোগান পাল্টা স্লোগানের সুর । একে অপরকে কটাক্ষ করেতো পিছপা হলেন না দুই প্রার্থী। দীপ্সিতা বললেন কল্যাণকে মিস্টার ইন্ডিয়া , পাল্টা কল্যাণ বলেন মিস ইউনিভার্স। সিপিআইএম বনাম তৃণমূল দুই দলেই স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জমজমটি প্রচার সারলেন সিপিআইএমের দীপ্সিতা ধর ও তৃণমূলে বিদায় সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার শ্রীরামপুরে পেয়ারাপুরেপাড়ায় প্রচারে নামেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বড় বেলু থেকে প্রচারে নামেন সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। সেখানেই প্রচারে মুখোমুখি হন কল্যাণ ও দীপ্সিতা। স্লোগানের লড়াই ওঠে দুই পক্ষের। তৃণমূল প্রার্থীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে থাকেন। রাস্তা ফাঁকা করতে করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাস্তায় নামেন। দলীয় কর্মীদের সরিয়ে দীপ্সিতাকে যাওয়ার জন্য রাস্তা করে দেন।

তারপরেও চলতে থাকে দুই দলের রাজনৈতিক স্লোগান। পরবর্তীতে উঠে আসে স্লোগান পাল্টা শ্লোগানের পর একে অপরকে নিয়ে কটাক্ষ। প্রচারের ফাঁকে সিপিআইএম প্রার্থী দীপ্সিতা বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উনি হয়তো মিস্টার ইন্ডিয়ার ঘড়িটা এখনও পড়ে আছেন তাই ওনাকে দেখা গেল না এখন উনি আমাকে দেখে রাস্তায় নামলেন ভোটের পরে একেবারেই রাস্তায় নেমে যাবেন। পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন দীপ্সিতা আমাকে দেখবে কী করে,  ও তো মিস ইউনিভার্স । ও নিজেকে সোফিয়া লরেন ভাবা শুরু করেছে। সবাইতো দেখতে পাচ্ছে ও এরম ভাবেই চালিয়ে যাবে আর আমাকেও বলে যেতে হবে ।

রাহী হালদার

Lok Sabha Election 2024: শহরের পাশাপাশি গ্রামকে গুরুত্ব দিয়েও প্রচার দিলীপ ঘোষের  

পূর্ব বর্ধমান: সোমবার রাত্রে বর্ধমান ষ্টেশন বাজার পরিদর্শন করলেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত ভোটের মরশুমে দিলীপ ঘোষ বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন। বিভিন্ন মাঠে, বাজারেও তাঁকে যেতে দেখা গিয়েছে। সেরকমই সোমবার রাত্রে তাঁকে দেখা গেল বর্ধমান ষ্টেশন বাজারে। সোমবার রাত্রি ৯:১০ নাগাদ বর্ধমান ষ্টেশন বাজারে আসেন দিলীপ ঘোষ। পরিদর্শন করেন সবজি বাজার।

আরও পড়ুনঃ জলদাপাড়া ও বক্সা জঙ্গলজুড়ে দেখা নেই পর্যটকের! কারণ জানালেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

পরিদর্শন চলাকালীন কথা বলেন একাধিক সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে। প্রত্যেকটা সবজির দোকানে ঘুরে ঘুরে তিনি সকলের সঙ্গে কথাও বলেন। সবজির বিক্রেতাদের কাছে বিভিন্ন সবজির দামও জিজ্ঞেস করেন তিনি। এই বাজার পরিদর্শন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি এমনি সকালের দিকে অনেকবার বাজারে গিয়েছি। এখানে স্টেশনের কাছে যে বাজার আছে সবজি বাজার বসে। সন্ধ্যাবেলা বহু লোক আসেন এখানে , বাজার নিয়ে যান। আমাদের মনে হল যারা গ্রাম থেকে আসেন এই ধরনের সবজি বিক্রি করেন একবার দেখা করি। তাই এসেছিলাম তাঁদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করলাম। জিনিসপত্রের দরদাম কীরকম রয়েছে তা জানার চেষ্টা করলাম। “

দিলীপ বাবুকে প্রশ্ন করা হয় যে , “এত বড় লোকসভা কেন্দ্রে কীভাবে প্রচার চালাচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন , “সব গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি , গ্রামে গ্রামে।” প্রশ্নের উত্তরেই যেন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে শহরের পাশাপাশি গ্রামের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষের কাছে দাপুটে নেতা নামেই পরিচিত দিলীপ ঘোষ। সেরকমই নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে তিনি যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে যাচ্ছেন , জনসংযোগ করছেন। নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও পৌঁছে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। যেন শহরের পাশাপশি গ্রামকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচারে ঝড় তুলছেন তিনি।

তীব্র গরমের পর অবশেষে সোমবার বৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান শহরে। মেঘলা আকাশ সঙ্গে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেই সোমবার রাত্রে ষ্টেশন বাজার পরিদর্শন করলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষকে দেখে সবজি বিক্রেতাদের পাশাপাশি বাজারে উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যেও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। অনেককেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

West Burdwan News: দুর্গাপুরে কীর্তির সমর্থনে মেগা রোডশো মুখ্যমন্ত্রীর! কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে কেন থামলেন বারবার?

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: চতুর্থ দফা অর্থাৎ আগামী সোমবার ১৩ মে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। প্রচারের শেষ সপ্তাহে এসে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন সমস্ত দলের প্রার্থীরা। এমন অবস্থায় তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে মেগা রোড শো করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা বেনাচিতিতে এদিন মঙ্গলবার বিকেলে বিশাল রোড শো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর রোড শো উপলক্ষে এদিন বেনাচিতি এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর রোড শো’র নির্ধারিত রাস্তার দুপাশে দেওয়া হয়েছিল ব্যারিকেড। ব্যারিকেডের দু’পাশে বহু মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে। দলীয় পতাকা হাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়। তা ছাড়াও প্রচুর সংখ্যায় মহিলাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু এ দিন রোড শো করার সময় একটি বিষয়ে সবার চোখ আটকেছে। রোড শো করার সময় কেন বারবার বিভিন্ন জায়গায় থামছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

প্রসঙ্গত, বেনাচিতির পাঁচ মাথার মোড় থেকে ভিরিঙ্গি মোড় পর্যন্ত রোড শো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই নির্ধারিত রাস্তায় রোড শো করার সময় বারবার বিভিন্ন জায়গায় থামতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ রোড শো করার সময় তিনি কখনও শিশুদের আদর করতে ব্যারিকেডের কাছে এগিয়ে গিয়েছেন। কখনও আবার ব্যারিকেডের কাছে এগিয়ে গিয়ে কথা বলেছেন মহিলাদের সঙ্গে। আবার কোনও কোনও কর্মী সমর্থক, যারা মুখ্যমন্ত্রীকে দূর থেকে দেখতে এসেছিলেন, সেই সমস্ত কর্মী সমর্থকদের কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন পুষ্পস্তবক। যে কারণে মুখ্যমন্ত্রী রোড শো করার সময় নির্ধারিত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বারবারদাঁড়িয়েছেন।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: ভোটের দিনে শেষবেলায় খোশমেজাজে সেলিম! ক্রিকেট খেলতে নেমে কী বললেন তিনি

ভোটের দিন খোশমেজাজে ক্রিকেট খেললেন মহম্মদ সেলিম। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী আত্মবিশ্বাসী। তবে সেলিম এদিন ডোমকলে ক্রিকেট খেললেন দলীয় সমর্থকদের নিয়ে।
ভোটের দিন খোশমেজাজে ক্রিকেট খেললেন মহম্মদ সেলিম। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী আত্মবিশ্বাসী। তবে সেলিম এ দিন ডোমকলে ক্রিকেট খেললেন দলীয় সমর্থকদের নিয়ে।
ব্যাট হাতে খোশমেজাজেেই দেখা যায় তাঁকে। ভোট পর্বের মাঝপথেই সেলিমের শরীরি ভাষা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বলেই মনে হয়।
ব্যাট হাতে খোস মেজাজেই দেখা যায় তাঁকে। ভোট পর্বের মাঝ পথেই সেলিমের শরীরি ভাষা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বলেই মনে হয়।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। সকাল থেকেই তার নিজের এলাকাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। কোথাও বিশ্রাম নিতে গিয়ে তরমুজ খেতে দেখা যায় তাঁকে।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। সকাল থেকেই তার নিজের এলাকাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। কোথাও বিশ্রাম নিতে গিয়ে তরমুজ খেতে দেখা যায় তাঁকে।
একদা সিপিআইএমের রাজ্যে সম্পাদক এ বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মহম্মদ সেলিম। তবে লোকসভা নির্বাচনের দিনে সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো ভোটার থেকে ভুয়ো এজেন্ট হাতে নাতে ধরেন সেলিম।
একদা সিপিআইএমের রাজ্যে সম্পাদক এবছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মহম্মদ সেলিম। তবে লোকসভা নির্বাচনের দিনে সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো ভোটার থেকে ভুয়ো এজেন্ট হাতে নাতে ধরেন সেলিম।
তবে এক খুদের সঙ্গে মহম্মদ সেলিম তিনি ক্রিকেট খেললেন খোশমেজাজেই। আর মহম্মদ সেলিমকে অন্য ভুমিকায় দেখতে পেয়ে খুশি বাম কর্মীরা ।
তবে এক খুদের সঙ্গে মহম্মদ সেলিম তিনি ক্রিকেট খেললেন খোশমেজাজেই। আর মহম্মদ সেলিমকে অন্য ভুমিকায় দেখতে পেয়ে খুশি বাম কর্মীরা ।

Lok Sabha Election 2024: দিনভর বসেই থাকলেন ভোট কর্মীরা, একটিও ভোট পড়ল না এই কেন্দ্রে, কেন জানুন

মালদহ: ভোট কর্মীরা বসে থাকলেন কেন্দ্রের ভেতরে। বুথের বাইরে ধর্ণায় বসে মহিলা পুরুষ সমস্ত ভোটারেরা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। দিনভর একটিও ভোট পড়ল না। কেউ ভোট দেওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করলেন না।
মালদহ: ভোট কর্মীরা বসে থাকলেন কেন্দ্রের ভেতরে। বুথের বাইরে ধর্ণায় বসে মহিলা পুরুষ সমস্ত ভোটারেরা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। দিনভর একটিও ভোট পড়ল না। কেউ ভোট দেওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করলেন না।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাস্তা ও স্থানীয় নদীর উপর ব্রিজের দাবি। গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনও করছেন। তবে রাস্তা ও ব্রিজ না হওয়ায় গত পঞ্চায়েত ভোট দেয়নি এই গ্রাম। এবার লোকসভা নির্বাচন থেকেও বিরত থাকল গোটা গ্রাম।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাস্তা ও স্থানীয় নদীর উপর ব্রিজের দাবি। গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনও করছেন। তবে রাস্তা ও ব্রিজ না হওয়ায় গত পঞ্চায়েত ভোট দেয়নি এই গ্রাম। এবার লোকসভার নির্বাচন থেকেও বিরত থাকলো গোটা গ্রাম
উত্তর মালদহের হবিবপুর বিধানসভার মঙ্গলপুরা পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর প্রাথমিক স্কুলে ১২২ নম্বর বুথ। এখানে ভোট দেয় রামকৃষ্ণপুর রাধাকান্তপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা। উন্নয়নের দাবিতে এবার ভোট দিচ্ছেন না বাসিন্দারা। এই বুথে প্রায় ভোটার ১৩৮১।
উত্তর মালদহের হবিবপুর বিধানসভার মঙ্গলপুরা পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর প্রাথমিক স্কুলে ১২২ নম্বর বুথ।‌এখানে ভোট দেয় রামকৃষ্ণপুর রাধাকান্তপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা। উন্নয়নের দাবিতে এবার ভোট দিচ্ছেন না বাসিন্দারা। এই বুথে প্রায় ভোটার ১৩৮১
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তারপরেও ভোটাররা ভোট দান থেকে বিরত থাকেন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে সকাল থেকে বসে থাকলেন মহিলারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তারপরেও ভোটাররা ভোট দান থেকে বিরত থাকেন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে সকাল থেকেই বসে থাকলেন মহিলারা।
গ্রামের উন্নয়ন হলেই ভোট দিবেন এই এলাকার বাসিন্দারা। এমনটাই বলছেন আন্দোলনকারীরা। এ দিন ভোর থেকে না খেয়ে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকেন ভোট কেন্দ্রের বাইরে। অপর দিকে ভোট কর্মীরা কেন্দ্রের ভেতরে দিনভর বসেই থেকে গেলেন, তারপরও কেউ ভোট দিতে এগিয়ে এলেন না।
গ্রামের উন্নয়ন হলেই ভোট দেবেন এই এলাকার বাসিন্দারা। এমনটাই বলছেন আন্দোলনকারীরা। এ দিন ভোর থেকে না খেয়ে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকেন ভোট কেন্দ্রের বাইরে। অপরদিকে ভোট কর্মীরা কেন্দ্রের ভেতরে দিনভর বসে থেকে গেলেন তারপরও, কেউ ভোট দিতে এগিয়ে এলেন না।