Tag Archives: Jalpaiguri News

সব পড়ুন জলপাইগুড়ির খবর (Jalpaiguri News) এখানে

Jalpaiguri News: বাঁশ হাতে গ্রাম প্রদক্ষিণ পুরুষদের, পেছনে নৃত্যরত মহিলারা! হচ্ছেটা কী? উপচে পড়ছে ভিড় এলাকায়

জলপাইগুড়ি: কথায় আছে, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। বিশ্বাস তর্ক আলাদা রেখে, মনস্কামনা পূর্ণ হলেই এই অদ্ভুত পূজো করে এখানকার মানুষজন। কী পুজো? কী নিয়মে করা হয় এই পুজো? কোথায়ই বা হয় জানেন? মনস্কামনা পূর্ণ হলেই নিয়ম আচার মেনে নিষ্ঠা-সহকারে পুজো করা হয় বাঁশ এবং পতাকার। অবাক হবেন না। এটাই জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের বাসিন্দাদের দীর্ঘ কালের রীতি। সেই রীতিনীতি আচার-সহ সুসজ্জিত বাঁশ হাতে ঐতিহ্যবাহী মদনকামের পুজোতে মাতল এলাকার বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, মূলত এলাকাবাসীদের কারোর কোনও মনস্কামনা পূরণ হলেই এই পুজো করেন তারা। ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহের কবল থেকে রেহাই পাইনি উত্তরবঙ্গও। জমির ফসল রোদের তাপে খেতেই শুকিয়ে মারা যাচ্ছে, ফলত আর্থিক প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে এলাকার কৃষকদের। অনাবৃষ্টিতে ফলনে ব্যাঘাত ঘটছে। আর এর জন্যেই বৃষ্টির দেখা চেয়ে মনস্কামনা করেছিলেন এলাকাবাসীদের একাংশ।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

গতকাল থেকে আকাশ খানিক মেঘলা হওয়াতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। মেঘলা আকাশ হওয়ার কারণেই এই পুজো শুরু করেছেন তারা। এখন এই পূজোকে ঘিরে উৎসবের চেহারা নিয়েছে পুরো এলাকা। কোথাও এই পুজোকে গ্রাম্য দেবতার পুজো বলা হয়, কোথায় আবার বলা হয় মদন কামের পুজো।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

কীভাবে হয় এই পুজো? গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে বাঁশ গাছের ওপরে বিভিন্ন রঙের পতাকা লাগিয়ে সেই পতাকাকে পুজো করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মদন কামের পুজো বা গ্ৰামপুজো । নাচ গানের মধ্যে দিয়ে সুসজ্জিত বাঁশ নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণে বের হয় সকলে, সঙ্গে থাকে রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিশেষ সানাই এবং ঢাক। যার তালে কোমর দোলায় আট থেকে আশি। গোটা গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে এই পুজোতে মেতে উঠেছে। পুজো দেওয়ার পর সারাদিন নিকটস্থ হাটে এবং গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাঁশের খেলা দেখানো হয়। বেশ অভিনব এই পুজো দেখতে ভিড় জমায় আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন।

সুরজিৎ দে

Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকে ভাল ফল করেও দুশ্চিন্তা! আর্থিক-অনটনই কি স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে দিন মজুরের ছেলে তমালের?

জলপাইগুড়ি: দু-চোখে স্বপ্ন অনেক কিন্তু তা সত্ত্বেও পলকে তা ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়! চিন্তা একটাই, অর্থাভাব যেন বইয়ের পাতায় ধুলো জমার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। লক্ষ্য স্থির থাকলে কোনও প্রতিবন্ধকতাই বাধা নয়। নজরকাড়া রেজাল্ট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে জলপাইগুড়ির দিন মজুরের ঘরের ছেলে তমাল দে।

সদ্য প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। জলপাইগুড়ি জেলার কোনও পড়ুয়াই প্রথম দশের তালিকায় নিজের জায়গা ছিনিয়ে নিতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ জলপাইগুড়িবাসী। কিন্তু, এই মন খারাপের পরিস্থিতিতে এক মুঠো আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছে জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তমাল দে। বহু বাঁধা বিপত্তি পেরিয়েও এই বিশেষ সাফল্যে খুশির আমেজ জেলা জুড়ে। বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় তমাল। উচ্চমাধ্যমিকের পর ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যায়। কিন্তু অর্থাভাব যাতে স্বপ্নপূরণের পথে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায় এখন চিন্তা তারই। সংবাদমাদ্যমকে সামনে পেয়ে এই চিন্তার কথাই তুলে ধরলেন তমাল।

আরও পড়ুন-অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

তমালের প্রাপ্ত নম্বর ৬২৬। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জালা পাড়া এলাকায় বাড়ি তমালের। ছোটো থেকেই জীবনটা বড্ড অভাবের। বাবা দিন মজুর, মা বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করে যা আয় করেন তাতে কোনও ক্রমে চলে যায় সংসার। তবুও ছেলের শিক্ষায় কোনও খামতি রাখতে চায় নি তমালের পরিবার।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

ছেলেও পরিশ্রম অক্ষুণ্ণ রেখে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। ফলত, প্রথম দশে নাম না এলেও জলপাইগুড়ি সোনাউল্লা হাইস্কুলের দশম শ্রেণির এই তমালের হাত ধরেই এসেছে সাফল্য। মাধ্যমিকে ৬২৬ পেয়ে দিন মুজুরের পরিবারে এখন খুশির হাওয়া। তবুও আর্থিক অনটন উচ্চশিক্ষায় আরও বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন তমালের মা।

সুরজিৎ দে

Jalpaiguri News: ঠান্ডা পানীয়র কারখানা নিয়ে নিচ্ছে জল! জলকষ্টে ভুগছে বাসিন্দারা! তুমুল বিক্ষোভ এলাকায়

জলপাইগুড়ি: মেঘলা আকাশের সঙ্গে ঝোরো হাওয়া থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই জলপাইগুড়িতে। আর যার ফলেই জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে তীব্র জলসংকট। ঠিক তেমনি সদর ব্লকের বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতে বাসিন্দারা ভুগছেন পানীয় জলের সমস্যায়। তবে প্রাকৃতিক কারনে নয়, বাসিন্দাদের অনুমান বেলাকোবার রানীনগর শিল্প তালুকে একাধিক ঠান্ডা পানীয় কোম্পানি থাকার দরুণ এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তাদের দাবি, একাধিক কোম্পানির প্রোডাক্ট তৈরিতে ভূগর্ভস্থের প্রচুর নিচ থেকে প্রচুর জল তোলা হচ্ছে। আর যার ফলে বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানীনগর, চেওড়াপাড়া, বামন পাড়ার মতো একাধিক গ্রামের কুয়োর অবস্থা কাঠ। সোমবার তাই রানীনগর পানীয় কোম্পানির সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো গ্রামের বাসিন্দারা। দাবি একটাই, পানীয় জলের ব‍্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন:বাইরে হলুদ ভেতরে লাল, চেনা এই ফল যেন অচেনা! স্বাস্থ্যগুণে ঠাসা, দৃষ্টিশক্তি মজবুত করে, বলুন তো কোন ফল?

এই মর্মে কোম্পানিতে একটি ডেপুটেশন দিয়েছেন বলেও গ্রামবাসিদের দাবি। এদিকে সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে নেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও। তিনিও প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এই পানীয় কোম্পানির জন্য জলের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি এ বিষয়ে জেলা শাসক এবং পানীয় কোম্পানির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখার আদৌও জলের সমস্যা সমাধান হয় কিনা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুরজিৎ দে

Jalpaiguri Malaria: দাবদাহের মধ্যে ম্যালেরিয়ার আতঙ্ক! জলপাইগুড়িতে এক মাসে আক্রান্ত ৮০ জন, তৎপর জেলা প্রশাসন

Jalpaiguri Malaria: জলপাইগুড়িতে বাড়ছে ম্যালেরিয়া! জলপাইগুড়িতে ১ মাসে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ৮০। সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর জেলা প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে প্রশাসন তরফে। মশা মারতে স্প্রে-র ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মশারি বিলি।

Jalpaiguri News: রাত বাড়লেই ভিড় বাড়ে এই মন্দিরে! দূর দূরান্তের মানুষের সমাগম, কোথায় জানেন

জলপাইগুড়ি: ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের এই মন্দিরে বসেছে এক কথায় মিলন মেলা! রাত যত বাড়ে ভিড়ও হয় প্রচুর। সর্বস্তরের মানুষ মিলেমিশে একাকার। এটি আবার একটি সতী পীঠও বটে! জানেন কোথায়? জলপাইগুড়ির অন্তর্গত দক্ষিণ বেরুবাড়ি এলাকায় রয়েছে ৫১ সতী পিঠের একটি পীঠস্থান ত্রিস্রোতা মহাপীঠ। কিন্তু এক সময়ে স্থানীয়-সহ জলপাইগুড়ির মানুষের একাংশ ভারতের মানচিত্রে এই জায়গা অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গণআন্দোলন করায় এলাকাটি ভারতের পরিচিতি লাভ করে। এই মন্দিরের একটি বিশেষত্ব রয়েছে।

সেই মন্দির স্থাপনের প্রথম থেকেই সর্ব স্তরের মানুষ সীমান্তে একত্রিত হয়ে মিলন মেলার শুরু করে। কোনও ভেদাভেদ নেই। মেলাটি বাংলাদেশ সীমান্তের সাতকুরায় ত্রিস্রোতা মহাপীঠে সকল মানুষের মিলন মেলা হিসাবেই স্থানীয়দের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে । সেই মেলাই এখন চলছে রমরমিয়ে। সাত দিন এটি চলবে।

আরও পড়ুন: এখনও পাকেনি ধান! তবু রাত নামলেই দল বেঁধে হামলা চালাচ্ছে ‘ওরা’! চারদিকে আতঙ্ক

আরও পড়ুন: চাকরির বিরাট সুযোগ! RPF সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মী নিয়োগ, কী ভাবে আবেদন করবেন

আয়োজকদের দাবি, চৈত্র মাসের অষ্টমীর তিথিতে প্রতি বছর বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মিলন মেলার আয়োজন করা হয় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের সাতকুরার ত্রিস্রোতা মহাপীঠে। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনে কারণে সেই মেলা পিছিয়ে যায়। সাত দিনের জন্য মেলা শুরু হয়েছে। ত্রিস্রোতা মহাপীঠ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক হরিশচন্দ্র রায় জানান, সর্বস্তরের মানুষ মিলেমিশে মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় গিয়ে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সমাগম। পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা মেলায় এসে ত্রিস্রোতা পূজা অর্চনা করছেন। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্তই চোখে পড়ে মেলায় উপচে পড়া ভিড়। মন্দির দর্শন করতে এবং মেলা ঘুরতে বিভিন্ন জায়গায় পুণ্যার্থীরাও আসেন এখানে।

সুরজিৎ দে

Lok Sabha Election 2024: চায়ের গন্ধ চারদিকে! চা শ্রমিকদের ভোটকেন্দ্রে দেখা গেল এক অন্য ছবি!

জলপাইগুড়ি: চা’য়ের গন্ধ গায়ে মেখে ভোট দিচ্ছেন এখানকার ভোটাররা! জানেন কোথায়? লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার নির্বাচন আজ। দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ, এই তিনটি কেন্দ্রে সকাল থেকেই চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। উত্তরের শৈল শহর দার্জিলিং জেলায় এখনও পর্যন্ত চলছে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ। এখানেই দেখা গেল এক অভিনব চিত্র। এখানকার ভোটাররা সুস্বাদু চায়ের সুগন্ধ গায়ে মেখে ভোট দিতে যাচ্ছেন বুথে।

নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবেই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করছেন তারা। দার্জিলিং এর অন্তর্গত গুলমা চা বাগানের শ্রমিক তথা ভোটাররা চায়ের গুদামের ভেতর গিয়ে ভোট দান করছেন। গুলমা চা বাগানের চা’য়ের গুদাম সেখানকার ভোট কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই ভোট দিচ্ছেন চা শ্রমিকরা। বলাই বাহুল্য এই গুদামেই তৈরি হয় পৃথিবী বিখ্যাত সুস্বাদু দার্জিলিং চা।

আরও পড়ুন:  চিকেনের হাড় খাওয়া ভাল না? কে বলেছে? উপকারিতা জানলে রোজ চিবিয়ে খাবেন!

ভোট উৎসবের কারণে আজ গুলমা চা বাগানে যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ সেখানে ভোট উৎসবের আমেজ। হাসিমুখে চা শ্রমিকরা ভোট দান করে যাচ্ছেন নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার টিকিয়ে রাখার জন্য। বাইরে তীব্র রোদ, চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সেখানে ব্যবস্থা রয়েছে মেডিকেল ক্যাম্পের। মজুত রয়েছে বিভিন্ন ওষুধপত্র। ভোট দানে যাতে তাদের কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্যই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এত সুন্দর বন্দোবস্ত দেখে খুশি চা বাগানের শ্রমিকরাও। দার্জিলিং সংলগ্ন গুলমা চা বাগানে এক কথায় আজ ভোট উৎসবের খুশির আমেজ।

সুরজিৎ দে

Jalpaiguri News: দৃশ্য দূষণ রোধে বড় উদ্যোগ বামেদের! ভোট মিটতেই দেওয়াল লিখন মুছতে ময়দানে কর্মীরা

জলপাইগুড়ি: সদ্য লোকসভার প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে উত্তরের জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়িতে নির্বাচন শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। আগামী কাল রয়েছে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ অন্যান্য জেলায়, অন্যান্য কেন্দ্রে। ভোট যুদ্ধে জয় পরাজয় যেটাই হোক, দৃশ্য দূষণ প্রতিরোধ লড়াইয়ে এগিয়ে সিপিআইএম। অন্য রাজনৈতিক দলের আগেভাগেই দেওয়াল লিখনমোছার কাজ শুরু করেছে বাম।

শহরের মধ্যভাগে রয়েছে ৬ নম্বর ওয়ার্ড। ৬ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে রয়েছে সিপিআইএম সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির দফতর, জেলা দফতর, ডিভিসি রোড, বেগুনটারী, কামারপাড়া, কদমতলার একাংশ এলাকা। জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী দেবরাজ বর্মনের উদ্যোগে দেওয়াল মোছার কাজ শুরু হল ইতিমধ্যেই।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

জলপাইগুড়ি শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় বাম প্রার্থীর প্রচারে লেখা দেওয়াল মোছার কাজ শুরু করে ইতিমধ্যেই প্রার্থীর সমর্থনে লেখা ২৫টি দেওয়াল লিখন মোছা হল বাম কর্মীদের উদ্যোগে। তার সঙ্গে প্রার্থীর সমর্থনে এলাকায় সমস্ত ফ্ল্যাগ, ফেস্টুনও খুলে ফেলা হয়েছে। দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে দেওয়াল মোছার এই কর্মসূচীর নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু সাহা, শান্তশ্রী রায়, মহম্মদ মালেক ও ছাত্র-যুব কর্মীবৃন্দ।

যদিও এখনও শহরের অনেক জায়গায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রচার রয়ে গিয়েছে একই ভাবে।দৃশ্য দূষণ সম্পর্কে সচেতন থেকে ভোট শেষ হওয়া মাত্রই এত দ্রুত দেওয়াল লেখনী মোছা এবং শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার এমন উদ্যোগে খুশি জলপাইগুড়ির সাধারণ মানুষ। ভোট শেষ হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ, তারপরেও যেভাবে দেওয়াল লেখনী, পতাকা, ফেস্টুন… শহরের নানা জায়গা জুড়ে করে রয়েছে তা আসলেই দৃশ্য দূষণ ঘটায়। বাম সদস্যদের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করেছে অনেকেই। বাকি রাজনৈতিক দলের হুঁশ কবে ফেরে সেটাই এখন দেখার।

সুরজিৎ দে

Tea leaves insects treatment: চা বাগানের সবুজ পাতায় লাল পোকার হানা! কীভাবে রেহাই পাবেন জানালেন কৃষি বিশেষজ্ঞ

জলপাইগুড়ি: রেড স্পাইডারের হামলায় নাকাল ডুয়ার্সের চা বাগান। চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে চা শ্রমিকদের। কীভাবে হবে অর্থ উপার্জন? ভেবেই দিশেহারা অবস্থা চা বাগানের মালিক থেকে শুরু করে শ্রমিকদের। সবুজ গালিচায় যদি পাতাই না থাকে তা হলে অর্থ উপার্জনও হবে না তাদের। রোজগারের পথে ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছে রেড স্পাইডার। আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে উত্তরের চা বলয়ে ‘রেড স্পাইডারে’র হামলা শুরু। দোসর হয়েছে রাক্ষুসে‘সবুজখেকো’পোকা “লুপার”।

উত্তরে গরমের পারদ চরচড়িয়ে বাড়তেই রেড স্পাইডার এবং লুপারের হামলায় চা পাতা ধ্বংসের পথে। রোগ পোকার হাত থেকে চা বাগানকে বাঁচাতে বড় চা বাগান কর্তৃপক্ষ পোকা মোকাবিলার ব্যবস্থা নিলেও বিপাকে পড়েছেন উওরবঙ্গে হাজার ক্ষুদ্র চা চাষি। তাঁদের কথায়, কৃত্রিম সেচ এবং রাসায়নিক ওষুধ স্প্রে জরুরি হয়েছে। কিন্তু খরচ এতটাই যে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে, একদিকে যেমন চা পাতার উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কা বেড়েছে।

আরও পড়ুন:লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে গিয়ে হাওয়া, স্বামী এখন ২ ফুটফুটে সন্তান নিয়ে…

অন্যদিকে চা পাতার গুণমান তলানিতে পৌঁছনোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে জলপাইগুড়ি কৃষি দফতরের আধিকারিক ডঃ মেহবুব আহমেদ জানান, প্রতিটি বাগানকে জল সেচের ব্যবস্থা করতে হবে এবং যেসব কীটনাশক দেওয়া দরকার সেসব কীটনাশক বিকেলের দিকে ব্যবহার করতে হবে তা হলেই একমাত্র এই সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। উত্তরের বহু চা বাগানের চা পাতার রং এখন তাপের প্রভাবে ঝলসে গেছে। একদিকে যেমন চা পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে, ঝলসে লাল রঙ ধরছে পাতায়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুরজিৎ দে

Jalpaiguri News: একদিকে জলের অভাবে হাহাকার মানুষের! অন্যদিকের ছবি দেখলে রাগে গা জ্বলবে!

জলপাইগুড়ি: গরমের তীব্র দাবদাহে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ। বর্তমানে বহু মানুষের বাড়ির কুয়োর জল শুকিয়ে যাচ্ছে বলেই খবর আসছে অহরহ। ঠিকমত মিলছে না পানীয় জলটুকুও। এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্তরের গরম, আর ঠিক তখনই জলপাইগুড়িতে জল অপচয়ের দৃশ্য উঠে এল ক্যামেরায়। জলপাইগুড়ি থেকে প্রত্যন্ত চা বলয়ে পিএইচই দফতর থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।

জলপাইগুড়ি পৌরসভার ২২ নম্বর, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্গত কিছু এলাকায় জেলা জুড়ে তীব্র জল কষ্টের অভিযোগ উঠে আসছে। কিন্তু অপরদিকে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ঝা-বাড়ি সংলগ্ন বানেভাসা পাড়ায় রাস্তার ধারে কলের মুখ খোলা থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা। ঝর ঝর করে অপচয় হয়ে যাচ্ছে জল। হুঁশ নেই কারওর। নজর নেই প্রশাসনেরও। ঠিক এভাবেই জল অপচয় হচ্ছে দিনের পর দিন।

আরও পড়ুন:ভাতের সঙ্গে চিতল মাছের এই পদেই চেটেপুটে থালা সাফ! বানানো খুব সহজ, রইল রেসিপি

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কলের মুখ বিকল যে কারণে কল বন্ধ করা যায় না দিনের পর দিন অঝোরে বয়ে যায় জল। তাদের কথায়, এই কল থেকে মানুষ জল নিচ্ছে, কিন্তু কলের মুখ না থাকায় জল বন্ধ করার উপায় নেই। এভাবেই জল অপচয় হয়ে যাচ্ছে দেখেও কারও কোনও উপায় নেই। বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের জল অপচয়ের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। কবে এই সমস্যার সমাধান হয় তা এখন সময়ের অপেক্ষা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুরজিৎ দে

জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই দোকনপাট

জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে ভয়াবহ আগুন। আগুনে পুড়ে যায় ৫টি দোকান। দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা। আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত।