লাইফস্টাইল World Asthma Day 2024: গরমকালে হাঁপানি বাড়ে? কী ভাবে সুস্থ থাকবেন, টিপস দিলেন বিশেষজ্ঞ, না জানলেই নয় Gallery May 7, 2024 Bangla Digital Desk তীব্র গরমে হাঁসফাঁস দশা। এই সময় হাঁপানি রোগীদের সতর্ক থাকতে হয়। কারণ গরমে শ্বাসের কষ্ট বাড়ে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। গরম বাতাসে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে চাপ বাড়তে দেখা যায়। শরীরের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় শ্বাসপ্রশ্বাস এর দ্রুত হয়। গুরগাঁও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও পালমোনোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কুলদীপ কুমার গ্রোভার বলছেন, “উচ্চ তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বায়ু দূষণে শ্বাসযন্ত্রের অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়। শ্বাসনালীতে জ্বালাভাব দেখা যায়। গরম বাতাসের কারণেই এমনটা হয়”। এ থেকে বাঁচার কিছু টিপস দিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ: ডা. গ্রোভার বলছেন, গরমকালে হাঁপানি রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। ওষুধ সময়ে খেতে হবে। হাঁপানির লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে: নিজের কাছে সবসময় ইনহেলার রাখতে হবে। বিশেষ করে বাইরে বেরোলে। হাঁপানির টান উঠলে ইনহেলার যাতে সহজে পাওয়া যায়, সেদিকটাও মাথায় রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে বন্ধু, পরিবার এবং সহকর্মীদেরও জানিয়ে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে তাঁরা সাহায্য করতে পারে। হাইড্রেটেড থাকতে হবে: গরমকালে বেশি করে জল খেতে হবে। শ্বাসনালীকে আর্দ্র রাখতে পারলে হাঁপানির উপসর্গগুলো কমবে। ডিহাইড্রেশনে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে যায়, তাই হাইড্রেটেড থাকা অত্যাবশ্যক, বিশেষ করে গরমের দিনে। পোলেন অ্যালার্জি: পোলেন অ্যালার্জিতে হাঁপানির লক্ষণ দেখা দেয়। তাই ঝুঁকি কমাতে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। গরমকালে দরজা জানলা বন্ধ রেখে এসি চালিয়ে রাখা উচিত। ধুলোবালি এড়াতে অ্যালার্জেন-প্রুফ বিছানা ব্যবহার করার কথাও ভাবা যায়। দূষণের মাত্রা: বাইরে বেরনোর আগে বায়ুর মান পরীক্ষা করে দেখা উচিত। দূষণের মাত্রা বেশি থাকলে বা বায়ুর গুণমান খারাপ থাকলে ব্যায়াম করা বা বাইরে না বেরনোই ভাল। ছায়ায় থাকা উচিত: গ্রীষ্মকালে বাইরে বেরোলে সরাসরি সূর্যালোক এবং তাপ থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকা উচিত। তাপ এবং আর্দ্রতা হাঁপানির উপসর্গগুলিকে ট্রিগার করতে পারে, ঠান্ডা জায়গায় স্বস্তি পাওয়া যায়। হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।