ছুটির দিন বা উইকেন্ডে মানেই ব্যাগ কাঁধে সবাই মিলে কাছেপিঠে কোথাও বেরিয়ে পড়া। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার নিয়ে হই হুল্লোড়। কাজের ব্যস্ততায় একটা উইকএণ্ড কাটাতে ভালবাসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের জায়গা হল দিঘা। (সৈকত শী)শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সব ঋতুতেই বাঙালি পর্যটকদের প্রথম পছন্দ দিঘা। আবার সামনেই গ্রীষ্মকালীন পর্যটন মরশুম। দিঘায় বহু পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে মনে করছে প্রশাসন। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বা পর্যটন মরশুমে দিঘায় আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে বিশেষ উদ্যোগ নিল প্রশাসন।প্রশাসনের উদ্যোগে দিঘা সৈকত সরণীতে চলেছে অবৈধ হকার উচ্ছেদ। স্কুল কলেজে গরমের ছুটি পড়ার আগেই পর্যটন শহর দিঘায় হতে চলেছে অবৈধ হকার উচ্ছেদ। পর্যটন শহর এলাকায় দিন দিন বেড়ে চলেছে হকারের সংখ্যা। সৈকত সরণীতে অবৈধ হকারদের দাপটে পর্যটকদের চলাফেরা কার্যত দায় হয়ে উঠেছে।কিন্তু প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে সি বিচ ও দিঘার যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে অবৈধ দোকান। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটক থেকে আরম্ভ করে সাধারণ মানুষকে। এ নিয়ে দিঘা আসার পর্যটকদের অভিযোগ বিস্তর।সামনেই গ্রীষ্মকালীন ছুটির মরশুম, ইতিমধ্যেই পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করেছে দিঘা-সহ বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। তাই দিঘা সৈকত সরণিতে হকারের সংখ্যা কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল।প্রশাসনের তালিকায় নথিভুক্ত না থাকা দোকানদারকে আর যত্রতত্র দোকান পেতে বসতে দেওয়া হবে না বলে জানা যায়। সামনেই যেহেতু ছুটির মরশুম তাই এমন কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সেই মতো দিঘা জুড়ে এ বিষয়ে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ মাইকিং প্রচার শুরু করেছে অবৈধ দোকানদারদের নিজে থেকে সরে যাওয়ার জন্য। না হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। আর প্রশাসনের এই ভূমিকায় খুশি পর্যটকেরা।প্রসঙ্গত প্রতিটি পর্যটন মরশুমে দিঘায় পর্যটকের ভিড় উত্তরোত্তর বাড়ছে।দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে অবৈধ বিভিন্ন দোকানের সংখ্যা। সব মিলিয়ে ছুটির দিনগুলিতে দিঘা সমুদ্র সৈকত সরণিতে হেঁটে চলা দায় হয়ে ওঠে। তাই এবার পর্যটকদের সুবিধার্থে বিশেষ উদ্যোগ নিল প্রশাসন।
