প্রতিকী চিত্র 

Rachana Banerjee-Locket Chatterjee: রাজনীতিতে যুযুধান দু-পক্ষ! ব্যক্তিগত জীবনে রচনা-লকেটের সম্পর্ক কেমন! ফাঁস গোপন তথ্য

হুগলি: হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবার তারকা যু্দ্ধ। লকেট চট্টোপাধ্যায় বিদায়ী সাংসদ, তাঁকেই ফের প্রার্থী করেছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির ময়দানে নতুন। হুগলি কেন্দ্রে লড়াই কঠিন। প্রায় এক মাস ধরে প্রচার চলছে সব দলের। এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে চাইছেন না কেউ, কাউকে।

এতো গেল ভোটের লড়াই। কিন্তু যারা একসঙ্গে দীর্ঘদিন সিনেমা করেছেন সেই দু-জনের সম্পর্কের সমীকরণ কেমন? কী ভাবেন একে অপরের ব্যাপারে? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ গরমে বাড়ির তুলসি গাছ দু-দিন পর পরই শুকিয়ে ‌যাচ্ছে? ২ মিনিটেই মুশকিল আসান! সবুজ পাতায় ভরবে গাছ

লকেটের সঙ্গে অনেক ভাল স্মৃতি রয়েছে। আমি সেই ভাবেই লকেটকে দেখতে চাই, বললেন রচনা। অন্যদিকে, রাজনীতিতে ব্যক্তিগত সম্পর্কে আঁচ যেন না পড়ে, সম্পর্ক যেন ভাল থাকে, রচনার বিষয়ে জানিয়েছেন লকেট। মানুষের জন্য কাজ অনেক বাস্তব এবং কঠিন, মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনীতিতে সিনিয়র লকেট চট্টোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা তাঁর এক সময়ের সতীর্থ লকেট সম্পর্কে বলেন, “দু’জনে এত ভাল ভাল ছবি করেছি। এখনও যদি আমি আর লকেট সামনাসামনি বসি সারারাত কেটে গেলেও আমাদের কথা শেষ হবে না। আমরা যখন সিনেমা করতাম আমাদের বন্ডিং ভীষণ স্ট্রং ছিল। আমরা যখন অনেকদিন ধরে ছবির জন্য আউটডোর শুটিং করতাম, পাঁচ-ছ’জন শিল্পী, আমি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, লাবনী সরকার, কৌশিক ব্যানার্জি, রঞ্জিত মল্লিক একটা গ্রুপ ছিলাম। শুটিংয়ের পরে জমত আড্ডা। প্রসেনজিৎ হারমোনিয়াম বাজাচ্ছে, লকেট গান করছে, আমি তবলা বাজাচ্ছি এ রকমও হয়েছে। সেই স্মৃতিগুলো খুব ভাল। আমি সেই স্মৃতিই লকেটের জন্য আমার কাছে রাখতে চাই।

আরও পড়ুনঃ দুধ-মাছ-মাংসের পরিপূরক! কোলেস্টেরল-সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, কী খাবার জানেন? বাজার খুঁজে আজই পাতে রাখুন

অন্যদিকে লকেট বলেন, “রাজনীতির বাইরে যে ক’জন বন্ধু রয়েছে, আমি তাঁদের কাছে সাংসদ নই আমি সেই লকেট। আমাদের কত হাসি মজার কথা হত। ভুল করে কিছু বলে ফেলেছি, সেটা নিয়ে খুব মজা হত। বুম্বাদা বুম্বাদা বলে সেই লকেট এখন এই। আমি আমার পরিচয়টা সে রকমই সাধারণ রাখতে চাই। আমি সাংসদ আজ, কাল কী হবে জানি না। আমি দশ বছর অভিনয়ের জায়গাটা ছেড়ে এসেছি, তাই যোগাযোগ হয়তো কিছু কমে গিয়েছে, কিন্তু স্মৃতি রয়ে গিয়েছে অনেক।”

লকেট আরও বলেন মানুষের সঙ্গে আমাদের পরিচিতি অভিনয় জগত থেকেই। ও এখনও শুটিং করে। ক্যামেরা অ্যাকশনের মধ্যে রয়েছে। আমি দশ বছর ছেড়ে এসেছি। আমি চাই রাজনীতিতে ব্যক্তিগত সম্পর্কের আঁচ যেন না পড়ে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেন আমাদের ভাল থাকে। রাজনীতি মানে কেউ কাউকে গালিগালাজ করা নয়, কেউ কারো ভুল ধরিয়ে দেওয়া নয়।আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি এবং যে যার বিচারধারা নিয়ে সেই কাজ করছি। আমার মনে হয়েছে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নরেন্দ্র মোদির যে বিচারধারা, তা আমার পছন্দ, আমি তাতে উৎসাহিত হয়েছি। ওঁর মনে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিয়েছে। আগামী দিনে মানুষ ঠিক করবে কার বিচারধারা ঠিক।

লকেট বলেন, মানুষের জন্য কাজ করা অনেক কঠিন। আমি নিজেও ক্যামেরার সামনে থেকেছি। ওঁর সঙ্গে যদি কখনও দেখা হয় বা কথা হয় ও নিজেও বুঝতে পারবে। এখানে মানুষের যন্ত্রনা দুঃখ অনেক বেশি। আমরা যখন টিভি ক্যামেরার মধ্যে থাকি, তখন মানুষ আমাদের ছুঁতে পারে না। কিন্তু সেই টিভি ভেদ করে যখন মানুষের কাছে আসি তখন মানুষ আমাদের ছুঁয়ে দেখতে চায়। আমি ওকে ওয়েলকাম করেছি। আমার বিশ্বাস ও যদি অনেক দিন রাজনীতিতে থাকে বুঝবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে একদিন না একদিন হয়তো ও নিজেও ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করবে।

রাহী হালদার