‘আগে চোরেরা জেলে যেত, এখন বিজেপিতে যায়’! উত্তরে গিয়ে ঝাঁঝালো আক্রমণ অভিষেকের

Lok Sabha Election 2024: ‘আগে চোরেরা চুরি করে জেলে যেত, এখন বিজেপিতে যায়’! উত্তরে গিয়ে ঝাঁঝালো আক্রমণ অভিষেকের

আলিপুরদুয়ার: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গে অভিষেক বন্দোপাধ‍্যায়। আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী-সহ উত্তবঙ্গের বিজেপি নেতাদের তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিন অভিষেক বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে ভোট নিয়ে গিয়ে আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। ধারাবাহিক ভাবে প্রতারণা করেছিল। আমি অপেক্ষা করছিলাম মোদী বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বা সর্বভারতীয় সভাপতি বিজেপির কবে আসবে। এল না তারা। জন বার্লা ছিল আগের প্রোডাক্ট। এখনকার প্রোডাক্ট হল মনোজ টিগ্গা।’’

গতবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছিল বিজেপি৷ অভিষেকের কথায় ফিরে সেই প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, ‘‘এই জেলার সব বিধায়ক বিজেপির জিতেছিল। তাও দিল্লি থেকে এক পয়সা উন্নয়নের জন্য নিয়ে আসতে পারল না। সুমন কাঞ্জিলাল বিজেপি থেকে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। মানুষের জন্য ভাল কাজ করেছে। আমরা এই পাঁচ বিধানসভায় হেরেছি বলে, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করিনি। এখানে বোতল নতুন, মদটা পুরানো। ভেবেছে জন বার্লার জায়গা মনোজ টিগ্গাকে দাঁড় করিয়ে জিতিয়ে নেব। মানুষকে বলব এই বিষ পান করবেন না।’’

আরও পড়ুন: ৩১-এর সুন্দরী যুবতী অভিনেত্রী! হয়ে গেলেন ‘কল গার্ল’? মন খুলে বললেন,‘আমি খুব খুশি’, আসল ঘটনা জানলে চমকে যাবেন

অভিষেক বন্দোপাধ‍্যায় বলেন, ‘‘গোর্খাদের জন্য কিছু করেনি। ১১ জনজাতিকে বলেছিল এসটি ভুক্ত করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের এই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি লিখেছিলেন। পরে ২০১৮ সালে ফের চিঠি লেখা হয়েছিল আদিবাসী দফতরের মন্ত্রীকে। আজ তারা কেন্দ্র থেকে এই স্বীকৃতি পেলে, তাদের সুবিধা হত। একটা চা বাগানের সমস্যা দূর করেনি। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায়নি। চা বাগানের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ দেবে বলে দেয়নি। আমরা মজুরি বাড়িয়েছি।’’

জন বার্লা-সহ বিজেপি নেতাদের ঝাঁঝালো আক্রমণ অভিষেকের। তিনি বলেন, ‘‘১৯ সালে বলেছিল আচ্ছে দিন আসবে। আচ্ছে দিন এসেছে জন বারলার। আগে চোরেরা চুরি করে জেলে যেত। এখন চুরি করে বিজেপিতে যায়। পতাকা হাতে নিলেই সব মাফ। এদের ভোট দেওয়া আর খাল কেটে কুমীর আনা এক জিনিস’’।

অভিষেকের কথায় এদিন ফের উঠে এল ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘‘ইস্তাহারে বলেছেন, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন। আসলে ভোট চায় না। আপনাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ চায়। পাঁচ বছরে চার বার ভোট হয়। তিন বার ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। সেই সুযোগ, আপনার হাত থেকে কেড়ে নিচ্ছে। যাতে ভোট না দেওয়ার সুযোগ পান।’’

আলিপুরদুয়ার থেকে এদিন রাম নবমীর শুভেচ্ছাও জানান অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘কাল রাম নবমী আছে। সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যারা ঝান্ডা বিক্রি করছে, তারাও আমাদের আশীর্বাদ করছে। রাজনৈতিক ভাবে যারা দেউলিয়া তারা রামকে সামনে রেখে রাজনীতি করেন। কাল শোভাযাত্রা বেরোলে জয়ধ্বনি দেবেন। মনে করবেন ২০১৯ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখেনি।’’

অভিষেকের কথায় উঠে এল উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ‍্য করার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য খালি বলত। আমি বলতাম ডায়মন্ড হারবার যা আলিপুরদুয়ার তাই। আর আজকের পর এই তিন জেলা তৃণমূল জিতবে।’’ সাত দফায় ভোট গ্রহণ নিয়েও সুর চড়ালেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের অসুবিধা করতে সাত দফায় ভোট। যত খুশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দাও। প্রতি বুথে ২০ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাও। ইডি, সিবিআই বা কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দেবেনা। ভোট দেবে মানুষ। আর মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।’’