অন্ধকার সুনসান রাস্তায় সজোরে থাপ্পড় পথচারীদের

Viral News: অন্ধকার সুনসান রাস্তায় সজোরে থাপ্পড় পথচারীদের; সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দেখে ভয়ে কাঁটা নেটিজেনরা

বেঙ্গালুরু: এক ভয়াবহ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরু। দুই স্কুটার আরোহীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তুললেন এক ব্যক্তি। এমনকী নিজের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সাবরেডিট ব্যাঙ্গালোর-এ ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ব্যাখ্যা করে লিখেছেন @avi1299 নামে এক ব্যবহারকারী। ওই ব্যক্তি লিখেছেন যে, কোরামঙ্গলা এলাকায় তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ একটি শো দেখতে যাচ্ছিলেন। কোনও গাড়িতে না চেপে তাঁরা হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁরা জানতেন না, তাঁদের জন্য কোন বিপদ অপেক্ষা রয়েছে!

আরও পড়ুনঃ লিফটে ঢুকে কিশোরীকে কামড়, কুকুর-হানার নয়ডার ভিডিও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়

ওই ব্যক্তি বলেন, “সেকেন্ড ক্রস রোড এবং সেভেন্টিন্থ এফ মেন রোডের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে হাঁটার সময় আমার মনে হয় কেউ যেন আচমকাই সজোরে আমায় থাপ্পড় মারল। বিষয়টা বোঝার জন্য আশপাশে তাকাই। দেখতে পাই, স্কুটি চেপে দুজন ব্যক্তি বেরিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন কোনও প্র্যাঙ্ক করার চেষ্টা করছিল। তারা কারা তা শনাক্ত করার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি তাদের আমি চিনি না।”

কিন্তু বিষয়টা এখানেই থেমে থাকেনি। ওই দুই আগন্তুক পালিয়ে তো যায়ইনি, বরং সেখানে ঝামেলা করতে শুরু করে। ওই ব্যবহারকারী আরও লেখেন, “স্কুটার থেকে নেমে কন্নড় ভাষায় চিৎকার শুরু করে। আমায় ফের থাপ্পড় মারতে আসে। কিন্তু আমি সরে যাই। আমরা অনেকটা দূর থেকেই তাঁদের মুখ থেকে মদের গন্ধ পাচ্ছিলাম।” শুধু তা-ই নয়, ওই ব্যবহারকারী আরও বলেন, “আমরা যেহেতু ওঁদের দিকে তাকিয়েছিলাম, তাই আমাদের কন্নড় ভাষায় জিজ্ঞাসা করে, আমার দিকে তাকিয়ে থাকার সাহস হয় কী করে? এরপর আমার চোখ থেকে চশমা ছিনিয়ে নিয়ে বলে, এবার কী করে দেখবে তুমি। এরপর চিৎকার করতে শুরু করে, আমি একাই একশো। তোমাদের সকলকে দেখে নেব।” এভাবেই ওই ব্যবহারকারী এবং তাঁর বন্ধুদের ক্রমাগত লাঞ্ছনা করে গিয়েছে ওই হামলাকারী। আগন্তুকদের এহেন উস্কানিমূলক কার্যকলাপেও ঝামেলায় জড়াতে চায়নি ব্যবহারকারীদের বন্ধুদের দলটি।

এই ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। তবে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানালেও তারা জানায় যে, ওই হামলাকারীরা সম্ভবত সংলগ্ন এলাকার বস্তির বাসিন্দা। ওই ব্যবহারকারী শেষে জানান, “আমি জানি না যে, এক্ষেত্রে আমরা কী ভুল করেছিলাম! কিংবা আমাদের সেখানে কী করা উচিত ছিল! কিন্তু আমরা প্রত্যেককে পরামর্শ দেব যে, এসব থেকে দূরে থাকুন আর সতর্ক থাকুন। কারণ আপনারা জানতেও পারবেন না কখন আপনার নিগ্রহকারীরা ঘণ্টা প্রতি ৪০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসবে।”