বাঁকুড়া: “ধিতাং ধিতাং বোলে, মাদলে তাল তোলে”, জমিয়ে নাচনেল মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজাতা মন্ডল। মূখ্যমন্ত্রী এবং বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থীর এই জুটি দেখতে ঘটে জমকালো জনসমাগম। পুরুলিয়া থেকে মুখ্যমন্ত্রীর “চপার” দলীয় সভার উদ্দেশ্যে বিকেল চারটে নাগাদ পাত্রসায়রে নামে। কালো মেঘে চপার দেখা মাত্র হাতের মুঠোফোনে সেই মুহূর্ত বন্দি করতে দেখা গেল সাধারণ মানুষকে। বাঁকুড়া জেলাকে সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের পীঠস্থান বললেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষ্ণুপুরকে বিশেষ গুরুত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উঠে এল বালুচরী থেকে টেরাকোটা এবং সঙ্গীত ঘরানার কথা। তিনি জানান, “বাঁকুড়া জেলার সত্যিই খুব গর্বের।”
মাথায় ঘট নিয়ে হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে একদল মহিলা শিল্পী। গানের তালে নৃত্য করছেন তাঁরা। হাত ধরে দাঁড়িয়ে মূখ্যমন্ত্রীও। পাশেই রয়েছেন সুজাতা। বেশ ফুরফুরে মেজাজে কোমর দোলালেন বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। মূখ্যমন্ত্রী মঞ্চে বক্তৃতায় উঠে এল লক্ষী ভান্ডারের কথা। বক্তৃতা শেষ করেই মঞ্চ ছেড়ে চপারে করে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
এর আগে দলীয় সভা করতে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের রাইপুর আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বিষ্ণুপুর লোকসভার পাত্রসায়রে এলেন তিনি। দুই আসনেই তৃণমূলের সর্বোচ্চ থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সমান গুরুত্ব ধরা পড়ল। আগামী ২৫ মে ভোট বাঁকুড়ায়। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রার্থীর জুটি বিশেষ বার্তা বহন করে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী