বীরভূম: ঠিক বিগত পাঁচ বছরের সাংসদ তহবিলে পাওয়া টাকার খতিয়ান প্রকাশ করলেন বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায়। সামনে লোকসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচনে পুনরায় বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মাল। বৃহস্পতিবার ৬ টা বেজে ৪৫ মিনিটে দীর্ঘ পাঁচ বছরের খতিয়ান প্রকাশ করেন রামপুরহাট তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে। উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত এবং বিদায়ী সাংসদের স্বামী মৃগাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট সাতটি বিধানসভার জন্য আলাদা আলাদা করে খরচের পুস্তিকা প্রকাশ করলেন।
শতাব্দী জানান, “গত পাঁচ বছরে ১৭ কোটি টাকা পেয়েছি। সাত বিধানসভায় আলো, জল, রাস্তা, ড্রেন-সহ বিভিন্ন উন্নয়নের কাজের খরচ করেছি। কিন্তু আমাদের সাংসদ তহবিলের ৮ কোটি টাকা কেটে নিয়ে নিজের তহবিলে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই টাকার কী হল সেটা জানতে হবে।” বৃহস্পতিবার সন্ধেয় রামপুরহাট শহর কার্যালয়ে শতাব্দী রায় ২০১৯ থেকে ২০২৪ বছর পর্যন্ত বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে সিউড়ি, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই, হাসন বিধানসভার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে সাংসদ তহবিলের টাকার হিসেব তুলে ধরলেন।
সব কিছু খরচ করার পর এখন তাঁর কাছে মাত্র ২২৩ টাকা পড়ে রয়েছে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি চলাকালীন প্রত্যেকটি সাংসদ তহবিল থেকে টাকা কেটে নিয়েছিলে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক বছর সাংসদরা উন্নয়নের তহবিলের জন্য পাঁচ কোটি টাকা করে পান। তবে সেই ক্ষেত্রে শতাব্দী পেয়েছিলেন ১৭ কোটি টাকা। বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “করোনার সময় আমার তহবিল থেকে কেটে নেওয়া ৮ কোটি টাকা।”
বিদায়ী সাংসদের এই তহবিলের খরচের নথি তুলে ধরার বিষয়টি কিছুটা হলেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সাধারণ মানুষের, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে, এভাবেই ভোটের আগে সমস্ত জন প্রতিনিধিদের কাজের বিবরণ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন এলাকার মানুষজন।
সৌভিক রায়