পাঁচমিশালি Thunderstorm Precautions: বাজ পড়ার সময় স্নান করছেন কিংবা বাসন মাজছেন? হতে পারে মৃত্যুও, গবেষকদের কথায় শিউরে উঠবেন Gallery May 9, 2024 Bangla Digital Desk সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বেলা গড়াতেই পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। সঙ্গে মুহুর্মুহ বাজ পড়া। সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২৪,০০০ মানুষ বজ্রপাতে মারা যান এবং ২,৪০,০০০ আহত হন। বাজ পড়ার সময় বলা হয়, রাস্তায় না থাকতে, বাড়িতে থাকতে। কিন্তু বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকাও সম্পূর্ন নিরাপদ নয়। বজ্রপাতের সময়ে স্নান করা, জলে হাত ধোওয়া কিংবা বাসন মাজা কতটা ভয়াবহ? জানাচ্ছেছে গবেষণা– বাজ পড়ার সময় সর্বতভাবেই চেষ্টা করুন জলের ব্যবহার না করতে। বাজের বিদ্যুৎ জলের পাইপের মধ্যে দিয়ে গোটা বাড়ি কিংবা আবাসনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। Centers for Disease Control and Prevention (CDC) বলছে, বাজ পড়ার সময় কোন-ওরকম জলের কাজ করবেন না, তা সে স্নান করাই হোক কিংবা বাসন মাজা কিংবা হাত ধোয়া। বাজ পড়লে পাইপবাহিত জল এবং বিদ্যুৎ পরিবাহী এমন কোনও জিনিস স্পর্শ না করাই ভাল। বাজ পড়ার পর জল ও ধাতব জিনিসের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহণের পথ খোঁজে। বজ্রপাতের সময়ে ধাতব কল ও জল দুই-ই বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়ে যেতে পারে। তাই বাজ পড়ার সময় কল খুলে স্নান বা বাসন মাজা বা হাত ধোয়া কিংবা শাওয়ারে স্নান করার সময় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটতে পারে। বজ্রপাতের সময় কংক্রিটের মেঝেতে শুতে কিংবা হেলান দিয়ে দাঁড়াতে নিষেধ করে বিশেষজ্ঞরা। বাজ পড়লে ধাতব বিমের সংস্পর্শে এসে কংক্রিট বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়ে উঠতেই পারে। খোলা জায়গায় থাকলে, বাজ পড়ার সময় যতটা সম্ভব নিজেকে সঙ্কুচিত করে বা কুঁজো হয়ে মাটিতে বসে পড়লে প্রাণে বাঁচবেন। না শুয়ে যতটা সমম্ভব নীচু হয়ে মাটির কাছাকাছি থাকলেও বাজের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। বাজ পড়া কালীন সময়ে কখনই ফাঁকা মাঠে থাকবেন না। বজ্রপাতের সময় গাছের তলায় আশ্রয় নেবেন না। বেশি উচ্চতার জায়গায় বাজ পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এই সময় উচুঁ কাঠামো, পোলের কাছে থাকবেন না। বজ্রপাতের সময় গাড়ি মধ্যে থাকাও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। বাজ পড়ার সময়ে কিছুতেই জলে বা পুকুরে থাকবেন না।