দিঘা: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা পূর্ব ভারতের বৃহত্তম সামুদ্রিক মাছ উৎপাদন ক্ষেত্র। জানেন এই সময় কি কি সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যাচ্ছে দিঘায়? সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দিঘা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
দিঘা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র সামুদ্রিক মাছ বিক্রয় কেন্দ্র হিসাবে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম। সারা বছরই এখানে সামুদ্রিক মাছের যোগান পাওয়া যায়। বর্ষায় মাছ ধরার মরশুম শুরু হওয়ার পর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে মাছ ধরার কাজ। সারা বছরই সামুদ্রিক মাছের জোগান দিঘায় পাওয়া যায়। এই সময় দিঘায় এলে বহুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছের পসরা। পাবদা, চিংড়ি, চিতল থেকে নাম না জানা নানান ধরনের মাছ দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ চরম গরমে তোলপাড় বৃষ্টি! অঝোর বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা, কোন কোন জেলা ভাসবে? এল আপডেট
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম সমুদ্র সৈকত পর্যটনকেন্দ্র দিঘা। বছরের বিভিন্ন উৎসব মরশুমের পাশাপাশি সারা বছরই দিঘায় প্রচুর পর্যটক আসেন। পর্যটকের কার্যত ঢল নামে প্রতি সপ্তাহান্তেই। শুক্রবার দুপুরের পর দিঘার রাস্তায় পর্যটকদের গাড়ির ভিড় দেখা যায়। সমুদ্র সৈকতে কার্যত জনজোয়ার থাকে প্রতিটি শনি-রবিবার। দিঘা বেড়াতে এলেই সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিতে চায় পর্যটকেরা। তাই পর্যটকেরা দিঘা মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্রে পৌঁছে যায়। দিঘার মৎস্য নিলাম কেন্দ্র ভরে উঠেছে নানা সামুদ্রিক মাছে, তালিকা শুনলে চমকে যাবেন।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ দিঘায় প্রচুর পরিমাণে মৎস্যজীবীদের জালে উঠছে। পর্যটকেরা নানান ধরনের সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিতে পারবে দিঘায় এসে। নানান ধরনের সামুদ্রিক চিংড়ি, বিভিন্ন প্রজাতির ভোলা, বিভিন্ন প্রজাতির টুনা মাছ, পমফ্রেট, ভেটকি, সামুদ্রিক কাঁকড়া সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের স্বাদ পাবে পর্যটকেরা। এ বিষয়ে দিঘা মোহনা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, ‘দিঘায় সারা বছর সমুদ্রিক মাছের যোগান থাকে। মরশুম প্রায় শেষ হয়ে এল। তা সত্ত্বেও দিঘায় সামুদ্রিক মাছের যোগান রয়েছে। প্রতিদিন মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলারে মাছ উঠে আসছে। যা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে বিক্রি হচ্ছে। মরশুমের শেষ পথে ও মাছের যোগান রয়েছে।’
প্রতি সপ্তাহেই সমুদ্রে মাছ শিকার করতে থাকা মৎস্যজীবীদের ট্রলার এসে ঠেকছে খাঁড়িতে। আর ট্রলার থেকে দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে আসছে নানা প্রজাতির এই সামুদ্রিক মাছ। দিঘা মোহনায় পাবদা, চিংড়ি, চিতল, পার্শে থেকে লবস্টার, ম্যাকরিল, রিবন ও সার্ডিন— জানা আর না-জানা একশোর বেশি মাছসারি দিয়ে সাজানো যাএক্কেবারে সাধারণ মানুষের জন্য।
সৈকত শী