মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)

‘এঁরা আমার, অভিষেকের জীবন পর্যন্ত নিতে পারে…!’ বালুরঘাটে বিস্ফোরক দাবি মমতার

বালুরঘাট: দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবারই বালুরঘাটে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তাঁর হয়েই এদিন প্রচারে সুর চড়ালেন মমতা। নাম না করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদকে একের পর এক তোপ দাগতে শোনা যায় মমতাকে।

মমতা বলেন, ‘‘আমাদের লোকেরা বুক চিতিয়ে সংসদে লড়াই করে। আপনাদের সাংসদ ঠান্ডা ঘরে ঘুমায়। কোনও কথা বলে না। বলে, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়ো না। যে লোক বলে বাংলাকে বঞ্চিত করো, টাকা দিয়ো না, তাঁকে আপনারা ভোট দেবেন? এঁরা বার বার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলেছে বাংলাকে টাকা দেবেন না।’

‘জয় বাংলা’, ‘বিজেপি হঠাও’ স্লোগান তুলে বালুরঘাটের সভার মঞ্চ থেকে ২০২৪ এর জয় নিয়ে কার্যত ‘নিশ্চিত’ মমতার দাবি, “বিজেপিকে সরানো হবেই। জয় আসবেই। তিনি উপস্থিত জনতাকে ধন্যবাদও দেন। বলেন, ‘‘এই বোমা-টোমা বলছে, এঁরা আমার, অভিষেকের জীবন পর্যন্ত নিতে পারে। পুলওয়ামায় যেমন করেছিল। এই চক্রান্ত ভাঙবই।’’

মমতা আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে পথ আটকালে খবর দেবেন পার্টি অফিসে। আমাদের লোক এসে আপনাদের পৌঁছে দেবে বুথে। এই জিনিস কোচবিহারেও হয়েছিল।’’ তৃণমূল সুপ্রিমো
বলেন, ‘‘অনেক কবরস্থান, শ্মশান তৈরি করিয়েছি। সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। যখন যুব রাজনীতি করতাম, সব সময় এখানে আসতাম। বন্যা হলে কুমারগঞ্জে আসতাম। পার্থ সিংহ রায় যখন কুমারগঞ্জে গুলিতে মারা যায়, শতাধিক ছেলেকে আটক করা হয়। বিপ্লবদাকে বলি এসে, ওঁদের জন্য লড়াই করতে হবে। বিপ্লবদা পাঁচিল টপকালেন। আমরাও। শঙ্করদা দাঁড়ালেন। আমি সুভাষকে বললাম, একটা গাউন দেবে। আমি সেটা পরে লড়াই করি কোর্টে। সকলকে মুক্ত করি। আজও সেই গাউন রেখে দিয়েছি।’’

এনআরসি-র আবেদন করা নিয়ে ফের বালুরঘাটের মঞ্চ থেকেও সাবধানবাণী শোনা যায় মমতার গলায়। তিনি বলেন, ‘‘ভুলেও এনআরসি-র আবেদন করবেন না। করলেই বিদেশি করে দেবে। ’’ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও কটাক্ষ করলেন মমতা। বলেন, ‘‘সকলকে আমিষ খেতে হবে এমন নয়। দুধ, মাখন, ছানা, সয়াবিন, বার্লি যা-ই খান, কেউ বারণ করেনি। ভেজে খরচ বেশি। ননভেজে মায়েরা মাছের ঝোল-ভাত করলেই কাজ শেষ। তাই ভারতের ৮০ শতাংশ মানুষ আমিষ খায়। মমতা বললেন, “যাঁরা আমিষ খান, খেতে দিন। তোমরা কে হস্তক্ষেপ করার?’’