অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

প্রচারে ঝাঁঝ বাড়িয়ে, বিজেপিকে চড়া সুরে আক্রমণ তৃণমূলের

কলকাতা: ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথকে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

এর জবাব দিতে গিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী মহারাষ্ট্রে তাঁর একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তিনি মহারাষ্ট্রকে বাংলায় পরিণত হতে দেবেন না। একজন বাঙালির সমতুল্য মর্যাদাসম্পন্ন হতে হলে এবং বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস বুঝতে হলে আপনার নেতাদের ১০০ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। বাংলা ছাড়া ভারত স্বাধীনতা পেত না। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কারণেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বিজেপি নেতারা নিজেদের নাম স্বাক্ষর করতে পারছেন। রাজা রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টার ফলে সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ সারা বিশ্বে ভারতকে সম্মানিত করেছেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কারণেই আমরা আজাদ হিন্দ ফৌজ পেয়েছি। যা ব্রিটিশ সরকারের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। আজ আপনারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন, কিন্তু মনে রাখবেন, বাম শাসনকালে (বাংলায়) আপনারা তা করতে পারতেন না।’

আরও পড়ুন: শরীরে পোড়া ক্ষত, ব্রিগেড মাঠে সাতসকালে উদ্ধার যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ! টের পেল না পুলিশ

আবার যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যোগী আদিত্যনাথ ভারতের সবচেয়ে অযোগ্য এবং সাম্প্রদায়িক মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আমলেই আমরা হাথরস, উন্নাও এবং লখিমপুর খেরির মতো ঘটনা দেখেছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। এই সমস্ত কিছু তাঁর সরকারের অধীনে ঘটেছে। তিনি কোন সাহসে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান দেন?  এনসিআরবি-এর তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা ভারতের সবথেকে নিরাপদ শহর। এনসিআরবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অধীনে নয়।’

অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি যোগী আদিত্যনাথ ও অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, তাঁরা যখন বাংলায় আসবেন, তখন তাঁরা যেন একটি শ্বেতপত্র তৈরি করে দরিদ্র মানুষের বাড়ির জন্য বাংলায় কত টাকা দিয়েছেন, তা আমাকে দেখান। আমাকে ফোন করুন এবং তাঁরা যেখানে আমাকে যেতে বলবেন, আমি সেখানেই যাব। অমিত শাহকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ করে বলেন, মিথ্যা বলা বন্ধ করুন, কাজ শুরু করুন!’