হালখাতা 

Nababarsha 2024: আধুনিকতার চাপে ক্রমশই ফিকে! তবে কি এবার হারিয়ে ‌যাবে বাঙালির ব্যবসার হাল খাতা?

জলপাইগুড়ি: ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে এ বছরও জলপাইগুড়ি ছুটে এসেছেন এনারা। বুঝতে পারছেন না কীসের ঐতিহ্য? কিংবা এনারা কারা? আসন্ন পয়লা বৈশাখ। কম্পিউটার জামানা শুরু হতেই ভাটা পড়েছে নববর্ষের লাল মলাট জড়ানো এই খাতার বিক্রি! তবুও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও ভিন রাজ্য থেকে জলপাইগুড়ি এসেছেন আবির হোসেনরা। প্রায় চার দশক ধরে এই হাল খাতা বা জাবেদা খাতা নিয়ে বিহার থেকে জলপাইগুড়ি পাড়ি দিয়েছেন আবির হোসেন।

তবে এই ডিজিট্যাল যুগে ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বছরে মাত্র একবার ব্যবসায়ীরা কেনেন এই খাতা তারপর সারা বছর চলে কম্পিউটারে হিসাব নিকাশ। আর এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখছে মোহাম্মদ আবিরের মতো ব্যক্তিরা। বছরে একবার হলেও এই সুযোগে যাতে কিছু কেনা বেচা হয়, তাই নতুন হাল খাতা নিয়ে সুদূর বিহার থেকে এবারেও জলপাইগুড়িতে পা রেখেছেন আবির হোসেন।

আরও পড়ুন:ফলন ভাল হয়েছিল কিন্তু মিনি টর্নেডো কেড়েছে সব! ৭০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট

কাজে বিরতি নেই আবির হোসেন সহ মহম্মদ হাবিব, মহম্মদ সাবির, মহম্মদ আমজারদের। হালখাতা ও রামনবমীর খাতা তৈরিতে এখন ব্যস্ত তাঁরা। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে ব্যাপক চাহিদা ছিল এই হালখাতার। এখন বিশেষ চাহিদা না থাকায় প্রচুর সংখ্যক হালখাতা বানানো আর হয় না। জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীদের ভরসা এখনও তিনিই। এবারও কম বেশি ভালোই বিক্রি হবে বলেই আশা করছেন তিনি। মাত্র ১০০ টাকা থেকে দেড়শ টাকা এই হালখাতার মূল্য।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুরজিৎ দে