হাওড়া: জেলায় বিজেপিকে প্রথম করতে মিষ্টির দোকানে হাজির খোদ বিজেপি প্রার্থী! রাজনীতিতে মিষ্টত্ব নিয়ে আসতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিম্বলের প্রতীকী মিষ্টি। বাজারে এনেছে হাওড়ার একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান। সেই মিষ্টি নিয়ে জেলার রাজনীতি তোলপাড়। সিম্বল মিষ্টির চাহিদার ভিত্তিতে এগিয়ে রাখা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। মিষ্টির চাহিদায় দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি ছিল বলেই জানা গিয়েছে। এবার সেই মিষ্টির দোকানে হাজির হলেন হাওড়া সদর বিজেপি প্রার্থী ডা: রথীন চক্রবর্তী।
LIVE : লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ তৃতীয় দফা ভোটগ্রহণ
আরও পড়ুনঃ অর্জুনগড়ে রাজনৈতিক সমাবেশে হাজির তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক
বিজেপি প্রার্থীর এই উপস্থিতি খবর শুনে সেই দোকানে বিজেপি কর্মী সমর্থকও পৌঁছয়। এই ঘটনাকে মনে করা হচ্ছে বিজেপিকে জেলায় প্রথম স্থানে আনতেই বিজেপি প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ড। এ প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলছেন ভোট মানে গণতন্ত্রের উৎসব। আর বাঙালির কাছে মিষ্টি ছাড়া উৎসব ? ভাবাই যায় না। তাই ভোটের আগে মিষ্টির দোকানের মালিক তৈরি করেছেন সব দলীয় কর্মীদের জন্য হরেকরকম মিষ্টি। ওই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতীকের সন্দেশ। প্রতি সন্দেশের দাম ১০০ টাকা।
প্রচারের ফাঁকে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা ঢ়ু মারছেন দোকানে। নিজেরা সন্দেশ খাচ্ছেন এবং লোকেদের খাওয়াচ্ছেন। গত কয়েকদিন আগে সেখানে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মিষ্টি সর্বাধিক চাহিদা। মিষ্টির দোকানের মালিক সৈকত পাল জানিয়েছেন “রাজনীতি মানে হিংসা নয়। মানুষের সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টত্ব বাড়াতে এই ধরনের মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলেরই পছন্দ মতো মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। নেতা ও কর্মীরা নিজেরাও খাচ্ছেন এবং অন্যদের খাওয়াচ্ছেন।”
তবে মিষ্টির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মিষ্টি বেশি বিক্রি হচ্ছে। হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং হাওড়া শহরের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেখা গেল দোকানে। তিনি নিজেও পদ্মফুল ছাপের সন্দেশ খেলেন এবং কর্মীদের খাওয়ালেন। তিনি বলেন “বাংলার ঐতিহ্যবাহী সন্দেশের মধ্যে একটি সন্দেশ আছে। এটা সন্দেশখালীর রোদন ভরা সন্দেশ নয়। এই সন্দেশ মানুষে মানুষে সম্পর্ককে মিষ্টি করে। হাওড়ায় মেট্রো রেল সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এখানকার মানুষকে উন্নয়নের বার্তা দিতে চাইছেন। সেদিন খুব দুরে নেই পদ্মফুল মিষ্টি গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে।”
মধ্য হাওড়ার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বলেন “আমাদের দলের সন্দেশের বেশি বিক্রি দেখে বেশ ভাল লাগছে। জোড়া ফুল প্রতীকের সঙ্গে কর্মীদের একটা আবেগের সম্পর্ক আছে। তাই কর্মীরা এখানে এসে মিষ্টি খাচ্ছেন এবং খাওয়াচ্ছেন। ভোট মানে তো উৎসব। তাই এই ধরনের মিষ্টির আলাদা গুরুত্ব আছে দলীয় কর্মীদের কাছে।” ভোটের আগে শহর রাজনৈতিক মিষ্টিতে মজেছে নেতা কর্মীরা। এবার দেখার মানুষের চাহিদার দিক থেকে কোন মিষ্টি এগিয়ে। বিজেপি প্রার্থী ডাঃ রথীন চক্রবর্তী জানান, ‘আসল মিষ্টি মানুষের মনের মধ্যে প্রবেশ করেছে। অপেক্ষা করে আছে ভারতীয় জনতা পার্টির বিকশিত কমল তার উপর সন্দেশ মিষ্টি।’
রাকেশ মাইতি