রোদে গরমে ভোট প্রচারে আলুওয়ালিয়া।

West Bardhaman News: রোদ গরমকে থোড়াই কেয়ার! ৭২ বছরের বুড়ো হারেও ভেলকি দেখাচ্ছেন আলুওয়ালিয়া 

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : রোদ গরমে যখন সবাই বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন, তখন বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখাচ্ছেন তিনি। কড়া রোদ গরম, সূর্যদেবের চোখরাঙানিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঘুরছেন মাঠে ময়দানে। ৭২ বছর বয়সে এসেও ভোট প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের মতো করে। তিনি এস এস আলুওয়ালিয়া।আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। যিনি এই তীব্র রোদ গরমকে থোড়াই কেয়ার করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীর বয়স ৭২ বছর। নিজের জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন সংসদ ভবনে। রাজ্যসভা, লোকসভা মিলিয়ে তিনি ৩২ টা বছর কাটিয়েছেন সংসদে। প্রথম জীবনের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন হাত-শিবিরের সদস্য। রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বিহার এবং ঝাড়খন্ড থেকে। ছিলেন নরসিমা রাওয়ের মন্ত্রিসভার সদস্য। তবে ১৯৯৯ সালে তিনি হাত-শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করেন। নাম লেখান ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

আরও পড়ুন: ‘আমাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে?’, তৃণমূলে থাকার চেষ্টা করবেন, ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিমানী কুণাল

বিজেপিতে নাম লেখানোর পর এস এস আলুওয়ালিয়ার লড়াই বদল হয়েছে। রাজ্যসভার গণ্ডি থেকে তিনি বাংলায় লড়াই শুরু করেন লোকসভার আসনে। ২০১৪ সালে দার্জিলিং থেকে তিনি বিজেপি প্রার্থী হন। সেখানে জয় পেয়ে হন মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য। ২০১৯ সালে তাকে বিজেপি প্রার্থী করে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানেও নিজের জয়ের ধারা বজায় রেখেছিলেন তিনি। যদিও সেবার তিনি আর মন্ত্রিসভার সদস্য হননি। তারপর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। এবছর পদ্ম শিবির তাকে প্রার্থী করেছে তার জন্মভূমি আসানসোলে।

আসানসোলের ভূমিপুত্র হিসেবেই প্রচার চালাচ্ছেন এস এস আলুওয়ালিয়া।তার রাজনৈতিক জীবন বেশ বর্ণময় এবং দীর্ঘ। যদিও আসানসোলে তার লড়াইটা খুব সহজ নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ তার সামনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীর শত্রুঘ্ন সিনহা। এই তারকা প্রার্থী উপনির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলের মত, বিজেপি প্রার্থীর লড়াই সহজ নয়। কিন্তু ৭২ বছর বয়সে এসেও তিনি দমে যেতে রাজি নন। তাই এই রোদ গরমকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঘর থেকে বেরোনোর আগে খাচ্ছেন ছাঁচ বা ঘোল। নজর রাখছেন দলের কর্মী সমর্থকদের স্বাস্থ্যের দিকেও।

নয়ন ঘোষ