প্রযুক্তি নতুন এসি কিনেছেন? ২-৩ মাসও হয়নি! এই ‘ছোট্ট’ কাজ করুন, বিদ্যুত বিলের চাপ কমবে Gallery April 21, 2024 Bangla Digital Desk শহরে বাস করলে এই গরমে স্বস্তি ও শীতলতার পরশ খুঁজতে হয় এখন এসিতে। এর বাইরে এমন গরমকে জব্দ করার আর কোনও পথ নেই। কারণ এখন মানুষের স্বস্তি আর গাছের ছায়ায় নেই, আছে এসিতে। ঘরে নতুন এসি এলে সবারই মুখে হাসি ফোটে। তবে খুব কম মানুষই হয়তো উপলব্দি করেন, এসি কখনওই দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। প্রকৃতির এই উত্তাপ থেকে রক্ষা পেতে চাইলে গাছ লাগানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। দেদার গাছ কেটে প্রকৃতির উত্তাপ বাড়িয়ে ফেলেছে মানুষ। ফলে এখন এসি ছাড়া গতি নেই। তাই নতুন এসি কিনলে কোন কাজগুলো করলে লাভ হয়, তা নিয়ে আজকের এই আলোচনা। সাধারণত বাড়ির এসিতে আমরা কুল মোড ব্যবহার করি। কুল মোডকে বলা হয় এসির ডিফল্ট মোড। এই মোডের আদর্শ তাপমাত্রা ২২-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় এসি চললে কমপ্রেসরে চাপ কম পড়ে। ঘরের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে কুইক কুল মোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কুইক কুল মোডে ১৬-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসি চলে। ঘর খুব কম সময়ে ঠান্জডা হয়। তবে এতে বিদ্যুতের ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। রাতে এসি চালিয়ে ঘুমোন অনেকেই। ওই সময় রুম এবং রুমে থাকা মানুষদের শরীর বেশ ঠান্ডা হয়ে যায়। তখন কাজে লাগে স্লিপ মোড। স্লিপ মোডে এসি চালালে প্রতি ঘণ্টায় এসির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ে। ফলে ঘুমানোর সময় বেশি ঠান্ডা লাগে না, আবার ঘুমও হয় ভাল। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য স্লিপ মোড কার্যকর। এসি চালানোর সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে ঘরের কোনও জায়গা দিয়ে যেন বাতাস বাইরে যেতে না পারে! এসি চালু অবস্থায় বারবার ঘরের দরজা খোলা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত একবার এসির ইনডোরের ঢাকনা খুলে ভেতর থেকে ফিল্টার বের করে পরিষ্কার করতে পারলে ভাল। তবে কাজটা ঠান্ডা জলে করবেন। বছরে অন্তত দুবার এসি সার্ভিসিং করালে ভাল। এতে এসি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।